গত ২ দিনেও খোঁজ মেলেনি চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের হাজতি (হাজতি নম্বর ২৫৪৭/২১) ফরহাদ হোসেন প্রকাশ রুবেলের (২০)। এ ঘটনায় জেলার মো. রফিকুল ইসলাম ও ডেপুটি জেলার আবু সাদাতকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। সাময়িক বরখাস্ত করা হয় কারারক্ষী নাজিম উদ্দিন ও ইউনুছ মিয়াকে। আরেক সহকারী কারারক্ষী কামাল হায়দারের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হয়েছে। গতকাল রোববার চট্টগ্রাম বিভাগীয় ডিআইজি (প্রিজন) একে এম ফজলুল হক আজাদীকে এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, হাজতি নিখোঁজের ঘটনায় গতকাল খুলনা বিভাগীয় ডিআইজি (প্রিজন) ছগীর মিয়াকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। বি বাড়িয়ার জেল সুপার ইকবাল হোসেন ও বান্দরবানের জেলার ফোরকান ওয়াহিদকে সদস্য করা হয়। ৭ কার্যদিবসের মধ্যে এ বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিল বলা হয়েছে। তিনি বলেন, কারা অধিদপ্তরেই জেলার মো. রফিকুল ইসলামকে এবং ডেপুটি জেলার আবু সাদাতকে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কারা অফিসে সংযুক্ত করা হয়েছে।
এদিকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকেও একটি তদন্তে কমিটি করা হয়। কমিটিতে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সুমনী আক্তারকে আহবায়ক ও নগর পুলিশের (উত্তর) এডিসি মো. রাশেদুল ইসলাম ও চট্টগ্রাম কারাগারের ডেপুটি জেলার মো. মাজহারুল ইসলামকে সদস্য করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা প্রশাসকের স্টাফ অফিসার ওমর ফারুক।
এর আগে গত শনিবার রাতে (ঘটনার দিন) রুবেলের নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় কোতোয়ালী থানায় মামলা করেন জেলার মো. রফিকুল ইসলাম। ওসি নেজাম উদ্দিন আজাদীকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মামলার এজহারে রফিকুল ইসলাম উল্লেখ করেন – কারাগারের কর্ণফুলী ভবনের ৫ তলার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে অন্যান্য হাজতি ও কয়েদীদের সাথে রুবেল যথারীতি বন্দী ছিল। ৬ মার্চ সকাল ৬ টায় সহকারী কারারক্ষী কামাল হায়দার হাজতি ও কয়েদীদের গণনা করতে গিয়ে দেখতে পান যে, হাজতি রুবেল ওয়ার্ডে নাই। এর কারণ কারারক্ষী নাজিম উদ্দিন ও কর্ণফুলী ভবনের দায়িত্বে থাকা ইউনুছ মিয়ার কাছ থেকে জানতে চাইলে তারা জানান যে, রুবেল ভোর ৫ টা ১৫ মিনিটে ওয়ার্ড থেকে বের হয়ে গেছে। পরবর্তীতে কারাগারের বিভিন্ন স্থানে খোঁজ করেও রুবেলকে পাওয়া যায়নি। আইনানুগভাবে আটক থাকা অবস্থায় পালিয়ে গিয়ে দন্ডবিধির ২২৪ ধারার অপরাধ করেছে রুবেল। গতকাল রোববার বিকালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. শহীদুজ্জামান চট্টগ্রাম কারাগার পরিদর্শন করেছেন।