জোরারগঞ্জের আলোচিত মহিউদ্দিন হত্যা মামলার প্রধান আসামি মো. শেখ ফরিদ শরীফকে (৩৫) নগরের পাহাড়তলী থানার উত্তর কাট্টলি থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব–৭। গত শনিবার বিকেলে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গতকাল রোববার এ তথ্য জানায় র্যাব। ধৃত ফরিদ নিহত মহিউদ্দিনের বোন জামাই এবং জোরারগঞ্জ থানা নোয়াপাড়া এলাকার মিছির আহমেদের ছেলে। র্যাবের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, নিহত মফিজ প্রকাশ মহিউদ্দিন ওমান প্রবাসী। চার বছর আগে তার বোনের সাথে শেখ ফরিদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর হতে পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে কলহ সৃষ্টি হয়। নিহত মহিউদ্দিন বোনের সুখের কথা ভেবে ওমান থেকে বোন জামাই শেখ ফরিদ উদ্দিনকে ব্যবসার জন্য ১৫ লাখ টাকা প্রদান করেন। পরে মহিউদ্দিন দেশে ফিরে তার বোনের কাছে ১৫ লাখ টাকা ফেরত চান। টাকা ফেরত চাইলে শেখ ফরিদ উদ্দিন এবং তার পরিবার টাকা ফেরত দিতে অস্বীকৃতি জানায়।
র্যাব জানায়, গত ২১ ফেব্রুয়ারি রাতে মফিজ তার বোনের শ্বশুর বাড়িতে টাকা ফেরতের জন্য গেলে বোন জামাই শেখ ফরিদ এবং তার পরিবারের অন্যান্য লোকজনের সাথে বাকবিতণ্ডা সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে বোন জামাই শেখ ফরিদ এবং তার পরিবারে অন্যান্যরা উত্তেজিত হয়ে মহিউদ্দিনকে দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করে। পরে স্থানীয়রা ও তার বোন তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য মীরসরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় নিহতের বোন বাদী হয়ে জোরাগঞ্জ থানায় ৪ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতানাম চার পাঁচজনকে আসামি করে একটি মামলার দায়ের করেন।