ইসলামে যাকাতের গুরুত্ব ও মাসায়েল
সম্মানিত মুসলিম ভাইয়েরা!
আল্লাহ তা’আলাকে ভয় করুন। ইসলামের মৌলিক পাঁচটি রুকন’র তৃতীয় স্তম্ভ যাকাতের বিধান মেনে চলুন। ঈমান, নামায, যাকাত, রোযা ও হজ্বের বিধানকে ইসলামের ভিত্তি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। যাকাত মুমীন মুত্তাকীদের অপরিহার্য ইবাদত।
আল কুরআনে যাকাত প্রসঙ্গ: নামাযের পর যাকাত ফরজ হয়েছে। এ জন্য পবিত্র কুরআনে যাকাতের আলোচনা নামাযের পরে এসেছে। পবিত্র কুরআনুল করীমের ১৯টি সূরায় ১০টি মক্কী সূরা ৯টি মাদানী সূরায় ৩২টি আয়াতে যাকাত শব্দটি উল্লেখ রয়েছে। (লিসানুল আরব, খন্ড ২য়, পৃ: ৩৬)
আল্লাহ তা’আলা যাকাত ব্যবস্থাকে একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত হিসেবে নির্দেশ করেছেন। এরশাদ হয়েছে, “অতএব তোমরা সালাত কায়েম কর, যাকাত প্রদান কর এবং আল্লাহ ও তাঁর রসূলের আনুগত্য কর। তোমরা যা কর আল্লাহ তা সম্যক অবহিত। (আল কুরআন, ৫৮, ১৩)
নামায আদায় করা ও যাকাত প্রদান করা মুত্তাকীদের অন্যতম গুণাবলী ও বৈশিষ্ট্য। এ উৎকৃষ্ট গুনাবলীর অধিকারী বান্দাকে আল্লাহ তাঁর প্রিয়জন হিসেবে উল্লেখ করেছেন এরশাদ হয়েছে, “ তোমাদের বন্ধু তো আল্লাহ। তাঁর রাসূল ও মু’মিনগণ যারা বিনত হয়ে সালাত কায়েম করে ও যাকাত দেয়। (আল কুরআন, সূরা: তাওবা, আয়াত: ১৮)
অন্য আয়াতে করীমায় আল্লাহ তা’আলা মু’মিনের পরিচয় প্রসঙ্গে এরশাদ করেছেন, “এবং যারা যাকাত দানে সক্রিয়” (আল কুরআন: ২৩, আয়াত: ৪)
হাদীস শরীফের আলোকে যাকাত: হযরত জারির ইবনে আবদুল্লাহ রাদ্বিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে বায়আত গ্রহণ করেছি এ মর্মে যে সালাত কায়েম করার, যাকাত দেয়ার এবং প্রত্যেক মুসলমানের কল্যাণ কামনার জন্য। (বুখারী শরীফ, যাকাত অধ্যায়)
যাকাত ফরজ হওয়ার হিকমত ও উপকারিতা: যাকাত ফরজ করার ক্ষেত্রে আল্লাহর কুদরতের অসংখ্য রহস্য ও উপকারিতা নিহিত রয়েছে।
১. যাকাতে সম্পদ ব্যয়ে সম্পদ বৃদ্ধি হয়, একজন আলিম যদি জ্ঞান বিতরণ না করেন এক পর্যায়ে জ্ঞান হারাতে বসেন, কুপ থেকে যদি পানি ব্যবহার না হয় পানি ময়লা ও দুর্গন্ধযুক্ত হয়ে যায়, বৃক্ষরাজির ডাল যদি সময়ে সময়ে কেটে ফেলা না হয় পরবর্তীকালে ফলন কমে আসবে। অনুরূপ সম্পদের যদি যাকাত আদায় করা না হয় সে সম্পদে লাভ মুনাফা ও উন্নতি বন্ধ হয়ে যায়। ২. প্রত্যেক জিনিসের যাকাত আছে, যেমন অসুস্থতা হলো সুস্থতার যাকাত, নিদ্রা হলো জাগ্রত থাকার যাকাত, পরিশ্রম কষ্ট ও সাধনা হলো প্রশান্তির যাকাত। প্রয়োজনের অতিরিক্ত সম্পদে ফকীর মিসকীনদের হক রয়েছে, অতিরিক্ত জিনিসকে ও বর্ধিত জিনিসকে পৃথক করা প্রয়োজন। বর্ধিত নখ, চুল, গোঁফ ইত্যাদি পৃথক করতে হয়। অনুরূপ পেটের অতিরিক্ত জিনিসও বের হওয়া একান্ত প্রয়োজন, অন্যথায় এগুলো রোগ ব্যাধি ও অসুস্থতার কারণ হয়। অনুরূপভাবে যাকাতের সম্পদ পৃথক হওয়া প্রয়োজন অন্যথায় সম্পদের সাথে যাকাতের অর্থ মিশ্রিত থাকলে সম্পদ বিনষ্ট ও ধ্বংস হয়ে যাবে। [তাফসীর নাঈমী, ১ম খন্ড, কৃত: মুফতি আহমদ ইয়ার খান নাঈমী (র.)]
