টেকনাফে বাহারছড়ার মারিশবনিয়া পাহাড়ে অপহরণের পাঁচ ঘণ্টা পর দুই শিশুকে ৭০ হাজার টাকা মুক্তিপণে উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানান স্বজনরা। গত শুক্রবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে তাদেরকে উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার হওয়া দুই শিশু হল টেকনাফ বাহারছড়ার মারিশবনিয়া পাড়ার বাসিন্দা দুবাই প্রবাসী
হোসেন আলীর ছেলে মো. সালমান (৪) এবং একই এলাকার মো. আলীর ছেলে ওবাইদুল্লাহ (১৬)। তারা দুইজনই সম্পর্কে চাচাতো ভাই। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলার বাহারছড়ার মারিশবনিয়া এলাকায় তারা অপহরণের শিকার হন।
অপহৃতদের চাচাতো ভাই হাসান মোহাম্মদ গালীব জানান, ৭০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দিয়ে প্রথমে শিশু মো. সালমানকে উদ্ধার করে নিয়ে আসি। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় আমরা পাহাড়ে ছুটে যাই। পাহাড়ের ঢালুতে অপহরণকারীদের কবলে থাকা অপর শিশু ওবাইদুল্লাহর কান্নার আওয়াজ শুনতে পেলে
অপহরণকারীদের ধাওয়া করি। এসময় অপহরণকারীরা ওবাইদুল্লাহকে একা রেখে পালিয়ে যায়।
তবে অপহরণের সাড়ে পাঁচ ঘণ্টার মধ্যে তাদেরকে গহীন পাহাড়ের ঢালু থেকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে দাবি করেছে পুলিশ। টেকনাফের বাহারছড়া পুলিশ ফাঁড়ির (তদন্তকেন্দ্র) ইনচার্জ মশিউর রহমান জানান, দুই শিশু অপহরণের খবর পেয়ে টেকনাফ থানা পুলিশের একটি দল অভিযান পরিচালনা করে। এসময়
মোবাইলের উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে অবস্থান শনাক্ত করে অপহরণের পাঁচ ঘণ্টা পর মারিশবনিয়া পাহাড়ের ঢালু থেকে দুই শিশুকে উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত সালমান বয়সে ছোট হওয়ায় তার মায়ের হেফাজতে দেওয়া হয়েছে। ওবাইদুল্লাহকে জিঙ্গাসাবাদের জন্য থানা পুলিশের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে বলে জানান এ কর্মকর্তা। তবে মুক্তিপণের বিষয় সম্পর্কে তিনি অবগত নয় বলেও জানান।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার বিকেলে ওবাইদুল্লাহ ও সালমান বাহারছড়া বাজারে চুল কাটার কথা বলে ঘর থেকে বের হয়। সেলুনে ভিড় থাকায় চুল না কেটে বাড়িতে ফেরার পথে মারিশবনিয়া মাদ্রারাসার সামনে তাদের ধরে নিয়ে যায় অপহরণকারীরা। এর দুই ঘণ্টা পর অপহৃত ওবাইদুল্লাহর মুঠোফোন থেকে তার মাকে ফোন করে ৪ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারীরা। তারা পাহাড়ি সন্ত্রাসী গ্রুপ হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
