দুই ম্যাচের ফিফা প্রীতি ম্যাচ সিরিজ জিতে নিয়েছে নেপাল। গতকাল রোববার কমলাপুর স্টেডিয়ামে দুই দেশের দ্বিতীয় ম্যাচটি গোলশূন্য ড্র হয়। পরে টাইব্রেকারে সিরিজ নির্ধারণ হয়। নেপাল ৫টি শট নিয়ে ৪ গোল এবং বাংলাদেশ চারটি শটে ২টি গোল করে। ৪–২ গোলে বাংলাদেশকে হারিয়ে ট্রফি নিয়ে ঘরে ফিরছে নেপালের মেয়েরা। দুই দলের প্রথম ম্যাচ ১–১ গোলে ড্র হয়েছিল। গত বছর ১৯ সেপ্টেম্বর ঘরের মাঠে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে বাংলাদেশের কাছে ৩–১ গোলে হারা নেপাল ঢাকা থেকে সান্ত্বনা নিয়েই ফিরলো। অফিসিয়ালি সিরিজ ড্র হলেও দুই দলের সম্মতিতে টাইব্রেকারের যে ব্যবস্থা রাখা হয়েছিল সেটা কাজে লাগিয়ে একটা সিরিজ জয়ের তৃপ্তি নিয়ে ফিরছে হিমালয়ের দেশটির মেয়েরা। টাইব্রেকারে নেপালের গোলের সূচনা করেন সাবিত্রা ভান্ডারি। বাংলাদেশের প্রথম শট নিয়েছিলেন শামসুন্নাহার। নেপালের বদলি গোলরক্ষক অঞ্জনা রানা মাগারকে পরাভূত করে দলকে ম্যাচে ফেরান এই ডিফেন্ডার। নেপালের দ্বিতীয় শট নিতে এসে হিরা কুমারীও লক্ষ্যভেদ করেন। নেপাল এগিয়ে যায় ২–১ গোলে। শিউলি আজীমের কাঁধে তখন সমতা ফেরানোর ভার। কিন্তু রানা মাগার গোল ঠেকিয়ে দলের পরের শটটি নিজেই নিলেন। তবে লক্ষ্যভেদ করতে পারেননি। পোস্ট ঘেঁষে বল জালে পাঠাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু বল পোস্টে লেগে ফিরে আসে। মারিয়া মান্ডার শট নেপালের গোলরক্ষক ঠেকিয়ে দিলে ম্যাচ ঝুঁকে পড়ে অতিথি দলটির দিকে। দিপা শাহী বাংলাদেশের জালে বল পাঠিয়ে ম্যাচটি প্রায় নিজেদের করে নেন। মনিকা চাকমা নেন বাংলাদেশের চতুর্থ শট। গোল করে বাঁচিয়ে রাখেন আশা। দক্ষিণ এশিয়ার সেরা গোলরক্ষক রূপনা চাকমার কাঁধে তখন গুরু দায়িত্ব। কিন্তু আনজিলা লক্ষ্যভেদ করে জয় এনে দেন নেপালকে। টাইব্রেকারে ৪–২ গোলে বাংলাদেশকে হারিয়ে সিরিজ জিতে নেয় নেপাল। নির্ধারিত ৯০ মিনিটের খেলায় কোনো দলই গোল করতে পারেনি। দুই দেশের প্রীতি ম্যাচের এই সিরিজ নির্ধারণের জন্য জয়ী দল বেছে নেওয়া হয় টাইব্রেকারে। বৃহস্পতিবার প্রথম ম্যাচটি প্রথমার্ধে ঢিলাঢালা হলেও জমেছিল দ্বিতীয়ার্ধে। তবে রোববার সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচটি সেভাবে জমাতে পারেনি গত সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের দুই ফাইনালিস্ট। বাংলাদেশ দীর্ঘ ১০ মাস পর আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেললো। নেপাল সাফের পর চারটি ম্যাচ খেললেও তাদের খেলায়ও তেমন ধার ছিল না। যদিও প্রথম ম্যাচের চেয়ে দ্বিতীয় ম্যাচে তারা একটু গুছিয়ে খেলতে পেরেছে। এই ম্যাচ তারা ভালো খেলেই ম্যাচটি ড্র করেছে। বাংলাদেশের ফরোয়ার্ডরা এ ম্যাচে নেপালের জন্য কোনো হুমকিই তৈরি করতে পারেনি। পঞ্চম মিনিটে বঙের মাথা থেকে সাবিনা খাতুনের ফ্রিকিক ক্রসবারে লেগে ফিরে আসা ছাড়া উল্লেখযোগ্য তেমন কিছুই ছিল না। ৪৪ মিনিটে সাবিত্রার শট দ্বিতীয় প্রচেষ্টায় ধরেন রূপনা চাকমা। না হলে এগিয়ে যেতে পারতো সফরকারী দল।