পুরনো বাইক কিনতে এসে ‘টেস্ট ড্রাইভ’ বা চালিয়ে পরীক্ষা করে দেখার নামে দামী মোটরসাইকেল নিয়ে চম্পট দিয়েছিলেন তারা। ঘটনার ব্যাপারে মোটরসাইকেলের মালিক থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ একজনকে গ্রেপ্তার করে। উদ্ধার করা হয় চুরি হওয়া মোটরসাইকেলটি। সংঘবদ্ধ এই চক্রের অপর সদস্যদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান চলছে বলে সিএমপি সূত্র জানিয়েছে।
সিএমপির বাকলিয়া থানার অভিযানে গ্রেপ্তার করা ওই যুবকের নাম আজিজুর রহমান।
পুলিশ জানিয়েছে, গত ২১ নভেম্বর সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ বাকলিয়া থানাধীন শাহ আমানত সেতুর সংযোগ সড়কস্থ কেবি কনভেনশন হলের সামনে দুইজন ব্যক্তি ইমতিয়াজ আলম রিহান নামের এক যুবকের কাছ থেকে লাল রঙের একটি ১৫০ সিসির সুজুকি মোটরসাইকেল কিনতে আসেন। গাড়ি দেখা এবং ২ লাখ ৬ হাজার টাকা দর দাম ঠিক করার পর তারা টেস্ট ড্রাইভে যাওয়ার কথা বলে। এই সময় দুই যুবকই দামী মোটরসাইকেলটি নিয়ে টেস্ট ড্রাইভে যান। রিহান কনভেনশন সেন্টারের সামনে অপেক্ষা করতে থাকেন। কিন্তু দীর্ঘক্ষণ পরও তারা আর মোটরসাইকেল নিয়ে ফিরে আসেননি। রিহান বুঝতে পারেন তিনি প্রতারিত হয়েছেন। বাইক কেনার নাম করে প্রতারক চক্র তার গাড়িটি নিয়ে চম্পট দিয়েছে।
ইমতিয়াজ আলম রিহান বাকলিয়া থানায় গিয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। গত শনিবার বিকেলে খুলশী থানাধীন পাহাড়তলী চক্ষু হাসপাতালের সামনে থেকে পুলিশ মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করে এবং মোহাম্মদ আজিজুর রহমান নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করে। আজিজুর রহমান রাঙ্গুনিয়ার পোমরা এলাকার জনৈক আলী আহম্মদের পুত্র বলে পুলিশ জানিয়েছে।