যাকাত সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ মাসআলা: যাকাত ফরজ, অস্বীকারকারী কাফির, অনাদায়কারী ফাসিক, হত্যাযোগ্য। আদায়ে বিলম্বকারী গুনাহগার ও সাক্ষ্যের অনুপযোগী। (ফাতওয়া-এ আলমগীরি, বাহারে শরীয়ত, ৫ম খন্ড, পৃ:২৭)
কী পরিমাণ নিসাব থাকলে যাকাত ফরজ হয়: স্বর্ণের নেসাব হলো বিশ মিছকাল, দেশীয় হিসেবে সাড়ে সাত তোলা। রৌপ্যের নেসাব দু’শ দিরহাম বা সাড়ে বায়ান্ন তোলা। কিংবা কারো নিকট সম্পরিমাণ মালামাল বা অর্থ সঞ্চিত থাকলে চল্লিশ ভাগের এক ভাগ বা শতকরা আড়াই ভাগ যাকাত দিতে হবে। স্বর্ণ ও রৌপ্য কোনোটাই যদি পূর্ণ নেসাব না হয় তখন দুটাকে একত্রে মিলিয়ে মূল্য নির্ধারণ করতে হবে। ইমাম আবু হানিফা (র.)’র মতে স্বর্ণ বা রৌপ্য যেটির সাথে নেসাব নির্ধারণ করলে দরিদ্রের উপকার বেশী হয় সেটার সাথে নেসাব মিলায়ে যাকাত আদায় করতে হবে। [মালাবুদ্দা মিনহু, কৃত: কাযী ছানাউল্লাহ পানি পথী (র.)]
মাসআলা: যাকাত দেয়ার সময় অথবা যাকাতের মাল পৃথক করার সময় যাকাতের নিয়ত করা শর্ত। (আলমগীরি)
বছর ব্যাপী দান সাদকা করতেই আছে এখন নিয়ত করল যা কিছু দিয়েছি তা যাকাত আদায় হবেনা। (আলমগীরি, বাহারে শরীয়ত, ৫ম খন্ড, পৃ: ৪০)
মাসআলা: যাকাত দেয়ার সময় ফকীরকে যাকাত বলে দেয়ার প্রয়োজন নেই। বরং যাকাতের নিয়্যতই যথেষ্ট। (আলমগীরি)
যাকাত গ্রহণের উপযোগী ব্যক্তিকে এটা যাকাতের মাল একথা বলা জরুরি নহে। [ফাতওয়া-এ মুস্তাফভীয়্যাহ, পৃ: ২৯২, কৃত: মুফতিয়ে আজম, আল্লামা মুহাম্মদ মুফস্তা রেযা (র.)]
মাসআলা: তিন প্রকার মালের উপর যাকাত ওয়াজিব। ১. অলংকার অর্থ্যাৎ স্বর্ণ, রৌপ্য, ২. ব্যবসায়িক সামগ্রী, ৩. বিচরণকারী প্রাণী অর্থ্যাৎ চারণভূমিতে ছেড়ে দেওয়া পশু। (বাহারে শরীয়ত, ৫ম খন্ড, পৃ: ৩৬)
অলংকার স্বর্ণ রৌপ্য মোটেই মৌলিক চাহিদাভুক্ত নয়। সুতরাং স্বর্ণ রৌপ্য দ্বারা নির্মিত ব্যবহার্য প্লেট, আসবাব পত্র হোক বা সাজ সজ্জার জন্য হোক দুটোতে চল্লিশ ভাগের এক ভাগ হিসেবে যাকাত দিতে হবে। যে অলংকারের যাকাত দেয়া হবে না, সে গুলো জাহান্নামের আগুনে উত্তপ্ত করে পরিধান করা হবে মর্মে অসংখ্য হাদীস শরীফে বর্ণিত হয়েছে, ব্যবসায়িক সম্পদ যদি মাটিও হয় এর যাকাত দিতে হবে।
চারণভূমিতে বিচরণকারী উট, মহিষ, ভেড়া, ছাগল, দুম্বা, নর-মাদী যে শ্রেণির হোক ইমাম আবু হানিফা (র.)’র মতে নির্দিষ্ট হিসেব অনুপাতে যাকাত দিতে হবে। (ফাতওয়া-এ আফ্রিকা, কৃত: ইমাম আহমদ রেযা (র.). ফাতওয়া-এ ফয়জুর রসূল, ৩য় খন্ড, পৃ: ৩১৩)
