সৌজন্য সাক্ষাতে এলে প্রথিতযশা চিন্তাবিদ ও লেখক প্রফেসর ড. সলিমুল্লাহ খানকে চট্টগ্রামে শিক্ষার প্রসার ও শিশুস্বাস্থ্য উন্নয়নে সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) গৃহীত বিভিন্ন উদ্যোগ তুলে ধরেন মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। এসময় চসিকের শিক্ষায় বিনিয়োগকে আশাব্যঞ্জক বলে মন্তব্য করেন সলিমুল্লাহ খান। গতকাল মঙ্গললবার টাইগার চসিক প্রধান কার্যালয়ে মেয়রের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন ড. সলিমুল্লাহ খান। এ সময় মেয়র চসিকের উদ্যোগে প্রবন্ধ ও গবেষণায় বিশেষ অবদানের জন্য প্রফেসর ড. সলিমুল্লাহ খানকে প্রদত্ত ‘অমর একুশে স্মারক সম্মাননা পদক ও পুরস্কার হস্তান্তর করেন।
এসময় ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, চট্টগ্রামবাসীর শিক্ষার অধিকার নিশ্চিত করতে চসিক স্কুল–কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করছে এবং শিক্ষা খাতে ভর্তুকি দিয়ে যাচ্ছে। আমি মেয়র হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর দেশে প্রথমবারের মতো চসিক পরিচালিত স্কুলসমূহে স্কুল শিক্ষার্থীর স্বাস্থ্য কার্ড চালু করেছি, যাতে করে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যসুরক্ষা নিশ্চিত করা যায়।
মেয়র বলেন, শিশুদের স্বাস্থ্য ও বিনোদনের দিকটি মাথায় রেখে প্রতিটি ওয়ার্ডে খেলার মাঠ গড়ে তোলার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ৬টি মাঠের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে এবং বিভিন্ন ব্যাংকের সহায়তায় অন্যান্য ওয়ার্ডেও মাঠ স্থাপন করা হবে।
ড. সলিমুল্লাহ খান বলেন, উন্নয়নের ক্ষেত্রে পরিবেশগত ভারসাম্য বা ইকোলজিকাল ব্যালেন্স নিশ্চিত করতে হবে। চট্টগ্রামের টানেলসহ বেশ কিছু প্রকল্প ঘুরে আমার মনে হয়েছে, প্রকৌশল কার্যক্রমে পরিবেশ ভাবনার ঘাটতি রয়েছে। তিনি চট্টগ্রামের উন্নয়নে শিল্পগোষ্ঠীর আরও সক্রিয় সম্পৃক্ততার পরামর্শ দিয়ে বলেন, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর ট্রেড লাইসেন্স নবায়নের সময় তাদের ব্যানারে বাংলা ভাষায় নাম লেখা বাধ্যতামূলক করার বিষয়টি বিবেচনা করা যেতে পারে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, সচিব মো. আশরাফুল আমিন, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা কমান্ডার ইখতিয়ার উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা সরোয়ার কামাল, প্রধান প্রকৌশলী আনিসুর রহমান, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা ড. কিসিঞ্জার চাকমা ও প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির চৌধুরী।