প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগে জয়ের ধারা অব্যাহত রেখেছে রাইজিং স্টার ক্লাব। টানা তৃতীয় জয় তুলে নিয়েছে ক্লাবটি। শহীদ শাহজাহান সংঘকে হারিয়ে লিগ শুরু করা রাইজিং স্টার ক্লাব গতকাল হারিয়েছে ইস্পাহানী স্পোর্টিং ক্লাবকে। ফলে টানা তিন ম্যাচে জিতে আবাহনী এবং ব্রাদার্স ইউনিয়নের সাথে পয়েন্ট তালিকায় একই অবস্থানে রয়েছে রাইজিং স্টার ক্লাব।
গতকাল এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে রাইজিং স্টার ক্লাব ৭ উইকেটে হারিয়েছে ইস্পাহানী স্পোর্টিং ক্লাবকে। আকিবুল এবং ওমর ফারুকের দুর্দান্ত বোলিংয়ের পর মুনতাসিরের অল রাউন্ড নৈপুন্যে এই সহজ জয় পায় রাইজিং স্টার ক্লাব।
সকালে টসে হেরে ব্যাট করতে নামা ইস্পাহানী স্পোর্টিং ক্লাব ১২ রানে প্রথম উইকেট হারায়। তবে দ্বিতীয় উইকেটে রুদ্র এবং তওসিফ মিলে ভালভাবে এগিয়ে যাওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন। এদুজন ৫৩ রান যোগ করেন। ২৫ রান করা ধ্রুবকে ফিরিয়ে এজুটি ভাঙ্গেন ওমর ফারুক। পরের ওভারে রান আউট হয়ে ফিরেন ৩৫ রান করা তওসিফ। এরপর অমিত হাসান, ইমরুল করিম এবং শুভ দাশ দ্রুত ফিরে এলে ১১৪ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে বসে ইস্পাহানী এস সি।
সেখান থেকে দলকে টেনে নিয়ে যান সোহেল তাকে কিছুটা সঙ্গ দিয়েছেন আমিনুর রহমান। এ দুজন সপ্তম উইকেটে যোগ করেন ৬৯ রান। ৩৭ রান করা আমিনুরকে ফিরিয়ে এজুটি ভাঙ্গেন আকিবুল। তবে সোহেলকে ফেরাতে পারেনি রাইজিং স্টার ক্লাবের বোলাররা। তিনি অপরাজিত থাকেন ৮৭ বলে ৫৩ রান করে। আর তাতেই ইস্পাহানী স্পোর্টিং ক্লাবের সংগ্রহ গিয়ে দাঁড়ায় ১৯৩ রানে। রাইজিং স্টার ক্লাবের পক্ষে ৩৮ রানে ৩ উইকেট নেন আকিবুল ইসলাম। ২টি করে উইকেট নিয়েছেন মুনতাসির এবং ওমর ফারুক।
১৯৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ২৯ রানে প্রথম উইকেট হারায় রাইজিং স্টার ক্লাব। ৫ রান করে ফিরেন ওপেনার আলভী। দ্বিতীয় উইকেটে সুমন এবং মুনতাসির মিলে ২৩ রানের বেশি যোগ করতে পারেনি। ২৬ রান করে ফিরেন সুমন। এরপর ইস্পাহানীর বোলারদের প্রতিরোধ গড়ে তোলেন হৃদয় এবং মুনতাসির। তৃতীয় উইকেট জুিটতে দুজন মিলে যোগ করেন ৯৩ রান।
আর তাতেই দলের জয় অনেকটা নিশ্চিত হয়ে যায়। ৮৭ বলে ৯টি চারের সাহায্যে ৬৫ রান করা মুনতাসির ফিরেন ইমরুল করিমের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে। তবে এরপর রেজাউল করিম রাজিবকে নিয়ে বাকি কাজটা সেরে আসেন হৃদয়। ৪১.১ ওভারে ৭ উইকেট হাতে রেখে জয় নিশ্চিত করে রাইজিং স্টার ক্লাব। হৃদয় অপরাজিত থাকেন ৭০ বলে ৫৭ রান করে। আর রাজিব অপরাজিত থাকেন ২৫ বলে ২৫ রান করে।
ইস্পাহানী স্পোর্টিং ক্লাবের পক্ষে একটি করে উইকেট নিয়েছেন রনি, ইমরুল এবং জনি। তিন ম্যাচের একটিতেও জিততে পারেনি ইস্পাহানী এসসি। একটি ম্যাচ টাই করেছে বন্দর ক্রীড়া সংস্থার বিপক্ষে। ফলে তিন ম্যাচে তাদের পয়েন্ট এক।