টেঁয়া কামাইতে বুদ্ধি লাগে

আজাদী প্রতিবেদন | সোমবার , ৩০ অক্টোবর, ২০২৩ at ৬:৪২ পূর্বাহ্ণ

বঙ্গবন্ধু টানেল চালু হওয়ার প্রথম দিন গতকাল অনেক মানুষ টানেল দেখতে আসেন। তাদের ইচ্ছে টানেল পার হবেন। কিন্তু কীভাবে? তাদের তো গাড়ি নেই। এই সুযোগে এগিয়ে আসে কয়েকটি মাইক্রোবাস। এইসব গাড়ির চালক যাত্রীদের জনপ্রতি ২৩শ টাকা নিয়ে টানেল পারাপার করেন। এতে ওইসব লোকের টানেল দেখা হলো আর মাইক্রো চালকেরও লাভ হলো। এভাবে আয় করার সুযোগ, কয়েকজন যাত্রী মন্তব্য করেন, টেঁয়া কামাইতে বুদ্ধি লাগে। মানে টাকা রোজগার করতে বুদ্ধির দরকার হয়।

গতকাল সকাল থেকে রাত পর্যন্ত এইসব মাইক্রোবাস আগ্রহী মানুষকে টানেল দেখায়। এতে তাদের বাড়তি টাকা আয় হয়। শনিবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল উদ্বোধন করেন। ওইদিন শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রীর বহরে থাকা ২১টি গাড়ি টানেল পার হয়েছে। গতকাল সকাল ৬টা থেকে টানেল পুরোদমে চালু করা হয়। গতকাল দিনভর শত শত গাড়ি টানেল পার হয়।

টানেলের ভিতর দিয়ে সাইকেল, মোটরসাইকেল, সিএনজি টেক্সিসহ সব ধরনের দুই এবং তিন চাকার গাড়ি পারাপার নিষিদ্ধ। পায়ে হেঁটেও কেউ টানেল পারাপারের সুযোগ পাবেন না। কিন্তু গতকাল সকাল থেকে উচ্ছ্বসিত অনেক মানুষ মোটরসাইকেল ও সিএনজি টেক্সি নিয়ে হাজির হন পতেঙ্গা ও আনোয়ারা প্রান্তে। তারা টানেল পার হওয়ার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেন। কিন্তু সুযোগ না থাকায় অনেকে হতাশ হন। এ সময় এগিয়ে আসে একটি মাইক্রোবাস। মাইক্রোর চালক ঘোষণা দেন, ৩শ টাকায় তিনি টানেল পারাপার করবেন। তার দেখাদেখি আরো তিনচারটি মাইক্রোবাস যাত্রী পারাপার শুরু করেন। তারা ৩শ টাকায় যাত্রী নিয়ে টানেলের ভিতর দিয়ে পতেঙ্গা থেকে আনোয়ারা প্রান্তে যান। সেখান থেকে পতেঙ্গা প্রান্তে নিয়ে আসেন। শুরুতে ৩শ টাকা থাকলেও পরে তা কমিয়ে ২শ টাকা করা হয়। মাইক্রোবাসগুলোতে ১০/১২ জন যাত্রী বোঝাই করে চালক টানেলের ভিতর দিয়ে আসাযাওয়ায় ৪শ টাকা টোল প্রদান করে প্রতি ট্রিপে প্রায় ২ হাজার টাকা আয় করেন। এজন্য মাত্র ১৫ থেকে ২০ মিনিট সময় লাগছিল। মাইক্রো চালকদের অভিনব এই ব্যবসা দেখে যাত্রীদের কয়েকজন মন্তব্য করেন, টেঁয়া কামাইতে বুদ্ধি লাগে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমেয়েকে নিয়ে ঘুমাতে যাওয়া গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
পরবর্তী নিবন্ধরাষ্ট্র ব্যবস্থাকে চ্যালেঞ্জ করেছে বিএনপি : কাদের