করোনাকালে ক্রিকেটারদের একটি নির্দিষ্ট নিয়মের মধ্য দিয়ে যেতে হয়। আর নিয়মটি হচ্ছে জৈব-সুরক্ষা বলয়। এই বলয়টা মেনে নেওয়া ক্রিকেটারদের জন্য বেশ কঠিন। তারপরও খেলার স্বার্থে মেনে নিতে হচ্ছে বিশ্বব্যাপি। জিম্বাবুয়ে সফরে টি-টোয়েন্টি সিরিজে না খেলার কথা বিসিবিকে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুশফিকুর রহিম। কিন্তু এখন তাকে বাধ্য হয়েই খেলতে হচ্ছে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ। মূলত জৈব সুরক্ষা বলয়ের কারণেই সিদ্ধান্তে পরিবর্তন আনতে হচ্ছে মুশফিককে। পরের সিরিজে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলতে হলে জিম্বাবুয়েতে টি-টোয়েন্টি সিরিজের সময়ও থাকতে হবে এই বলয়ে। বাংলাদেশ সফরের জন্য অস্ট্রেলিয়া যে কঠিন কিছু শর্ত দিয়েছে, তারই অংশ হিসেবে নিজের সিদ্ধান্তে বদল এনেছেন মুশফিক। তেমনটি জানালেন প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু। অস্ট্রেলিয়া সিরিজের জন্য অন্তত ১০ দিন আগে থেকে বায়ো-বাবলে থাকতে হবে ক্রিকেটারদের। মুশফিক জিম্বাবুয়েতে ওয়ানডে খেলে দেশে ফিরে এলে অস্ট্রেলিয়া সিরিজে তার খেলা কঠিন হবে। এ বিষয়টা নিয়েই আমরা আলোচনা করেছি। আপাতত মুশফিককে জিম্বাবুয়েতে টি-টোয়েন্টি সিরিজেও থাকতে হবে।
যদিও মুশফিকের জন্য ব্যাপারটি কঠিন। আসলে এই সময়ে সব দেশের ক্রিকেটারদের জন্যই টানা বাবলে থাকা কঠিন হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু এই বাস্তবতায় আর কিছু করার নেই। অস্ট্রেলিয়া দল বাংলাদেশে আসবে ২৯ জুলাই। জিম্বাবুয়ে সফর শেষ করে একই দিনে দেশে ফিরবে বাংলাদেশ দলও। ফিরেই সরাসরি টিম হোটেলে সুরক্ষা বলয়ে ঢুকতে হবে দলকে। জিম্বাবুয়েতে বাংলাদেশের ওয়ানডে সিরিজ শেষ ২২ জুলাই। এরপর মুশফিকের দেশ ফেরার কথা ছিল। কিন্তু ১০ দিন সুরক্ষা-বলয়ে থেকে অস্ট্রেলিয়া সিরিজে খেলতে হলে জিম্বাবুয়েতে তার থেকে যাওয়া ছাড়া উপায় নেই। মহামারীকালের অন্য সব সিরিজের মতো জিম্বাবুয়ে সিরিজও হচ্ছে সুরক্ষা বলয়েই। প্রধান নির্বাচক জানান, শুধু মুশফিক নয়, ওয়ানডে দলের আরও ক্রিকেটারকে রেখে দেওয়া হবে জিম্বাবুয়েতে টি-টোয়েন্টি সিরিজে। যেহেতু ১০ দিন আগে বাবলে ঢোকার ব্যাপার আছে তাই সতর্কতা হিসেবে ওয়ানডে দলের আরও দু-তিন জন ক্রিকেটারকে জিম্বাবুয়েতে টি-টোয়েন্টি সিরিজে রেখে দেব আমরা। কারণ কারও ইনজুরি হতেপারে কিংবা অসুস্থ হতে পারে। সতর্কতা হিসেবেই বাড়তি ক্রিকেটার আমরা বাবলে রেখে দেব। আগামীকাল বৃহস্পতিবার চূড়ান্ত হবে ওয়ানডে দলের কয়জন ক্রিকেটার টি-টোয়েন্টির সময়ও থাকবে। জিম্বাবুয়েতে বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি সিরিজের তিন ম্যাচ আগামী ২৩, ২৫ ও ২৭ জুলাই। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি সিরিজ আগামী মাসের শুরুতে। মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে ৫টি টি-টোয়েন্টি খেলবে দুই দল।