টানা তিনদিনের প্রবল বর্ষণ ও পার্বত্য অববাহিকার মাতামুহুরী নদীতে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানিতে চকরিয়া ও পেকুয়ায় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে দুই উপজেলার অন্তত ১৫টি ইউনিয়নের ৩০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। চকরিয়ার সুরাজপুর–মানিকপুর ইউনিয়নে সেতুর এপ্রোচ ধসে গিয়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। টানা বৃষ্টিতে দুই উপজেলার ধান সবজি ক্ষেত পানিতে তলিয়ে গেছে। গোখাদ্য নিয়ে চরম সংকটে পড়েছেন গবাদিপশু লালন–পালনকারীরা।
এদিকে পাহাড়ের টিলা ও পাদদেশে বসবাসকারী অন্তত দুই হাজার পরিবার পাহাড় ধসের ঝুঁকিতে দিনাতিপাত করছেন পরিবার সদস্যদের নিয়ে।সরজমিন দেখা গেছে– গত শনিবার থেকে টানা বৃষ্টিতে চকরিয়া ও পেকুয়া উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে আছে। সদ্য রোপিত দুই উপজেলার ধান ও সবজিক্ষেত পানিতে তলিয়ে গেছে। চকরিয়ার চিরিঙ্গা–মানিকপুর সড়কের পাহাড়তলী এলাকায় চলাচলের সড়ক ধসে পড়েছে। এতে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।সুরাজপুর–মানিকপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজিমুল হক বলেন, সড়কটি সংস্কারে ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে কাজ চলমান রয়েছে। যোগাযোগ ব্যবস্থা স্বাভাবিক রাখতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ফখরুল ইসলাম ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক পরিদর্শন করেছেন। বরইতলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ছালেকুজ্জামান বলেন, বরইতলী এলাকায় পাহাড়ের পাদদেশে বসবাস করা লোকজনকে নিরাপদ স্থানে সরে যেতে বলা হয়েছে। চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ফখরুল ইসলাম বলেন, চৌঁয়ারফাঁড়ি ও ঢেমুশিয়া জলমহালের স্লুইসগেট খুলে দেওয়া হয়েছে। বৃষ্টির পানি যাতে দ্রুত সরে যেতে পারে সেই লক্ষ্যে বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পেকুয়া উপজেলার টৈটং, বারবাকিয়া ও শীলখালী ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রামও প্লাবিত হয়ে কয়েক হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে বলে জনপ্রতিনিধিরা জানিয়েছেন।