জার্মান জৈবপ্রযুক্তি কোম্পানি বায়োএনটেক জানিয়েছে, ফাইজারকে সঙ্গে নিয়ে তারা যে কোভিড-১৯ টিকা বানিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকায় শনাক্ত করোনাভাইরাসের নতুন উদ্বেগজনক ভ্যারিয়েন্টকে মোকাবেলায় তাতে কোনো পরিবর্তন আনা লাগবে কিনা সে বিষয়ক আরও তথ্যউপাত্ত দুই সপ্তাহের মধ্যেই পাওয়া যাবে বলে আশা করছে তারা। ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে বিশ্বজুড়ে তুমুল উদ্বেগের মধ্যে গত শুক্রবার দেওয়া এক বিবৃতিতে তারা এ কথা জানায় বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। করোনাভাইরাসের টিকানির্মাতা প্রতিষ্ঠানটি বলেছে, প্রয়োজন পড়লে আনুমানিক ১০০ দিনের মধ্যে উদ্ভূত ভ্যারিয়েন্টের উপযোগী টিকা বানিয়ে তা সরবরাহ করা যাবে বলেও তারা আশাবাদী। খবর বিডিনিউজের। ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে কী করছে জানতে চাইলে উত্তরে দেওয়া বিবৃতিতে বায়োএনটেক জানায়, বিশেষজ্ঞদের উদ্বেগের বিষয়টি বুঝতে পারছি আমরা, যে কারণে তাৎক্ষণিকভাবে বি.১.১.৫২৯ কে নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু করেছি। আমরা আশা করছি গবেষণাগারে পরীক্ষা-নিরীক্ষা থেকে আমরা দুই সপ্তাহের মধ্যে আরও তথ্যউপাত্ত পাবো; তা আমাদের জানাতে পারবে বি.১.১৫২৯ ভ্যারিয়েন্টটি টিকার সুরক্ষাকে পাশ কাটাতে পারে কিনা এবং ভ্যারিয়েন্টটি বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়লে আমাদের টিকায় কোনো পরিবর্তন আনতে হবে কিনা। টিকানির্মাতা আরেক প্রতিষ্ঠান মডার্নাও এক বিবৃতিতে বলেছে, তারা নতুন ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে কার্যকর একটি বুস্টার ডোজ বানানোর কাজ শুরু করেছে। কমতে থাকা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য এখন একমাত্র কৌশল হচ্ছে অনুমোদিত ভ্যাকসিনের বুস্টার ডোজ।