যাদেরকে যাকাত দেয়া যাবে: ১. ফকীর, যার কাছে কিছু সম্পদ আছে তা নিসাব পরিমাণ নয়, যা দ্বারা তার প্রয়োজন পূরণ হয় না তাকে ফকীর বলে। ২. মিসকীন, যার কাছে কিছুই নেই। ৩. আমিলুন, যাকাত সংগ্রহে নিযুক্ত ব্যক্তি, যদিও সম্পদশালী হয় তবে হাশেমী বংশের হলে তাকে দেয়া যাবেনা। (আলমগীরি, বাহারে শরীয়ত, ৫ম খন্ড), মুসলমানদের উচিৎ নবীজির বংশের সম্মানার্থে নবী বংশের লোকদেরকে অন্য উপায়ে সাহায্য সহযোগিতা করা। (ওয়াকারুল ফাতওয়া, ২য় খন্ড, পৃ: ৩৯৭), হাশেমী বংশের লোকদের যাকাত প্রদান জায়েজ নয়। তবে নফল দান তাদেরকে সর্বাগ্রে করা উচিত। দান করার সময় তাঁদের শ্রদ্ধা ও তাজিমের সাথে করতে হবে যেহেতু তাঁরা প্রিয় নবীর বংশধর। [মালাবুদ্দা মিনহু, কাযী ছানাউল্লাহ পানি পথী (র.)] ৪. ঋণ গ্রস্তদের ঋণ পরিশোধের জন্য। ৫.আল্লাহর পথে, যেখানে ইসলামের দাওয়াত পৌছেনি সেখানে ইসলামের দাওয়াত পৌছানোর কাজে যাকাতের অর্থ দেয়া যাবে। আল্লাহর পথে দ্বীনি ইলম অর্জনকারী অভাবী শিক্ষার্থীদের যাকাত দেয়া যাবে। (বাহারে শরীয়ত, ৫ম খন্ড, পৃ: ৭৯-৮১) , ৬. মুসাফির, যে ব্যক্তি সফর অবস্থায় অর্থ সংকটে পড়েছে, সম্পদশালী হলেও তাকে যাকাত দেয়া যাবে।
যাদেরকে যাকাত দেয়া যাবেনা: ১. নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিককে যাকাত দেয়া যাবেনা। ২. যাকাত দাতার উর্ধ্বতন বা অধ:স্তন বংশধর। অর্থ্যাৎ পিতা-মাতা, দাদা-দাদী, নানা-নানী, ছেলে-মেয়ে, নাতি-নাতনী, প্রৌপুত্র-প্রৌপুত্রীদেরকে যাকাত দেয়া যাবেনা। ৩. স্বামী স্ত্রীকে, স্ত্রী স্বামীকে যাকাত দেয়া যাবেনা। ৪. কোন কাফেরকে যাকাত দেয়া যাবেনা। (মালাবুদ্দা মিনহু, নুরুল ইযাহ, আনোয়ারে শরীয়ত), ৫. ভ্রান্ত আকিদা পেষণকারী। নবী রাসূল ও সাহাবাদের ব্যাপারে ধৃষ্ঠতা প্রদর্শনকারী যাদের কুফরি আক্বিদা প্রমাণিত। তাদেরকে যাকাত দেয়া যাবেনা। (বাহারে শরীয়ত, ৫ম খন্ড, পৃ: ৮৮, ফাতওয়া-এ ফয়জুর রসূল, খন্ড ৩য়, পৃ: ১২৮)
যাদেরকে যাকাত দেয়া উত্তম: যাকাত প্রদানে উত্তম হলো, প্রথমে নিজভাই-বোন, অত:পর তাদের সন্তান-সন্ততি, তারপর চাচা, ফুফু, অত:পর ওদের সন্তান-সন্ততিদেরকে অত:পর মামা ও খালুদেরকে অত:পর ওদের সন্তান-সন্ততিদের অত:পর রক্ত সম্পর্কীয় আত্নীয় স্বজনদেরকে অত:পর প্রতিবেশী, অত:পর সহকর্মী অত:পর নিজ গ্রামবাসীদের যাকাত দেয়া উত্তম। (আলমগীরি, বাহারে শরীয়ত, ৫ম খন্ড, পৃ: ৮৮, আনোয়ারে শরীয়ত)
যাকাত অনাদায়ে পরিণতি: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন, জলে স্থলে যে সম্পদ ধ্বংস হয় তা যাকাত না দেয়ার কারণেই হয়। (তাবরানী শরীফ)। আল্লাহ তা’আলা আমাদের শরয়ী বিধি মোতাবেক সঠিকভাবে যাকাত আদায় করার তাওফিক দান করুন।
লেখক : অধ্যক্ষ, মাদরাসা-এ তৈয়্যবিয়া ইসলামিয়া সুন্নিয়া ফাযিল (ডিগ্রী), বন্দর, চট্টগ্রাম; খতীব, কদম মোবারক শাহী জামে মসজিদ।
[ইসলাম সম্পর্কিত পাঠকের প্রশ্নাবলি ও নানা জিজ্ঞাসার দিচ্ছেন বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ মাওলানা মুহাম্মদ বদিউল আলম রিজভি। আগ্রহীদের বিভাগের নাম উল্লেখ করে নিচের ইমেলে প্রশ্ন পাঠাতে অনুরোধ জানানো হচ্ছে।
Email : azadieditorial@gmail.com]
আলেয়া রহমান
রাবেয়া রহমান গলি, নুর আহমদ সড়ক, চট্টগ্রাম।
প্রশ্ন: যারা অহেতুক দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি করে ইসলামে তাদের শাস্তি কী?
