পাঁচলাইশ নির্বাচন অফিসের অফিস সহায়ক রক্তিম বড়ুয়াকে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় গতকাল সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন অফিস ও চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন অফিসের তৃতীয় ও ৪র্থ শ্রেণীর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জরুরি বৈঠকে বসেন। বৈঠকে চট্টগ্রাম জেলার সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আতাউর রহমান উপস্থিত হয়ে গত বুধবারের ঘটনার জন্য (পাঁচলাইশ নির্বাচন অফিসের অফিস সহায়ক রক্তিম বড়ুয়াকে থাপ্পর মারার ঘটনা)
দু:খ প্রকাশ ও ভুল স্বীকার করেছেন। এরপর বিষয়টি সমাধান হয়ে যায়।
বৈঠক শেষে রক্তিম বড়ুয়া আজাদীকে জানান, ‘বৈঠকে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আতাউর রহমান স্যার এসেছেন। স্যার বলেছেন ঐ সময়(বুধবার বিকালে) তার মাথা ঠিক ছিল না। এজন্য স্যার দুঃখ প্রকাশ করে ভুল স্বীকার করেছেন। স্যার অনেক সিনিয়র মানুষ। বুধবার আমাকে স্যারের দরকার ছিল। আমাকে খুঁজে না পেয়ে স্যারের মাথা গরম ছিল। ঐ সময় হঠাৎ আমাকে পেয়ে থাপ্পর দিলে আমি ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে যায়। স্যার আমাকে ভুলে যেতে বলেছেন। স্যার অনেক বড়ো মানুষ। আমিও স্যারের কথায় ঐদিনের সব কিছু ভুলে গেছি।’
উল্লেখ্য, গত ১৭ ফেব্রুয়ারি পাঁচলাইশ নির্বাচন অফিসের অফিস সহায়ক রক্তিম বড়ুয়াকে অফিসের কাজে বেশ কয়েকবার খুঁজতে আসেন চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো.আতাউর রহমান। বিকাল ৪টায় আবার খুঁজতে আসলে রক্তিম তখন ওয়াশরুম থেকে বের হয়। এসময় আতাউর রহমান তাকে (রক্তিম) কোথায় গিয়েছে তা জানতে চান। উত্তরে রক্তিম ওয়াশরুম থেকে ফিরছেন বলতেই তাকে থাপ্পর মারতে শুরু করেন তিনি।
এঘটনায় দুই অফিসের তৃতীয় ও ৪র্থ শ্রেণীর কর্মকর্তাদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
