বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম মহানগরীর ভারপ্রাপ্ত আমির মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেছেন, ইতিহাসে ওলামায়ে কেরামগণ জুলুমের বিরুদ্ধে, পরাধীনতার বিরুদ্ধে বরাবরই সোচ্চার ছিলেন। ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলন, পাকিস্তানের বৈষম্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ এবং মহান মুক্তিযুদ্ধসহ সকল স্বাধীনতা আন্দোলন, স্বাধিকার আন্দোলন এবং মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে ওলামা–মাশায়েখের ভূমিকা ইতিহাসের অবিচ্ছিন্ন অংশ। চব্বিশের জুলাই গণ–অভ্যুত্থানেও মাদ্রাসা শিক্ষার্থীসহ শতাধিক আলেম শাহাদাত বরণ করেছেন, পঙ্গুত্ব ও অন্ধত্ব বরণ করেছেন। ফ্যাসিবাদী শাসনের বিরুদ্ধে, জুলুমের বিরুদ্ধে এবং বৈষম্যের বিরুদ্ধে ওয়াজ– নসিহত ও জুমায় খুতবা দেয়ার কারণে অনেকে চাকরি হারিয়েছেন। জুলাই আন্দোলনের পক্ষে বক্তব্য দেয়া আলেম অপদস্ত হয়েছেন, হামলার শিকার হয়েছেন, চাকুরিচ্যুত হয়েছেন এবং শাহাদাত বরণ করেছেন। মাদ্রাসা শিক্ষার্থীসহ ওলামা মাশায়েখগণের ত্যাগ কোরবানি স্বর্ণাক্ষরে লিপিবদ্ধ থাকবে। জুলাই সনদের আইনী ভিত্তি দিতে হবে।
গত ৩ অক্টোবর বাংলাদেশ ইসলামিক একাডেমি (বিআইএ) মিলনায়তনে ৫ দফা গণদাবি আদায়ের লক্ষ্যে ওলামা–মাশায়েখদের সাথে নগর জামায়াতের মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তেব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জামায়াতে ইসলামীর মহানগরীর অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মাওলানা খাইরুল বাশার ও মোহাম্মদ উল্লাহ সঞ্চালনায় এতে আরো বক্তব্য দেন, মাওলানা মমতাজুর রহমান, মাওলানা মোহসিন আল হোসাইনী, মাওলানা সাফওয়ান বিন হারুন আল আযহারী, হাফেজ বেলাল হোসেন, হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ ইয়াহিয়া, মাওলানা রুহুল আমিন, মাওলানা মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ, মাওলানা মুহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, মাওলানা শহিদুল ইসলাম। এতে সংগীত পরিবেশন করেন মাওলানা জয়নুল আবেদীন প্রমুখ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।