চাঞ্চল্যকর এনআইডি (জাতীয় পরিচয়পত্র) জালিয়াতির ঘটনায় অবশেষে ধরা পড়েছে মো. জাফর প্রকাশ স্বপন প্রকাশ দালাল জাফর (৩৮)। গত শনিবার ময়মনসিংহ জেলার ঈশ্বরগঞ্জ এলাকা থেকে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এদিকে গতকাল রোববার জাফরকে চট্টগ্রামের মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পাঁচদিনের রিমান্ড আবেদন করলে বিচারক একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। আদালতের নগর পুলিশের প্রসিকিউশন শাখার একটি সূত্র আজাদীকে জানায়, মামলার তদন্তকারী সংস্থা কাউন্টার টেররিজম ইউনিট জাফরকে মহানগর হাকিম সরোয়ার জাহানের আদালতে হাজির করে ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করে। শুনানি শেষে বিচারক মেহনাজ রহমান তার ১ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
চট্টগ্রামে এনআইডি জালিয়াতি চক্রের অন্যতম সদস্য, মামলার এজাহারনামীয় এক নম্বর আসামি, নগরীর ডবলমুরিং থানা নির্বাচন কার্যালয়ের অফিস সহায়ক জয়নাল আবেদীনের ‘সেক্রেটারি’ এ জাফর। রোহিঙ্গাদের এনআইডি সরবরাহ করার ক্ষেত্রে জয়নালকে সব রকম সহযোগিতা করতো সে। সূত্র জানায়, এনআইডি জালিয়াতি ঘটনার পরপর দুদকের করা মামলায় এজাহারনামীয় পাঁচজন, ঘটনায় জড়িত তদন্তে প্রাপ্ত ১২ জনসহ মোট ১৭ জনকে এ পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে জয়নালসহ ৬ জন আসামি ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারা অনুযায়ী স্বীকারোক্ষিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। জবানবন্দি দেওয়া একজন হলেন মোস্তফা ফারুক। এ মোস্তফা ফারুকের জবানবন্দিতেই উঠে আসে দালাল জাফরের নাম। আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে ফারুক উল্লেখ করেন, ‘জাফর জয়নালের ব্যক্তিগত সেক্রেটারি। জালিয়াতির ঘটনায় জয়নালের সাথে সে সরাসরিভাবেই জড়িত।
২০১৯ সালের ২২ আগস্ট লাকী নামের এক নারী চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন কার্যালয়ে জাতীয় পরিচয় পত্রের স্মার্ট কার্ড তুলতে গেলে কর্মকর্তাদের সন্দেহ হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসে ওই নারী রোহিঙ্গা এবং টাকা দিয়ে এনআইডি করিয়েছেন। দেশজুড়ে বহুল আলোচিত এনআইডি জালিয়াতির এ ঘটনার পরপর আটজনকে আসামি করে দুটি মামলা দায়ের করে দুদক। এর মধ্যে একটি মামলা তদন্ত করছে সিআইডি। অপরটি করছে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিট চট্টগ্রাম।