টেকনাফ উপজেলায় দুটি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দুজন শিক্ষার্থী টিকটক ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান থেকে তাদের বহিস্কার করেছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। গতকাল রোববার সকালে এ ঘটনায় পৃথক দুটি বিদ্যালয়ের দুজন শিক্ষার্থীকে বহিস্কার করা হয়েছে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ উপজেলা ভারপ্রাপ্ত মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও একাডেমিক সুপারভাইজার নুরুল আবসার।
বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার আইডিয়াল পাবলিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির এক ছাত্র ও স্থানীয় মলকা বানু উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রী নিজেরা টিকটক তৈরি করে তা ফেসবুকে পোস্ট করে। এ ঘটনায় টিকটককারী ওই দুই শিক্ষার্থীকে নিয়ে এলাকার বিভিন্ন মহলে সমালোচনা হয়। বিষয়টি নিয়ে নিজ নিজ বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হয়। পরে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের মাধ্যমে অভিযুক্ত ওই দুই শিক্ষার্থীকে ডেকে তাদের শাস্তি হিসেবে বিদ্যালয় থেকে বহিস্কার করা হয় এবং নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের শ্রেণিকক্ষে নোটিশের মাধ্যমে অন্য শিক্ষার্থীদের এ ধরনের কাজ থেকে বিরত থাকার জন্য নোটিশ জারি করা হয়।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ৩ জুন শ্রেণিকক্ষে টিকটক করায় টেকনাফের একটি বিদ্যালয় থেকে অভিযুক্ত তিন ছাত্রকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। ওই ঘটনার একজন শিক্ষার্থী আজকের ঘটনায় জড়িত ছিল। আইডিয়াল পাবলিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ জামিল জানান, স্কুল হচ্ছে পড়ালেখা শেখার জায়গা। এটা কোনো টিকটক করার জায়গা নয়। অভিযুক্ত এক ছাত্রকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। যাতে তার মতো আর কোনো শিক্ষার্থী এসব করার সাহস না পায়। শিক্ষক ও স্কুল পরিচালনা কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাকে বহিস্কার করা হয়েছে। ওই ছাত্রীর বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ ইসমাইল জানান, বিদ্যালয়ে নিয়মশৃক্সখলা পরিপন্থী কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে এক ছাত্রীকে বিদ্যালয় থেকে পরিচালনা কমিটি ও শিক্ষকদের সিদ্ধান্ত অনুসারে স্থায়ীভাবে বহিস্কার করা হয়। প্রতিটি শ্রেণিকক্ষে টিকটক থেকে বিরত থাকার পাশাপাশি স্কুলের নিয়মশৃক্সখলা মেনে চলার জন্য নোটিশ জারি করা হয়েছে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী বলেন, ‘বিদ্যালয়ে নিয়মশৃক্সখলা পরিপন্থী কোনো কাজে শিক্ষার্থীরা জড়িত থাকলে সে ব্যাপারে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে। তবে স্থানীয় অভিভাবকদের সচেতন হওয়ার জন্য আমি অনুরোধ জানাব। এখন শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার সময়।