চট্টগ্রাম সংষ্কৃতি কেন্দ্র আয়োজিত ‘৩৬ জুলাই : সত্য সাহসের পুনর্জাগরণ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানমালায় ডা. এ কে এম ফজলুল হক বলেছেন, জুলাই বিপ্লব আমাদের স্বাধীন–স্বকীয় জাতিসত্তা পুননির্মাণ ও ভবিষ্যৎ পথচলার আলোকবর্তিকা হয়ে থাকবে।
তিনি বলেন, আমাদের শহীদ এবং আহতরা পবিত্র অনুষঙ্গ হয়ে দেশ জাতি এবং সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে মুখ্য ভূমিকা পালন করবে। বিগত ১৭ বছর আমাদের উপর যে জুলুম নির্যাতন হয়েছে তার দাঁতভাঙা জবাব দিয়েছে আমাদের তরুণরা তাদের বুকের তাজা খুন দিয়ে। শহীদরা বুঝিয়ে দিয়েছে অর্থলোপাট, বিচারিক হত্যাকাণ্ড এবং সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে কোন শক্তিই স্থায়ী হতে পারে না।
গত ৫ আগস্ট বিকেল ৫টায় নগরীর থিয়েটার ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে চট্টগ্রাম সংস্কৃতি কেন্দ্র আয়োজন করে ‘৩৬ জুলাই : সত্য সাহসের পুনর্জাগরণ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানমালার। এতে ছিলো জুলাই পর্যালোচনা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, তথ্যচিত্র প্রদর্শনী, গ্রাফিতি প্রদর্শনী এবং স্মারক প্রকাশ। কেন্দ্রের মহাসচিব সাইফুল্লাহ মুহাম্মদ সায়েম, গবেষক হানিফ মজুমদার এবং গল্পকার আবু সাঈদ হান্নানের যৌথ উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানমালায় সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম সংস্কৃতি কেন্দ্রের সভাপতি চলচ্চিত্র নির্মাতা লায়ন ইসমাইল চৌধুরী।
ড. চৌধুরী আবদুল হালিমের স্বাগত বক্তব্যের মাধ্যমে শুরু হওয়া অনুষ্ঠানমালায় কথা বলেন জুলাই শহীদ ফয়সল আহমদ শান্তর পিতা মুহাম্মদ জাকির হোসাইন, মা কোহিনুর আক্তার এবং শহীদ মোহাম্মদ ফারুকের স্ত্রী সীমা আক্তার। এছাড়া জুলাই পর্যালোচনায় অংশ নেন জুলাই যোদ্ধা আহমদ উল্লাহ, সমাজচিন্তক মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক, কবি মাঈন উদ্দিন জাহেদ, কবি সৈয়দ আহমদ শামীম, জুলাই যোদ্ধা মাহবুবুল মাওলা রিপন এবং সাংবাদিক আবুল হাসনাত।
শহীদ ফয়সল আহমদ শান্তর পিতা বলেন, আমাদের সন্তানেরা প্রাণ দিতে শিখে গেছে, তাই আর কোন নতুন ফ্যাসিবাদ জাতির ঘাড়ে চেপে বসতে পারবে না।
অনুষ্ঠানে স্মারক ‘৩৬ জুলাই পূর্বাপর’ এর প্রথম সংখ্যার মোড়ক উন্মোচন করা হয়। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।