পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু এবারের বিশ্বকাপের শুরুটা অসিদের একেবারেই বিবর্ণ। ভরাতের কাছে হার দিয়ে বিশ্বকাপ শুরু ওয়ার্নারদের। এরপর দক্ষিন আফ্রিকার বিপক্ষে আবার হার। তবে তৃতীয় ম্যাচে এসে জয়ের দেখা পায় অসিরা। তাদের প্রথম শিকার শ্রীলংকা। ছন্দে ফেরা অস্ট্রেলিয়া পরের ম্যাচে পাকিস্তানকে হারিয়ে তুলে নেয় টানা দ্বিতীয় জয়। এবার কেবলই এগিয়ে যাওয়ার পালা। আর এবারে অস্ট্রেলিয়ার সামনে নেদারল্যান্ড। ১৬ বছর পর মুখোমুখি হতে যাচ্ছে এ দুটি দল। ২০০৩ সালের বিশ্বকাপে প্রথম মুখোমুখি হয়েছিল এই দুই দল। আর সে ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া জিতেছিল ৭৫ রানে। এরপর সবশেষ ২০০৭ বিশ্বকাপে দু দল মুখোমুখি হয়েছিল। সে ম্যাচটি ২২৯ রানে জিতেছিল অস্ট্রেলিয়া। এবারের বিশ্বকাপে প্রথম অঘটন ঘটানো দলটির নাম নেদারল্যান্ড। তারা হারিয়েছিল উড়তে থাকা দক্ষিন আফ্রিকাকে। এবারের বিশ্বকাপে ডাচদের সেই একটিই জয়। আজ দ্বিতীয় জয়ের লক্ষ্যে মাঠে নামবে নেদারল্যান্ডসও। কিন্ত প্রতিপক্ষ যখন অস্ট্রেলিয়া তখন সে চিন্তা করাটা কঠিনই হবে নেদারল্যান্ডের জন্য। কারন ঘুরে দাঁড়ানো অস্ট্রেলিয়া টানা তৃতীয় জয়ের লক্ষ্যেই মাঠে নামবে। প্রথম দুই ম্যাচে ভারত এবং দক্ষিন আফ্রিকার বিপক্ষে দুইশ রানও করতে পারেনি অস্ট্রেলিয়া। তবে পরের দুই ম্যাচে ফিরেছেন একেবারে স্বরুপে। আজ তাই আরো এগিয়ে যাওয়ার পালা অসিদের। এখন পর্যন্ত চার ম্যাচের দুটিতে জয় আর দুটিতে হেরে ৪ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট তালিকার চতুর্থ স্থানে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া। দিল্লির অরুন জেটলি স্টেডিয়ামে বাংলাদশে সময় আড়াইটায় শুরু হবে ম্যাচটি। পাকিস্তানের কাছে হেরে বিশ্বকাপ শুরু করা নেদারল্যান্ডস পরের ম্যাচে হারে নিউজিল্যান্ডের কাছে। তবে তৃতীয় ম্যাচে এসে বিশ্বকাপে প্রথম অঘটনের জন্ম দেয় নেদারল্যান্ডস। তারা সে ম্যাচে ৩৮ রানে হারিয়ে দেয় এবারের বিশ্বকাপের শুরু থেকেই উড়তে থাকা দক্ষিন আফ্রিকাকে। কিন্তু ডাচদের সে স্বপ্ন দৌড় থেমে যায় পরের ম্যাচে শ্রীলংকার কাছে হেরে। আজ নিশ্চয়ই আরো একটি অঘটনের জন্ম দেওয়ার চেষ্টা করবে নেদারল্যান্ডস। কিন্তু সেটা কতটা সম্ভব হবে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সেটা সময়ই বলে দেবে। অষ্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দুবার খেলেছে নেদারল্যান্ডস বিশ্বকাপে। দুবারই হেরেছে ডাচরা। কাজেই পরিসংখ্যানে পরিষ্কার এগিয়ে অসিরা। যদিও ক্রিকেটে মাঠের লড়াইয়ের সাথে পরিসংখ্যান তেমন একটা যায় না। মাঠে যারা সেরাটা দেবে তারাই দিন শেষে জয়ী। তবে শক্তি, সামর্থ আর পরিসংখ্যান সবদিক থেকে এগিয়ে থাকা অস্ট্রেলিয়া যে কোন সুযোগ দেবে না নেদারল্যান্ডসকে সেটা বলে দেওয়া যায় পরিষ্কার ভাবে।
গত ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে দুর্দান্ত খেলেছে অস্ট্রেলিয়ার দুই ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার এবং মিচেল মার্শ। রেকর্ড ২৫৯ রানের পার্টনারশিপ গড়েছিলেন দুজন। সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছিলেন দুজনই। যেখানে ওয়ার্নার করেছিলেন ১২৪ বলে ১৬৩ রান। দলীয় স্কোর ছিল ৩৬৭। তবে এক পর্যায়ে এই রানও টপকে যেতে বসেছিল পাকিস্তান। কিন্তু হঠাৎ করেই ব্যাটিং ধ্বসে পাকিস্তান হার মানে ৬২ রানে। যদিও সে ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার দুই ওপেনার ছাড়া বাকিরা রান পাননি। তবে বোলাররা শেষ দিকে বেশ ভাল করেছে। বিশেষ করে স্পিনার এডাম জাম্পা একাই ধ্বসিয়ে দিয়েছেন পাকিস্তানকে। অস্ট্রেলিয়ার মত একটি পেশাদার দলের বিপক্ষে নেদারল্যান্ডসের পক্ষে প্রতিরোধ গড়াটা কতটা সম্ভব হবে সেটা সহজেই অনুমেয়। তাই জয়ের আশার চাইতে নিজেদের হারের ব্যবধানটা যাতে বড় না হয় সে চিন্তাই নিশ্চয়ই করবে নেদারল্যান্ডস। তবে ভুলে গেলে চলবে না এটি ক্রিকেট। এই খেলায় যেকোন কিছুই হতে পারে। তাই সব সম্ভাবনাই এখনে হিসেবে রাখতে হয়। তবে শেষটি দেখার জণ্য অপেক্ষা করতে হবে এখন।