কক্সবাজারের টেকনাফে মাদ্রাসা পড়ুয়া শিশু কন্যাকে হত্যার পর বস্তাবন্দি করে রাখার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ২ জনকে আটক করা হয়েছে। রবিবার (২২ সেপ্টেম্বর) উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপ ডাঙ্গুরপাড়ায় এই অভিযান চালানো হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ থানার ওসি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন। আটকরা হলেন, নুর হাফেজ ও আল কামাল। তারা দুজনেই সারবরাং ইউনিয়নের শাহপরীরদ্বীপ ডাঙ্গুরপাড়ার বাসিন্দা। মৃত তাহমিনা আক্তার (৭) একই এলাকার আবদুল জলিলের মেয়ে। সে স্থানীয় একটি নূরানী মাদ্রাসার প্রথম শ্রেণীর ছাত্রী।
জানা যায়, গত শনিবার তাহমিনা আক্তার প্রতিদিনের মতো নূরানী মাদ্রাসায় পড়তে যায়। বেলা ১১ টার দিকে ক্লাস শেষে বাড়ি ফিরে আসে। পরে বাড়ি থেকে প্রতিবেশী অন্য শিশুদের সঙ্গে খেলতে বের হয়। দুপুরের পরও শিশু তাহমিনা বাড়িতে ফিরে না আসায় স্বজনেরা বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করে। পরে সন্ধান না পাওয়ায় গাড়িযোগে মাইকিং করে প্রচারণা চালানো হয়। একপর্যায়ের রাত ৯ টার দিকে শাহপরীরদ্বীপের ডাঙ্গর পাড়ায় রাস্তার পাশে স্থানীয়রা সন্দেহজনক একটি বস্তা পড়ে থাকতে দেখেন। পরে তারা বস্তাটি খুলে একজন মেয়ে শিশুর মৃতদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃতদেহটি উদ্ধার করেছে। মৃতের গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। শরীরের অন্য কোথাও আঘাতের চিহ্ন না থাকায় পুলিশের ধারণা শিশুটিকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে।
টেকনাফ থানার ওসি গিয়াস উদ্দিন বলেন, এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহজনক দুই আসামি সাবরাং ইউনিয়নের ডাঙ্গুরপাড়ায় অবস্থান করছে বলে রোববার দুপুরে স্থানীয়রা পুলিশের পাশাপাশি র্যাব ও কোস্টগার্ডকে খবর দেয়। পরে যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে দুইজনকে আটক করা হয়েছে। ঘটনার রহস্য উদঘাটনে আটকদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। রোববার দুপুরে মৃতের লাশ কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান ওসি গিয়াস উদ্দিন।