চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দর সমূহকে ৩ নম্বর স্থানীয় সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে। যার কারণে সন্দ্বীপ থেকে চট্টগ্রামে যাতায়াতের অন্যতম নৌযান বিআইডব্লিউটিসির স্টিমার এমভি আইভি রহমানের চলাচল বন্ধ থাকে গতকাল শুক্রবার। তিন নম্বর সিগনালে স্টিমার সার্ভিস বন্ধ থাকলে নদীর অবস্থা বিবোচনা করে সন্দ্বীপ থেকে চট্টগ্রাম যাওয়ার ঘাটগুলো বিশেষ করে যেগুলো উত্তর সন্দ্বীপের দিকে অবস্থিত যাত্রীরা ও ঘাট গুলো দিয়ে চট্টগ্রাম যাওয়ার চেষ্টা করেন। কখনো লাইফবোট, কাঠের তৈরি সার্ভিস বোট আবার নদীর অবস্থা দেখে চলাচল করে স্পিডবোটও। অন্যতম ঘাট কুমিরা–গুপ্তছড়া দিয়েও সার্ভিস আর মালের বোট দিয়ে যাত্রী পারাপারের চেষ্টা করা হয়।
এরকম বৈরী আবহাওয়ায় সন্দ্বীপের যাত্রীরা নৌপথ পাড়ি দেয়ার একটা বিশেষ কারণ হলো প্রবাসী যাত্রীদের বিদেশগামী ফ্লাইট ধরার উদ্দেশ্য থাকে। আবার গুরুতর অসুস্থ রোগীদেরও চট্টগ্রামে যাওয়ার জন্য এ উত্তাল সাগর পাড়ি দেয়া ছাড়া উপায়ও থাকে না।
গতকাল শুক্রবার সকাল ১১ টায় গাছুয়া হকসাহেব বাজার ঘাট থেকে লাইফবোট (লালবোট) দিয়ে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড ঘাটের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেন দুবাই প্রবাসী মো. হাসান। যদিও এ লালবোট যাত্রী পারাপারের না। তারা মূলত নদীতে মাছ ধরার কাজ করে এ বোট দিয়ে। মো. হাসান আজাদীকে জানান, সতর্ক সংকেতের কারণে হঠাৎ করে স্টিমার সার্ভিস বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তিনি জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এ নৌ পথ পাড়ি দিয়েছেন।
সামছুদ্দিন স্বপন নামের আরেক যাত্রী জানান, গাছুয়া আমির মোহাম্মদ ফেরি ঘাট দিয়ে স্পিড বোটে করে সাগর পাড়ি দিতে তারা বিশাল ঢেউয়ের কবলে পড়েন।
নিরাপদ নৌ যাতায়াত নিয়ে দীর্ঘদিন আন্দোলন সংগ্রাম করে আমরা সন্দ্বীপবাসীসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন। আমরা সন্দ্বীপবাসীর সমন্বয়ক খাদেমুল ইসলাম আজাদীকে জানান, আমরা দেখে সদরঘাট থেকে স্টিমার সার্ভিস যখন রহমতপুর ঘাট দিয়ে ছিল তখন তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেতের সময় এমভি বার আউলিয়া, মতিন, মনিরুল হক নামের বিআইডব্লিউটিসির স্টিমারগুলো চলতো। কিন্তু কুমিরা–গুপ্তছড়া নৌরুটে এমভি আইভি রহমানের চলাচল বন্ধ থাকে তিন সিগনালে। কিন্তু আমরা দেখি এসময় আবার কাঠের তৈরি সার্ভিস বোট মালের বোট দিয়ে যাত্রীরা ঝুঁকি নিয়ে নদী পারাপার হতে। যদি এসব বোট চলতে পারে তাহলে আধুনিক স্টিমার কেন চলতে পারে না এসময়, তা বিআইডব্লিউটিসির ঊর্ধ্বতন কর্মকতাদের কাছে আমার জিজ্ঞাসা।