সাকিব এবং মুশফিক দুজনই বিকেএসপির ছাত্র। তকে মুশফিক এক বছর সিনিয়র সাকিবের চাইতে। তাই সাকিব ডাকেন ‘মুশফিক ভাই’। ২০০৩ সাল থেকে এক সাথে খেলছেন দুজন। দেশের ক্রিকেটে দুজনের একসঙ্গে পথচলা যেমন দীর্ঘদিনের, একটি জায়গায় তেমনি এখন পাশাপাশিই দুজন।
বাংলাদেশের হয়ে টেস্টে সবচেয়ে বেশি ম্যান অব দা ম্যাচ এখন যৌথভাবে তারা দুজনই। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে মিরপুর টেস্টে প্রথম ইনিংসে ১২৬ রানের পর দ্বিতীয় ইনিংসে ৫১ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন মুশফিক। টেস্ট ক্যারিয়ারে প্রথমবার একই ম্যাচে তিনি করলেন সেঞ্চুরি ও ফিফটি। এই পারফরম্যান্স
তাকে এনে দেয় ম্যাচ সেরার স্বীকৃতি। এই নিয়ে টেস্টে ৬ বার ম্যান অব দা ম্যাচ হলেন মুশফিক। সমান সংখ্যকবার এই সম্মান পেয়েছেন সাকিবও। সাকিব টেস্টে সবশেষ ম্যাচ সেরা হন ২০১৭ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে মিরপুর টেস্টে। মুশফিক তখনও পর্যন্ত সেরা হতে পেরেছিলেন ৩টি টেস্টে। পরে ২০১৮ সালে
মিরপুরে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ডাবল সেঞ্চুরি করে সেরা হন তিনি। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আরেকটি ডাবল সেঞ্চুরি করে সেরার স্বীকৃতি পান আবারও। এবারের আগে দেশের মাঠে বাংলাদেশের সবশেষ জয় ছিল সেটিই। মুশফিক প্রথম ম্যাচ সেরা ২০১৩ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গল টেস্টে ডাবল
সেঞ্চুরি করে। যা ছিল বাংলাদেশের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি। কদিন পর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হারারে টেস্টে সেরা হন তিনি দুই ইনিংসে ৬০ ও ৯৩ রানের ইনিংসে। পরে ২০১৫ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বৃষ্টিবিঘ্নিত মিরপুর টেস্টে ৬৫ রানের ইনিংসেই সেরার পুরস্কার পান তিনি। সাকিবের হাতে প্রথমবার সেরার পুরস্কার
ওঠে ২০০৮ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মিরপুর টেস্টে। এরপর ২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে গ্রেনাডায় দলকে জিতিয়ে সেরা হন তিনি। ২০১০ সালে সেরার স্বীকৃতি পান ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মিরপুর টেস্টে। ২০১১ সালে পান পাকিস্তানের বিপক্ষে মিরপুর টেস্টে। ২০১৪ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে খুলনায় এবং
সবশেষ ২০১৭ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে মিরপুরে। এবার আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট দিয়ে মুশফিক খেললেন ৮৫ টেস্ট। সাকিব খেলেছেন ৬৬টি। এছাড়াও বাংলাদেশের হয়ে ৫৬ টেস্টে ৪ বার সেরা হয়েছেন মোমিনুল হন। ৬১ টেস্টে ৩ বার সেরা হয়েছেন মোহাম্মদ আশরাফুল। ৭০ টেস্টে ৩ বার তামিম ইকবাল।
        











