টেস্ট ও ওয়ানডে থেকে আত্মবিশ্বাস নিয়েছেন বলে জানালেন লিটন

স্পোর্টস ডেস্ক | শনিবার , ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪ at ১১:০০ পূর্বাহ্ণ

টেস্ট সিরিজের শেষটা বাংলাদেশ করেছিল দারুণই। শেষ ম্যাচ জিতে সমতা নিয়েই ইতি ঘটেছিল সাদা পোশাকের ক্রিকেটে। কিন্তু ওয়ানডেতে রীতিমতো দুঃসহ স্মৃতি। একে একে তিন ম্যাচ হেরে হোয়াইটওয়াশই হতে হয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে। অথচ ওয়ানডে সিরিজেও সুযোগ ছিল ভাল কিছু করার। এরপর স্বাভাবিকভাবেই বাংলাদেশের আত্মবিশ্বাস তলানিতে থাকার কথা। কিন্তু বাংলাদেশ টিটোয়েন্টিতে উল্টো স্বাগতিকদেরই হোয়াইটওয়াশ করেছে। মজার ব্যাপার, এরপর অধিনায়ক লিটন দাস জানিয়েছেন, আগের দুই ফরম্যাটের সিরিজ থেকেই আত্মবিশ্বাস নিয়েছেন তারা। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তিনি বলেন আমরা টেস্ট ও ওয়ানডেতে খুব ভালো খেলেছি। যদিও দুর্ভাগ্যবশত জিততে পারিনি। তবে আত্মবিশ্বাসটা ছিল। আমরা জানি খুব ভালো বোলিং উইকেট ছিল এখানে। যদি আমরা ভালো একটা রান করতে পারি, ম্যাচ জেতার মতো বোলার আছে আমাদের। দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের কিছুদিন আগে হেড কোচ হন ফিল সিমন্স। এরপর দুবাই হয়ে তাকে যেতে হয়েছে ক্যারিবীয়ানে। সিমন্স নিজেও ক্যারিবীয়ান। এখন তার অধীনে বাংলাদেশ হোয়াইটওয়াশ করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। তাকে নিয়েও কথা বলেন লিটন। তিনি বলেন সিমন্স কখনো চাপ দেন না। ক্রিকেট খেলায় আমরা স্বাধীনতা পাই। শুধু সে না কিন্তু সব কোচিং স্টাফ ও ম্যানেজম্যান্ট সাহায্য করেছে। আমরা প্রতিদিনই উন্নতি করছি। এই উইকেট ব্যাটিংয়ের জন্য খুব ভালো ছিল। আমাদের বোলাররা যা করেছে, চমৎকার। ৩ ম্যাচে ৮ উইকেট নিয়েছেন মাহেদী হাসান। তিনি হয়েছেন সিরিজ সেরাও। অথচ মাস ছয়েক আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজে হওয়া বিশ্বকাপে সুযোগ পাননি মাহেদী। তখন কম্বিনেশনের কারণে সুযোগ না পাওয়া নিয়ে আফসোস নেই মাহেদীর। তবে এই উইকেটে কীভাবে বল করতে হবে, বুঝে গিয়েছিলেন তখনই। তিনি বলেন আমি এই ধরনের বোলিং উইকেট উপভোগ করি। কারণ বিশ্বকাপের সময় দেখেছি, এই উইকেটে টার্ন করে, বল নিচু হয়। এই সিরিজের আগে আমরা পরিকল্পনা করছিলাম, উইকেট টু উইকেট বল করতে হবে। এই ধরনের উইকেটে একুরেসিটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবিজয় দিবস তায়কোয়ানদো প্রতিযোগিতার উদ্বোধন
পরবর্তী নিবন্ধএকসঙ্গে বিপিএল খেলেই পুরানকে বুঝতে পারে মেহেদি