গত দুই বছরের মত এবারও জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষা হচ্ছে না। নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন হতে যাওয়ায় আগামীতেও আর এই পরীক্ষা নেওয়ার সুযোগ নেই বলে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি জানিয়েছেন। এদিকে এক সপ্তাহের মধ্যে প্রায় আড়াই হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্তির আওতায় আনার ঘোষণা আসছে বলে জানিয়েছেন তিনি। গতকাল রোববার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আগামী বছর থেকে যেহেতু আমরা রোল-আউটে যাচ্ছি, যদিও ক্লাস এইট যাবে না, তার পরের বছর যাবে, আমার মনে হয়- এই বছর জেএসসি পরীক্ষার সুযোগ নেই, পরীক্ষা হবে না।
বিডিনিউজের খবর থেকে জানা যায়, ২০২৩ সাল থেকে ধাপে ধাপে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন শুরু করতে যাচ্ছে সরকার। প্রাথমিকের প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণি এবং মাধ্যমিকের ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে এই শিক্ষাক্রম শুরু হবে। ২০২৪ সালে তৃতীয়, চতুর্থ, অষ্টম, নবম শ্রেণি এবং ২০২৫ পঞ্চম ও দশম শ্রেণিতে এই শিক্ষাক্রম শুরু হবে। এ সময়ের মধ্যে নতুন শিক্ষাক্রম পুরোপুরি বাস্তবায়ন হবে।
নতুন শিক্ষাক্রমে পরীক্ষার চাপ কমিয়ে ‘আনন্দময়’ শিক্ষা ব্যবস্থা চালুর পরিকল্পনা জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তিনি বলে, অষ্টম শ্রেণি আগামী বছর আমাদের নতুন কারিকুলামে যাচ্ছে না, যাচ্ছে তার পরের বছর। ২০২৪ সালে এ পরীক্ষাটা থাকবে না। কাজেই ২৩ এ নেবারও কোনো কারণ নাই। এ সময় শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, এমপিওর কাজ শেষ করা হয়েছে। আশা করি এক সপ্তাহের মধ্যে ঘোষণা করতে পারব। ঘোষণার পরপরই তারা এর সুবিধা পাবে।
বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করতে গত ৩০ সেপ্টেম্বর গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। পরে গত বছরের ১০ থেকে ৩১ অক্টোবর এমপিওভুক্তির জন্য অনলাইনে সাড়ে চার হাজারের বেশি নিম্ন মাধ্যমিক স্কুল, মাধ্যমিক স্কুল, উচ্চ মাধ্যমিক কলেজ ও ডিগ্রি কলেজের আবেদন আসে। এছাড়া প্রায় চার হাজার মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আবেদন করে। আবেদন করা সাড়ে আট হাজার প্রতিষ্ঠানের মধ্যে নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সাড়ে ৬ হাজার।
এবার কতটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিও এর আওতায় আসবে তা স্পষ্ট না করলেও দীপু মনি রোববার বলেন, গতবারের কাছাকাছিই হবে।
বর্তমানে দেশে এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ২৮ হাজার ৯১০টি। এর মধ্যে স্কুল ১৮ হাজার ১৯৭টি, কলেজ ২ হাজার ৩৬৫টি, মাদ্রাসা ৭ হাজার ৬১৮টি।