প্রকৃতিতে এখন আষাঢ় মাস। আষাঢ়–শ্রাবণ এই দুই মাস বর্ষা মৌসুম হিসেবে পরিচিত। বর্ষা মৌসুমে আকাশ থেকে কখনো ঝরে পড়ে ঝিরি ঝিরি বৃষ্টি। আবার কখনো বা ঝরে মুষলধারে বৃষ্টি। গত তিনদিন ধরে নগরীতে টানা বৃষ্টির কারণে জনজীবনে নেমে এসেছে দুর্ভোগ। বৃষ্টি থেকে রক্ষা পেতে কর্মব্যস্ত মানুষ ছুটছেন ছাতার দোকোনে।
বিক্রেতারা বলছেন, বৃষ্টির কারণে ছাতা বিক্রি বেড়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাজারে বর্তমানে রহমান, শংকর, শরীফ, অ্যাটলাস ও মুন ব্র্যান্ডের ছাতা বিক্রি হচ্ছে বেশি। এছাড়া চীন ও থাইল্যান্ডের আমদানি করা ছাতার কদর রয়েছে বলে জানালেন বিক্রেতারা।
গতকাল নগরীর কয়েকটি মার্কেটে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিভিন্ন ডিজাইনের ছাতা মানভেদে পাওয়া যাচ্ছে ২২০ টাকা থেকে শুরু করে ৭০০ টাকার মধ্যে। এর মধ্যে এক ভাঁজের ছাতার দাম ৩৫০ টাকা, দুই ভাঁজের ছাতা ২৮০ থেকে ৫০০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া চীন ও থাইল্যান্ডের আমদানিকৃত ছাতা পাওয়া যাচ্ছে ৩০০ থেকে ৫৫০ টাকায়।
মিশকাত উদ্দিন নামের নামের একজন ছাতা বিক্রেতা বলেন, সাধারণত বৃষ্টি শুরু হলে ক্রেতারা ছাতা কিনতে ছুটে আসে। গত দুইদিন ছাতা বিক্রি বেড়েছে। এক ভাঁজের ছাতার তুলনায় দুই ভাঁজের ছাতা বিক্রি বেড়েছে। এছাড়া শিশুদের জন্য ডোরেমন, বারবি ডল, মিকি মাউসের ছবিযুক্ত ছাতাও বিক্রি হচ্ছে। অপরদিকে নারীদের জন্য বিভিন্ন ডিজাইনের ভাঁজ করা ছাতা বেশি বিক্রি হচ্ছে। ফরিদুল আলম নামের এক ক্রেতা জানান, বর্ষা মৌসুম তাই ছাতা ছাড়া চলাফেরা করা সম্ভব নয়। তাই ছাতা কিনতে এসেছি।