সাদা বলের ক্রিকেটে দারুণ করছেন রিশাদ হোসেন। টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অসাধারণ বোলিং করে ক্রিকেটবিশ্বের নজর কেড়েছেন তিনি। যে কারণে বিগ ব্যাশ লিগে দল পেয়ে গেছেন। এরপর আফ্রো–জিম টি–টেন লিগেও ডাক পেয়েছেন এই লেগস্পিনার। সীমিত ওভারের খেলায় বাংলাদেশের বোলিং আক্রমণে অন্যতম আলোচিত নাম রিশাদ। তবে এখনো বাংলাদেশের টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক হয়নি রিশাদের। আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হতে যাওয়া ভারত সিরিজেও দলে রাখা হয়নি এই লেগস্পিনারকে। রিশাদ টেস্ট খেলুক এটা হয়তো বাংলাদেশের অনেক ক্রিকেটভক্তই চায়। এই লেগস্পিনারকে টেস্ট ক্রিকেটে অন্তর্ভূক্ত করার পরিকল্পনা আছে কিনা, ভক্তদের পক্ষ থেকে প্রধান নির্বাচক হান্নান সরকারের কাছে সেই প্রশ্ন রেখেছেন ক্রীড়া সাংবাদিকরা। হান্নান সরকারও জানিয়ে দিয়েছেন, রিশাদকে টেস্টে খেলানোর পরিকল্পনা আছে বাংলাদেশের। তবে এখনি সে সিদ্ধান্ত নিতে চান না তারা। কারণ রিশাদের এখনো দীর্ঘ ফরম্যাটে খেলার অভিজ্ঞতা হয়নি। প্রধান নির্বাচকের ব্যাখ্যা এমন, টি–টোয়েন্টিতে একজন বোলার মাত্র ৪ ওভার বোলিং করতে পারেন। আর ওয়ানডেতে ১০ ওভার। কিন্তু টেস্টে বল করতে হয় ১৫–২০ ওভার। দীর্ঘ সময় বোলিং করার চাপ নেওয়ার ক্ষমতা এখনো রিশাদের হয়নি। তবে আস্তে আস্তে তার অভিজ্ঞতা বাড়বে। তখন রিশাদকে দলে নেওয়ার ক্ষেত্রে নির্বাচকরাই আগ্রহী হবেন। হান্নান সরকার বলেন টেস্ট ক্রিকেট নিয়ে রিশাদ অবশ্যই আমাদের পরিকল্পনায় আছে। দীর্ঘ ফরম্যাটের খেলায় তার অভিজ্ঞতার অনেক অভাব রয়েছে। সে টি–টোয়েন্টিতে ৪ ওভার এবং ওয়ানডেতে ১০ ওভারে অভ্যস্ত। কিন্তু টেস্ট ক্রিকেটে তাকে ১৫–২০ ওভার বল করতে হতে পারে। আমরা এখনও তাকে সেই কাজের চাপ সামলাতে দেখিনি। আমরা চাই টেস্ট স্কোয়াডে আসার আগে সে দীর্ঘ ফরম্যাটে অভিজ্ঞতা অর্জন করুক। রিশাদ যদি দলে যোগ দেয়, তাহলে এটি দারুণ কিছু হবে। একজন লেগস্পিনার যেকোনো ফরম্যাটেই শক্তিশালী সম্পদ হতে পারে। বাংলাদেশের জার্সিতে ২৪টি টি–টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন রিশাদ। আর ওয়ানডে ফরম্যাটে খেলেছেন মাত্র ৩টি ম্যাচ। যে কারণেই নির্বাচকরা মনে করছেন, টেস্ট খেলার জন্য রিশাদের আরও অভিজ্ঞতা দরকার আছে। সেটি হলেই লেগস্পিনারকে টেস্ট দলে নেওয়া হবে।