টানা দুই দিনের বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার প্রায় অর্ধশত গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
এদিকে, টৈটং ইউনিয়নের একটি ব্যস্ততম রাস্তা ভেঙে প্লাবিত হওয়ায় প্রায় ১০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
এছাড়াও উপজেলার টৈটং, উজানটিয়া, রাজাখালী ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রামীণ সড়ক পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ায় স্থানীয়দের চলাচলে দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, টানা দুই দিনের বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে উপজেলার টৈটং ইউনিয়নের ১৫টি, শিলখালী ইউনিয়নের ১০টি, উজানটিয়ার ১২টি, রাজাখালীর ৮টি, বারবাকিয়ার ৪টি, পেকুয়া সদরের ৩টি ও মগনামার ৯টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
এছাড়াও বেশ কিছু মৎস্য ঘের, কাঁচা ঘরবাড়ি পানির নিচে তলিয়ে গেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এতে প্রায় অর্ধকোটি টাকার ক্ষতির আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
প্লাবিত ও ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামগুলোর মধ্যে টেটং ইউনিয়নের দরগামুড়া, রমিজ পাড়া, হাজির পাড়া, বটতলি, জুম পাড়া, বাজার পাড়া, ঢালার মুখ, মাঝের পাড়া, হিরাবুনিয়া পাড়া, হারকিলার ধারা, নতুন পাড়া, শের আলী মাস্টার পাড়া, ভিলেজার পাড়া, পশ্চিম টৈটং, রাজাখালী ইউনিয়নের সিকদার পাড়া, রায় বাপের পাড়া, মিয়ার পাড়া, লালজান পাড়া, সুন্দরী পাড়া, বখশিয়া ঘোনা, বামুলা পাড়া, উজানটিয়ার মিয়া পাড়া, ফেরাসিংগা পাড়া, ঘোষাল পাড়া, পেকুয়ার চর, করিমদাদ মিয়ার ঘাট এলাকা, বারবাকিয়ার কাদিমাকাটা, জালিয়াকাটা, পাহাড়িয়া খালীর একাংশ, ভারুয়াখালী, মগনামার বাইন্যাঘোনা, শরৎঘোনা, কাজী মার্কেট, সদরের মেহেরনামা, হরিনাফাড়ি, সিরাদিয়াসহ উপজেলার প্রায় অর্ধশত গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
টৈটং ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, “পাহাড়ি ঢলের কারণে আমার ইউনিয়নের বেশিরভাগ গ্রাম পানির নিচে তলিয়ে গেছে। বেশ কয়েকটি গ্রামীণ সড়ক ভেঙে যাওয়ায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে আছে। খাল ও ছড়াগুলো উম্মুক্ত না থাকার কারণে পানি নিস্কাশন হতে না পেরে পানিবন্দি রয়েছে হাজার হাজার মানুষ।”
তিনি খাল খনন ও পাহাড়ি ছড়াগুলো উম্মুক্ত করার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন।
এদিকে পেকুয়া সদর ইউপি চেয়ারম্যান এম বাহাদুর শাহ, শিলখালী ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল হোছাইন, রাজাখালী ইউপি চেয়ারম্যান ছৈয়দ নূর, মগনামা ইউপি চেয়ারম্যান শরাফত উল্লাহ ওয়াসিম স্ব স্ব ইউনিয়নে প্লাবনের খবর নিশ্চিত করেছেন।
গতকাল প্লাবিত এলাকা পরিদর্শন করে পানিবন্দি মানুষদের দ্রুত সহায়তা প্রদানের আশ্বাস দেন পেকুয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মিকি মারমা।