উত্তর: নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রীর অহেতুক মূল্য বৃদ্ধির পরিস্থিতি সৃষ্টি করে জনগণকে কষ্ট দিলে তার জন্য আল্লাহ তা’আলা পরকালে কঠোর শাস্তি দিবেন। প্রিয় নবীজি এরশাদ করেছেন, “যে ব্যক্তি মুসলমানদের ক্রয় বিক্রয়ে হস্তক্ষেপের মাধ্যমে দ্রব্য মূল্যে বৃদ্ধি ঘটাবে আল্লাহ তা’আলা কিয়ামতের দিন জাহান্নামের আগুনের হাড়ের উপর বসিয়ে তাকে শাস্তি দিবেন। (মুসনাদে আহমদ, হাদীস নং: ২০৫৭৯)
এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী পণ্যদ্রব্য মজুদ করে দাম বৃদ্ধি করে, নবীজি এরশাদ করেছেন, “যে ব্যক্তি পণ্যদ্রব্য মজুদ করবে সে, পাপী।” (সহীহ মুসলিম)। আরো এরশাদ করেছেন, “মজুদকারী অভিশপ্ত।” (মুসান্নাফ আবদুর রাযযাক, ৮ম খন্ড, পৃ: ২০৪)। ইসলামে অন্যায়ভাবে পণ্যমূল্য বৃদ্ধি করা জঘন্য অপরাধ হিসেবে চিন্থিত করেছে, বাজারের শৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে আমিরুল মুমেনীন হযরত ওমর (রা.) এর খিলাফতকালে তিনি নিজে বাজার ঘুরে দেখতেন। বাজার ব্যবস্থা মনিটরিং করার জন্য রাষ্টীয়ভাবে হযরত আবদুল্লাহ ইবনে ওতবাকে দায়িত্ব দিয়েছিলেন। ইসলামী শরীয়তে চুরি, ডাকাতি, ব্যভিচার, ব্যভিচারের অপবাদ ও মদ্য পানের শাস্তি কুরআন সুন্নাহ দ্বারা প্রমাণি, যে সব অপরাধের শাস্তি নির্ধারণ করেনি, তা প্রশাসন ও বিচারকের বিবেচনার উপর ছেড়ে দিয়েছে। তাকে ইসলামে তাযীর বা দন্ডবিধি বলে। বিচারক অপরাধের মাত্রা, ধরন, পরিমাণ বিবেচনা করে জনকল্যাণের স্বার্থে যতটুকু শান্তির প্রয়োজন জেল, জরিমানা ও সতর্কারোপ ইত্যাদি যতটুকু প্রয়োজন ততটুকু দিতে পারেন। প্রয়োজনে অপরাধ দমন ও নির্মূলের স্বার্থে সরকার নিজস্ব আইন করতে পারে। ইসলাম সাধারণভাবে দ্রব্য মূল্য নিয়ন্ত্রণ ও নির্ধারন প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করেনা, তবে অসাধু ব্যবসায়ীদের বেপরোয়া লাগামহীন উর্ধ্বগতি রোধ করার জন্য নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রীর মূল্য নির্ধারণ ও তালিকা প্রণয়ন ইসলাম অনুমতি দিয়েছে। মুজতাহিদ ফকীহগণ এ ব্যাপারে দ্বিমত পোষণ করেনি। (হেদায়া, দুররুল মোখতার, বাহারে শরীয়ত, ষষ্ঠদশ খন্ড, পৃ: ৯২)