কিশোরগঞ্জ থেকে পরিাবেরর ভাগ্য পরিবর্তনের আশায় টেকনাফে ব্যবসা করতে এসে লাশ হয়ে ফিরল মোহাম্মদ মানিক(২২) নামের এক যুবক।
টেকনাফ পৌরসভার অলিয়াবাদস্থ আবাসিক হোটেল আল্ আব্বাস-এর ১১০ নং কক্ষ থেকে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় তাকে উদ্ধার করা হয়েছে।
নিহত যুবক কিশোরগঞ্জের বায়েজিদপুর থানার জুম্মাপরি গ্রামের দুদু মিয়ার ছেলে।
তার আত্মহত্যা রহস্যজনক বলে মনে করেন ঐ হোটেলে থাকা অন্যান্যরা।
জানা যায়, আজ শনিবার (১৪ নভেম্বর) হোটেলের ১১০নং কক্ষ থেকে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তবে কী কারণে তিনি নিজেই ফাঁসিতে ঝুলিয়ে আত্মহত্যা করেছেন তার সঠিক কারণ এখনো জানা যায়নি।
সাথে থাকা ভাই, ভগ্নিপতিসহ অন্যান্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে মূল রহস্য উদঘাটন হতে পারে।
ইতিপূর্বেও কয়েক বছর আগে ঐ হোটেলের পাহারাদারের (মালিকের ভাই পরিচয়ে) গলিত লাশ উদ্ধার করা হয়েছিল বলে একটি বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়।
জানা যায়, টেকনাফ পৌরসভায় ফুটপাত ও বিভিন্ন দোকানের বারান্দায় বসে মোহাম্মদ মানিক তার ভাই ও ভগ্নিপতিসহ ফল-ফলাদি বিক্রি করে আসছিলেন।
ঘটনার সময় দুপুরে ভাত রান্না করার বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়।
তাকে গালমন্দ করে ভাত রান্না করার জন্য হোটেলে পাঠায় তারা।
এদিকে দুপুর গড়িয়ে বিকেল হলেও তিনি ফিরে না আসায় তাকে খুঁজতে গেলে সেখানে গলায় গামছা পেঁচিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন।
গালমন্দের জের ধরেই তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলেও দাবি করেন তার সাথে থাকা ফলব্যবাসায়ীরা।
টেকনাফ মডেল থানার এসআই আব্দুল জলিল জানান, সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে হাসপাতালে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরির পর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাফিজুর রহমান সংবাদের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ঘটনার রহস্য উদঘাটন ও পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।