শ্রীলংকা সফর এখন আর হচ্ছে না। তাই এবার ঘরোয়া ক্রিকেট শুরু করতে চায় বিসিবি। বাংলাদেশ দলের শ্রীলংকা সফর স্থগিত হওয়ার পর দেশে ক্রিকেট ফেরানোর এই পরিকল্পনা সাজিয়েছে বিসিবি। জাতীয় ক্রিকেটারদের ক্যাম্পে রোববার থেকে চলছে তিন দিনের বিরতি। অনুশীলন আবার শুরুর পর নিজেদের মধ্যে দুটি দুই দিনের ও একটি তিন দিনের ম্যাচ খেলবে ক্রিকেটাররা। এই সময়েই দেশে ঘরোয়া ক্রিকেট ফেরানোর সব আয়োজন সম্পন্ন করা হবে বলে জানালেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান। করোনা পরিস্থিতি তো আমাদের এখানে এখনও ভালো হয়নি। তবে আমরা খেলা শুরু করব। যদিও ক্রিকেটারদের ক্যাম্প চলবে আরও ১৫ দিন। এরপরই আমরা ঘরোয়া ক্রিকেট শুরু করব। প্রথমে আমরা চিন্তা করছি ৫–৬টি দল নিয়ে শুরু করব। ৬টি দল হলে ৯০ জন ক্রিকেটার। যত বেশি ক্রিকেটারকে রাখা যায় তত ভালো। ওদেরকে নিয়ে একটা টুর্নামেন্ট করতে পারি। কর্পোরেট লিগ হতে পারে বা বিসিবির দল বা যে কোনো কিছু। আবার আমাদের জাতীয় দল, অনূর্ধ্ব–১৯ দল, এইচপি, ওদের নিয়ে তিন–চারটা দল করে করা যায়। ওদের নিয়ে একটা টুর্নামেন্টও সম্ভব। এটা নিয়েই আলাপ হয়েছে। দুটির একটি অবশ্যই করে ফেলব। এই টুর্নামেন্ট হবে ২০ ওভারের সংস্করণে। এরপর ঘরোয়া ক্রিকেটে মূল স্রোতে প্রবেশ করার চেষ্টা করা হবে বলে জানালেন বিসিবি সভাপতি। এই টুর্নামেন্টের পর ঘরোয়া ক্রিকেট লিগের খেলাগুলো চালু করব। তবে টি–টোয়েন্টি টুর্নামেন্টটি নিশ্চিত হলেও ঘরোয়া অন্যান্য টুর্নামেন্টগুলো নির্ভর করবে অনেক পারিপার্শ্বিকতার ওপর। ক্রিকেটারদের নিরাপদ থাকার ওপর সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হবে।
বিসিবি সভাপতি জানান খেলা চালু করার চাইতে বড় কথা হচ্ছে নিরাপত্তা নিশ্চিত করব কিভাবে? খেলোয়াড়দের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সে কারণেই ক্লাবগুলোকে ডেকে খেলোয়াড়দের সঙ্গে বসতে এবং আমাদেরকে একটা পরিকল্পনা দিতে। আমাদের কাছে যদি মনে হয় সেই পরিকল্পনা মোটামুটি সন্তোষজনক তাহলে আমরা দ্রুত খেলা চালু করে দেব।