জসিম উদ্দীন পেশায় একজন কাঠ ব্যবসায়ী। নগরীর চকবাজার থানার অলি খাঁ মসজিদ এলাকায় একুশে টিম্বার নামে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক তিনি। এই ব্যবসাকে উপজীব্য করে তিনি টাকা ধার নেন মানুষ থেকে। বিনিময়ে চেক দেন। চেক নিয়ে টাকা উত্তোলন করতে গিয়ে পাওনাদার দেখেন একাউন্টে টাকা নেই। জসিম উদ্দীনকে জানানো হলে আবারো কিছুদিন সময় চেয়ে চেক দেন। একসময় পাওনাদার বুঝতে পারেন কৌশলটি জসিম উদ্দিনের প্রতারণার ফাঁদ ছাড়া কিছুই নয়। অবশেষে ২১ জন পাওনাদার মামলা করেছেন জসিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে। মামলাগুলোর মধ্যে ১৭টিতে তার সাজা হয়েছে। এই সাজা পরোয়ানা মাথায় নিয়ে তিনি ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন। কিন্তু এভাবে আর ক’দিন? অবশেষে গত ৩ নভেম্বর ঢাকার বনশ্রীতে অভিযান চালিয়ে প্রতারক জসিম উদ্দীনকে গ্রেপ্তার করে বাকলিয়া থানা পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত জসিম উদ্দীন বাকলিয়ার এয়ার মোহাম্মদ স্কুল লেইন এলাকার বিসমিল্লাহ ভবনের মৃত কবির আহম্মদের ছেলে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নেজাম উদ্দিন আজাদীকে বলেন, জসিম বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে চেক দিয়ে টাকা ধার নিতেন। পরে সেই টাকা আর ফেরত দিতেন না। এভাবে তিনি কয়েক কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। পাওনাদাররা প্রতারণার অভিযোগ এনে জসিম উদ্দীনের বিরুদ্ধে ২১টি মামলা করেছেন। এর মধ্যে ১৭টিতে তার সাজা হয়েছে। এরপর থেকেই তিনি গা ঢাকা দিয়ে বেড়াচ্ছিলেন। গত মঙ্গলবার রাতে তাকে ঢাকা থেকে সাজা পরোয়ানা মূলে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ (গতকাল বুধবার) তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।