টানা দ্বিতীয় ম্যাচ জিতে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করলো চট্টগ্রাম বিভাগ

জাতীয় নারী টি-টোয়েন্টি অনূর্ধ্ব-১৮ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট

ক্রীড়া প্রতিবেদক | শনিবার , ২৪ মে, ২০২৫ at ৭:২৪ পূর্বাহ্ণ

জাতীয় নারী টিটোয়েন্টি অনূর্ধ্ব১৮ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালে উন্নীত হয়েছে চট্টগ্রাম বিভাগ। গতকাল শুক্রবার ময়মনসিংহের বিপক্ষে দূর্দান্ত এক জয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই এই টুর্নামেন্টের সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম। এদিন সকালে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে মেহেরুন্নেসা জয়ার দল ৫২ রানে ময়মনসিংহকে পরাজিত করে টুর্নামেন্টে নিজেদের দ্বিতীয় জয় পায়। আর টানা দুই ম্যাচ জেতায় ‘খ’ গ্রুপ থেকে প্রথম দল হিসেবে তারা সেমিফাইনাল খেলার যোগ্যতা অর্জন করে। গ্রুপের শেষ ম্যাচে রোববার চট্টগ্রাম বিভাগ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে ঢাকা বিভাগের বিপক্ষে। গতকাল সকালে টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো চট্টগ্রামের ক্যাপ্টেন জয়া। চট্টগ্রামের দুই ওপেনার নুসরাত জাহান এবং ইশা রহমান ভালই খেলছিলেন। প্রথম ৫ ওভারে কোন উইকেট না হারিয়ে রান আসে ২৮। কিন্তু পরের ওভারে মহিমার ৪র্থ বলে বোল্ড হয়ে যান নুসরাত জাহান তন্নী। নুসরাত ৩টি চারের সাহায্যে ১৮ রান সংগ্রহ করেন। এরপর ক্রিজে নেমে ৪ বলের ব্যবধানে বিবি আয়েশাও ফেরত আসেন। তিনি কোন রান করতে পারেননি। আয়েশা শূন্যতে রান আউট হয়ে যাওয়ায় কিছুটা চাপে পড়ে যায় চট্টগ্রাম দল। দলীয় রান তখন ২ উইকেটে মাত্র ৩৪। কিন্তু সেখান থেকে ২৬ বলে ৪০ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলে দলকে মজবুত অবস্থানে নিয়ে যান লেকি চাকমা। লেকি তার ইনিংসে ৬টি চার এবং ১টি ছক্কার মার হাঁকান। অবশ্য দলীয় ১১১ রানে জান্নাতুলের বলে লেকি বোল্ড হয়ে যাওয়ার ঠিক পরের বলেই ওপেনার ইশা রহমানও আউট হয়ে যান মহিমার বলে। ইশা ৩৫ বল খেলে ৩৭ রান করে ফেরত গেলে আবারও চট্টগ্রামের রান সংগ্রহে ছন্দ পতন ঘটে। ইশার ইনিংসে ২টি চার এবং ২টি ছক্কার মার ছিল। অবশ্য শেষদিকে ২৩ বলে শারমিন আকতারের মূল্যবান ২৭ ও পূরবী পাটোয়ারীর ১২ বলে ৯ রান দলকে ভরসা দেয়। তাদের সংগ্রহের উপর ভর করে চট্টগ্রাম বিভাগ ৪ উইকেট হারিয়ে ১৫১ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়ে তোলে। শারমিন ১টি চার এবং ১টি ছক্কা মারেন। শারমিন এবং পূরবী দু’জনই অপরাজিত থাকেন। অতিরিক্ত থেকে চট্টগ্রামের ইনিংসে জমা হয় ২০ রান। প্রতিপক্ষ ময়মনসিংহের পক্ষে মহিমা খাতুন ২৪ রান দিয়ে ২টি ও জান্নাতুল হক ১টি উইকেট পান।

জবাব দিতে নেমে ময়মনসিংহ বিভাগ পুরো ২০ ওভার খেললেও শতের কোঠা পুরো করতে পারেনি তারা। ময়মনসিংহ ৪ উইকেট হারিয়ে মাত্র ৯৯ রান করতে সমর্থ হয়। দলীয় ৪ রানেই দুটি উইকেট হারিয়ে ফেলে ময়মনসিংহ। মেহেরুন্নেসার বলে বোল্ড হয়ে যান ওপেনার নুসরাত জাহান আঁখি। তিনি মাত্র ২ রান করেন। চিত্রিতার বলে কোন রান না করেই সাদিয়া আকতার কিপার নুসরাত জাহানের হাতে ক্যাচ আউট হয়ে যান। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ অপরাজিত ৫৯ রান করেন ওপেনার শিরিনা খাতুন। ৬২ বল খেলে ৫টি চারের সাহায্যে শিরিনা ঐ রান সংগ্রহ করেন। এছাড়া মাইমুনা নাহার ৩৮ বল খেলে ২৬ রান যোগ করে চট্টগ্রামের মেহেরুন্নেসার বলে নুসরাত জাহানের হাতে স্ট্যাম্পড হয়ে যান। মাইমুনার ইনিংসে ছিল মাত্র ১টি বাউন্ডারী। চট্টগ্রামের মিশু ময়মনসিংহের আরনিকা রায়কে বোল্ড করেন। আরনিকা কোন রান করতে পারেননি। অতিরিক্ত থেকে যোগ হয় ৯ রান।

চট্টগ্রামের ক্যাপ্টেন মেহেরুন্নেসা জয়া ৪ ওভার বল করে মাত্র ১১ রান দিয়ে মূল্যবান ২টি উইকেট তুলে নেন। আর বাকি দু’টি উইকেট ঝুলিতে পুরেন চিত্রিতা অধিকারী ও মিশু খিসা। চিত্রিতা ১২ রান দিয়ে এবং মিশু ২১ রান দিয়ে ঐ উইকেট দুটি পান। খেলায় প্লেয়ার অব দ্যা ম্যাচ বিবেচিত হন চট্টগ্রাম বিভাগের অলরাউন্ডার ইশা রহমান। ব্যাট হাতে ইশা ৩৭ রান করেন এবং ৪ ওভার বল করে কোন উইকেট না পেলেও মাত্র ১৯ রান দেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবৃষ্টির দাপটে প্রথম চার দিনের ম্যাচ ড্র
পরবর্তী নিবন্ধনুসরাত ফারিয়া চিকিৎসকের নিবিড় পর্যবেক্ষণে