আজ খুব মনে পড়ছে আমাদের ঐতিহাসিক লেখক মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদ্মানদীর মাঝি’ উপন্যাসের কথা, উপন্যাসে একটি উক্তি ছিল “ঈশ্বর থাকেন, ওই ভদ্র পল্লীতে”! আজ খুব ইচ্ছে করছে মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়কে এনে আরেকবার দেখানো পদ্মা নদীর বর্তমান অবস্থাকে! আজ যদি তিনি বেঁচে থাকতেন, তবে তিনিও নতুন করে আশার আলো দেখতেন ৬.১৫ কিলোমিটার জুড়ে পদ্মা নদীর উপর যে আশার আলো আজ দেখা দিয়েছে সেই আশার আলোকে ধারণ করে আমরা বাঙালি জাতি কতদূর যেতে পারি, এই পদ্মা সেতু শুধু একটি সেতুই নয় -এই সেতু একটি দৃঢ় প্রতিজ্ঞার নাম, একটি বিশ্বাস, একটি সংকল্পের নাম…এই পদ্মা সেতুতে শুধু ৪২ টি খুঁটি ই বসেনি- লক্ষ কোটি জনতার আশার আলোর খুঁটি বসে আছে। এই পদ্মা সেতুতে কেবলমাত্র ৪১টি স্প্যান যুক্ত হয়নি, সংযোগ ঘটেছে হাজার হাজার লক্ষ লক্ষ কোটি বাংলাদেশি জনতার আত্মার, বহিঃ প্রকাশ ঘটেছে আমাদের স্বাধীনতার চেতনার!
১২ই ডিসেম্বর ২০১৫ সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন প্রথম পদ্মা সেতুর মূল কাজ উদ্বোধন করতে যান, তার আগ পর্যন্ত আন্তর্জাতিক এবং অভ্যন্তরীণ শত রকমের ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে এগিয়ে গিয়েছেন বীরদর্পে, তিনি অত্যন্ত সুন্দর ভাবে বলে দিয়েছেন বিশ্বব্যাংক আমাদের বিষয়গুলো নিয়ে মাথা না ঘামালেও চলবে কারণ তাদের কাছ থেকে আমরা ঋণ নিতে চেয়েছি -কোন দান নয়! শত বাধা-বিপত্তি পেরিয়ে আজ আমরা পদ্মা সেতু চোখের সামনে দেখছি! চোখের জল ধরে রাখা অনেক কঠিন, পদ্মা সেতু শুধুমাত্র একটি সেতু হয়নি এটি হয়েছে আমাদের আবেগের জায়গা, একসময় বাংলাদেশ পরিচিতি পাবে আমাদের পদ্মা সেতু, বঙ্গবন্ধু আর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিচয়ে, তাই আরেকবার ধন্যবাদ জানাতে চাই আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে, যেমনটি বঙ্গবন্ধু আমাদের দেশকে স্বাধীনতা দিয়েছেন তেমনি আমাদের অর্থনৈতিক মুক্তি এবং অর্থনৈতিক স্বাধীনতার জন্য পদ্মা সেতু বিশাল অবদান রেখে যাবে এ প্রত্যাশাই করছি, জয়তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা!