কাঁচা মরিচের দাম এখন আকাশ ছোঁয়া। মাঝে মাঝে ভাবি ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটের বিপরীতে ভোক্তাদের একটা সিন্ডিকেট গড়ে তোলা যায় না! লিবিয়ার এক স্মৃতি মনে এলো। একদিন এক লিবিয়ান পরিবার ছুটির দিনে বেড়াতে এলেন স্ত্রী ও চার সন্তান নিয়ে। সঙ্গে একটা ভেড়া (খারুফ)। এই ভেড়া যেমন দামী তেমন এর গোশত দারুণ স্বাদের। আমরা তো একটু বিপাকে। কে জবাই করবে আর গোশত বানাবে? ভদ্রলোক নিজেই জবাই দিয়ে মাত্র আধঘন্টায় গোশত সাইজ করে বেশ কিছু দুপুরের খাবারের জন্য নিয়ে বাকি গোশত আমাদের ফ্রিজের ডিপে রেখে দিলেন। রান্নায় তাঁর স্ত্রী। আমি মশলাদি এগিয়ে দিচ্ছি। মজার ব্যাপার তিনি ধনিয়া জিরা বা এলাচ দারুচিনি কিছুই না। বড়ো হাঁড়িতে বেশ পরিমাণের ফুটন্ত পানিতে বড়ো বড়ো সাইজের গোশত ফেলে তাতে অল্প হলুদ ও সামান্য লাল মরিচ। লবণে সেদ্ধ করা এই গোশতের মধ্যে ম্যাকারিনা মানে একপ্রকার বড়ো সাইজের নুডলস দিয়ে পানি শুকিয়ে এবারে একটা বড়ো থালায়। এরপরে বেশ বড়ো থালার মাঝখানে রেখে, সাথে সালাদ পাতা। অতঃপর সবাই একসাথে চামচ দিয়ে খাওয়ার পর্ব। তো শেষ! না বেশি কিছু বাসনকোসন বা নানা বাহুল্য। খেতেও বেশ। তখনই ভাবছিলাম আমরা এলাচ বা দারুচিনি কিনছি বেশ চড়া দামে বা অন্যান্য মশলাদি। অথচ কতো সহজভাবে ভোজনপর্ব সারা যায়। আমরা মানে বিশেষত বাঙালিদের এতো রসনা বিলাসের সুযোগ নিচ্ছে কিছু ব্যবসায়ী। কখনো পিঁয়াজ, কখনো রমজান মাস এলে বেগুন বা এখন যেমন কাঁচামরিচ। এদের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর উপায় কিছু কিছু খাবারের আইটেমকে বয়কট করা। ‘যদিও বলা সহজ কিন্তু ব্যক্তি জীবনে প্রয়োগ অতি কঠিন।’ আর এভাবেই সাধারণ ক্রেতা সমাজ হচ্ছেন বলির পাঁঠা। অবশেষে অনেক কিছুর সাথে এবারে জয়তু কাঁচামরিচ।