নারী টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে এ সময়টাতে দেশেই থাকার কথা ছিল বাংলাদেশের নারী ক্রিকেটারদের। কারণ এই বিশ্বকাপ বাংলাদেশে হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ৫ আগস্টের পর দেশের পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে নারী টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের এবারের আসর বাংলাদেশ থেকে সরিয়ে নেয় সংযুক্ত আরব আমিরাতে। আর সে বিশ্বকাপে অংশ নিতে গতকাল বিকেল সোয়া চারটায় সংযুক্ত আরব আমিরাতে পৌঁছে গেছে। এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় ঢাকার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেন বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। আগামী ৩ অক্টোবর শুরু হবে নারী টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসর। এবারের আসরে বাংলাদেশ দলের নেতৃত্ব দেবেন নিগার সুলতানা জ্যোতি। টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের এবারের আসর আরব আমিরাতে হলেও আয়োজক দেশ হিসেবে থাকবে বাংলাদেশের নামই। যে কারণে বাংলাদেশের ম্যাচ দিয়েই শুরু হবে বিশ্বকাপের আসর। বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ ৩ অক্টোবর স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে। শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে হবে ম্যাচটি। ‘বি’ গ্রুপে বাংলাদেশের মেয়েদের অন্য প্রতিপক্ষ হিসেবে অপেক্ষা করছে ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ। যেখানে ৫ অক্টোবর ইংল্যান্ড, ১০ অক্টোবর ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং ১২ অক্টোবর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ দল।
সর্বশেষ চার টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে একবারও জয়ের দেখা পায়নি বাংলাদেশ। ২০১৪ সালের টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দুটি ম্যাচ জিতেছিল বাংলাদেশ দল। কিন্তু সে টুর্নামেন্টে এই দলের কেউই ছিলেন না। তবে এবার খোলাস থেকে বের হতে চায় জ্যোতিরা। গত মঙ্গলবার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে সংবাদ সম্মেলনে সেই প্রত্যাশার কথা জানিয়েছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। তিনি বলেন যেহেতু এই আসরে আমাদের প্রথম ম্যাচ স্কটল্যান্ডের সাথে তাই আমরা চাইব জয় দিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করতে। এরই মধ্যে এই নারী টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপকে সামনে রেখে বাংলা নারী ‘এ’ দলের আদলে জাতীয় দলের সব ক্রিকেটারকে শ্রীলংকা সফর করানো হয়। সেখানে বেশ ভাল করেছে জ্যোতিরা স্বাগতিকদের বিপক্ষে। যে কটি ম্যাচ হয়েছে সেখানে তার মধ্যে মাত্র একটি ম্যাচে হেরেছে বাংলার নারীরা। তাই নিজেদের প্রস্তুতিটা বেশ ভাল হয়েছে বলে মনে করছে বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক। এর আগে ঘরের মাঠে জাতীয় লিগে খেলেছে সব নারী ক্রিকেটার। সে ফরমেটটিও ছিল টি–টোয়েন্টির। যেহেতু প্রথমে এই টুর্নামেন্ট বাংলাদেশে হওয়ার কথা ছিল, সে হিসেবে সব কিছুর প্রস্তুতি ছিল। পরে যখন ভেন্যু বদলে গেল তখন বাংলাদেশ দলের প্রস্তুতির পরিকল্পনায়ও আনতে হয় পরিবর্তন।
বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন তারা প্রথম ম্যাচটা জিততে চায় আগে। এরপর বাকি ম্যাচ সমূহ নিয়ে ভাববে। কারণ গত চার আসরে একটিও ম্যাচ জিততে না পারা নারী ক্রিকেটাররা সে হতাশা থেকে বেরিয়ে আসতে চায়। যেন নতুন শুরুর চায় জ্যোতিরা। তবে বাংলাদেশ দলের বোলিং এখন বেশ সমৃদ্ধ। কিন্তু ব্যাটিংটা ঠিকমত হচ্ছে না। সেটা ঠিকঠাক মত করতে পারলেই সাফল্য আসতে পারে এবারের টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে।