চট্টগ্রাম জেলা পূজা উদযাপন পরিষদ গতকাল রোববার চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের এস রহমান হলে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। এ সময় ৮ দফা দাবি উত্থাপন করেছে চট্টগ্রাম জেলা পূজা উদযাপন পরিষদ।
দাবিগুলো হল– দেশের সকল উপজেলায় সরকারি উদ্যোগে ১টি মডেল মন্দির নির্মাণ, বিশেষ প্রকল্প গ্রহণ করে চণ্ডীতীর্থ মেধস আশ্রমের সংস্কার ও সড়ক উন্নয়ন, হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টকে ফাউন্ডেশনে রূপান্তর, শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে ৪ দিন সরকারি ছুটি, সংখ্যালঘু কমিশন গঠন ও সুরক্ষা আইন প্রণয়ন, দেবোত্তর সম্পত্তি পুনরুদ্ধার ও সংরক্ষণের পদক্ষেপ গ্রহণ, অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইন যথাযথ বাস্তবায়নে জটিলতা নিরসন ও চট্টগ্রাম জেলার দক্ষিণ কাট্টলী বঙ্গোপসাগর তীরবর্তী সুপ্রাচীন ‘রানী রাসমণি বারুণী স্নানঘাট’ তথা ‘সমুদ্র তীর্থ’ সংরক্ষণে সরকারের যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের চট্টগ্রাম জেলা শাখার সভাপতি এডভোকেট নিতাই প্রসাদ ঘোষ। উপস্থিত ছিলেন সাবেক সভাপতি অধ্যাপক নারায়ন কান্তি চৌধুরী, সহসভাপতি বিপুল কান্তি দত্ত, সুনীল ঘোষ, বিজয় কৃষ্ণ বৈষ্ণব, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ পালিত, কল্লোল সেন, সাংগঠনিক সম্পাদক লায়ন রিমন মুহুরী, সহ–সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক শিপুল দে, অর্থ সম্পাদক দীপক তালুকদার, সাগর মিত্র, হরিপদ চৌধুরী বাবুল, অপু কুমার বৈদ্য, অনুপ দাশ প্রমুখ।
উল্লেখ্য, এ বছর চট্টগ্রাম জেলার ১৫টি উপজেলা ও ৬টি পৌরসভায় ১৬১৪টি মণ্ডপে প্রতিমা পূজা ও ৫৭৯টি মণ্ডপে ঘটপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। পূজামণ্ডপের নেতৃবৃন্দদেরকে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য বজায় রেখে সাত্ত্বিক ও মাঙ্গলিকভাবে পূজার্চ্চনা, মন্দির/মণ্ডপে সার্বক্ষণিক সিসি ক্যামেরা স্থাপন, প্রশাসন ও গোয়েন্দা সংস্থার পাশাপাশি নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক টিম গঠন করে নিরাপত্তা বিধান ও শৃঙ্খলা রক্ষায় কাজ করার জন্য আহ্বান জানানো হয়। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।