আইসিসির টেস্ট স্ট্যাটাস পেয়েছে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে আইসিসি। আইসিসির বোর্ড ও কমিটির মিটিংয়ে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। বাংলাদেশসহ নতুন করে আফগানিস্তান এবং জিম্বাবুয়ে নারী ক্রিকেট দলকে টেস্ট স্ট্যাটাস দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গতকাল শুক্রবার আইসিসির এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বোর্ড সভায় আইসিসির পূর্ণাঙ্গ নারী দল সদস্যদের ওয়ানডে এবং টেস্ট স্ট্যাটাস দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ বাংলাদেশ, আফগানিস্তান ও জিম্বাবুয়ে নারী ক্রিকেট দল এখন থেকে টেস্ট ম্যাচও খেলতে পারবে। এর আগে টেস্ট খেলতে পারতো ১০টি নারী ক্রিকেট দল। দলগুলো হলো-অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা, নিউজিল্যান্ড, পাকিস্তান, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, শ্রীলঙ্কা এবং আইসিসির দুই সহযোগী দেশ নেদারল্যান্ড এবং আয়ারল্যান্ড নারী দল। এবার এই অভিজাত ক্লাবে নাম উঠল বাংলাদেশসহ জিম্বাবুয়ে, আফগানিস্তানেরও। উল্লেখ্য, ২০০০ সালে পুরুষ ক্রিকেটে টেস্ট স্ট্যাটাস পেয়েছিল বাংলাদেশ দল।
এদিকে ঘরোয়া ক্রিকেটে বড় দৈর্ঘ্যের সংস্করণ চালু করে, একটু প্রস্তুতি নিয়ে মেয়েদের টেস্ট মর্যাদার জন্য আবেদন করার ভাবনায় ছিল বিসিবি। এর আগেই আইসিসি সব পূর্ণ সদস্য দেশের নারী দলকে স্থায়ীভাবে টেস্ট ও ওয়ানডে মর্যাদা দিয়ে দিয়েছে। টেস্ট মর্যাদা পাওয়ার আনন্দে অবশ্য ভেসে যাচ্ছে না বাংলাদেশ। তড়িঘড়ি করে কোনো টেস্ট আয়োজন না করে মেয়েদের ঘরোয়া ক্রিকেটকে নতুন করে সাজানোর পরিকল্পনা করছে বিসিবি।
বিসিবির নারী বিভাগের ম্যানেজার তৌহিদ মাহমুদ জানান, আইসিসির ঘোষণার পর পরিকল্পনা গুছিয়ে আনার কাজ শুরু করেছেন তারা। টেস্ট খেলার জন্য নির্দিষ্ট কোনো সময়ের দিকে তাকিয়ে নেই তারা। মাঠে নামতে চান পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়েই।
সামনে প্রচুর কাজ, শুরু করতে চাই ঘরোয়া ক্রিকেট দিয়ে। আইসিসি আমাদের এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি। তারা আমাদের আনুষ্ঠানিকভাবে জানাবে। একটা গাইডলাইন পাঠাবে। আমরা সেই গাইডলাইনের জন্য অপেক্ষা করছি। সেটা অনুযায়ীই আমরা এগোবো। আমি মনে করি, বাংলাদেশের মেয়েদের ক্রিকেটের জন্য, এটা খুব ইতিবাচক একটি ব্যাপার হলো। মেয়েদের ক্রিকেটে আমরা হয়তো একটা সময় পর টেস্ট মর্যাদার জন্য আবেদন করতাম। সেটা আগেভাগেই পেয়ে গেলাম। এখন খেলোয়াড়রা অনেক বেশি অনুপ্রাণিত থাকবে। আরও অনেক বেশি মেয়ে ক্রিকেটকে ইতিবাচকভাবে নেবে। করোনাভাইরাসের জন্য দুই বছর ধরে থমকে আছে মেয়েদের বড় দৈর্ঘ্যের টুর্নামেন্টের পরিকল্পনা। টেস্ট মর্যাদা পাওয়ার পর প্রথম সুযোগেই এই টুর্নামেন্ট শুরুর তাগিদ অনুভব করছেন তৌহিদ।
বিসিবির নারী ক্রিকেট বিভাগের প্রধান শফিউল ইসলাম চৌধুরী নাদেল জানান, আইসিসির ঘোষণায় এ দেশের মেয়েদের ক্রিকেটের চেহারা পাল্টে দেওয়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে। এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত আনন্দের ও গর্বের। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর বছরে আইসিসি টেস্ট মর্যাদা দেওয়ার এই সিদ্ধান্তটা নিল।