হিংসা বিদ্বেষ মারাত্মক ক্ষতিকর
সমস্ত প্রশংসা আল্লাহতা’আলার জন্য। যিনি মানব জাতিকে কল্যাণকর গুণাবলী অর্জনের নির্দেশ করেছেন। যা কিছু অকল্যাণকর ও ক্ষতিকর তা বর্জনের নির্দেশ দিয়েছেন। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি আল্লাহ ছাড়া কোন মাবুদ নেই, তিনি একক অদ্বিতীয় তাঁর কোন অংশীদার নেই। তিনি যাকে চান পথভ্রষ্ট করেন, যাকে চান পথ প্রদর্শন করেন। আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি আমাদের মহান নবী, অভিভাবক, শাফায়াতের কান্ডারী হযরত মুহাম্মদ মুস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর প্রিয় বান্দা ও প্রিয় রাসূল। তাঁর উপর দরুদ সালাম বর্ষিত হোক, তাঁর পবিত্র বংশধরগণ, সম্মানিত সাহাবাগণ, কিয়ামত অবধি সত্যান্বেষী মুমীন নরনারীদের প্রতি করুণাধারা বর্ষিত হোক।
সম্মানিত মুসলিম ভাইয়েরা! আল্লাহ তা’আলাকে ভয় করুন। তাঁর আনুগত্য করুন। তাঁরই নির্দেশিত পথে সৃষ্টিকে ভালবাসুন। মানবতার কল্যাণে কাজ করুন। সৃষ্টির ক্ষতিসাধন থেকে নিজকে বিরত রাখুন।
হাসদ অর্থ: হিংসা করাকে আরবিতে হাসদ বলা হয়। অন্যের সুখ-শান্তি, সম্মান, মর্যাদা, সুনাম ও সুখ্যাতি দেখে হিংসা করা বা প্রতিহিংসা পরায়ণ হওয়াকে হাসদ বলা হয়। হিংসা-বিদ্বেষ একটি মারাত্মক ক্ষতিকর ব্যাধি। হিংসুক ব্যক্তি অন্যের উন্নতি, কল্যাণ ও সুখ্যাতি সহ্য করতে পারেনা। মানুষের ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, ব্যবসা বাণিজ্য, এমনকি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ মানব জীবনের সর্বক্ষেত্রে এ মারাত্মক ব্যাধি আজ ব্যাপকভাবে বিস্তৃত। হিংসুক লোকেরা মানুষের যোগ্যতা স্বীকার করে না। হিংসুক ব্যক্তি সম্মানিত ও মর্যাদাবান লোককে যথার্থ সম্মান ও মর্যাদা দেয় না। ইসলাম মানুষের প্রতি হিংসা ও বিদ্বেষ পোষণ করাকে সম্পূর্ণরূপে হারাম ও নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে।
পবিত্র কুরআনে হিংসুকের পরিণতি: মানুষের জ্ঞান, প্রজ্ঞা, মেধা, যোগ্যতা, ধন-সম্পদ, পদমর্যাদা, নেতৃত্ব, সুনাম সুখ্যাতি ইত্যাদি গুণাবলী খোদা প্রদত্ত নিয়ামত। কারো প্রতি ইর্ষান্বিত বা হিংসাপরায়ণ হয়ে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে তার ক্ষতি সাধনে তৎপর হওয়া, সচেষ্ট থাকা, ভূমিকা রাখা, হিংসা-বিদ্বেষের পরিচায়ক। মহান আল্লাহ তা’আলা এরশাদ করেছেন, “আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে মানুষকে যা দিয়েছেন সে জন্য কি তারা তাদের ঈর্ষা করে?” (সূরা: নিসা, আয়াত: ৫৪)
হিংসুুকের অনিষ্ট থেকে বেঁচে থাকার জন্য আল্লাহর সাহায্য একান্ত প্রয়োজন। হিংসুকের ক্ষতি ও অনিষ্টতা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য আল্লাহতা’আলা বান্দাকে প্রার্থনার শিক্ষা দিয়েছেন এরশাদ হয়েছে, “এবং হিংসুকের অনিষ্ট থেকে পানাই চাই, যখন সে হিংসা করে।” (সূরা: ফালাক, আয়াত: ০৫)
হাদীস শরীফে হিংসা-বিদ্বেষের প্রতি কঠোরতা: হিংসা বিদ্বেষ একটি নিকৃষ্ট স্বভাব। হিংসা-বিদ্বেষ মানুষের অন্তর্জালা বৃদ্ধি করে। হিংসুক ব্যক্তি হিংসার দহনে জ্বলতে থাকে, হিংসুক লোকেরা অন্যের ক্ষতি সাধনের জন্য শটতা, কপটতা, হিংস্রতা, অবিচার, জুলুম, নির্যাতন, নিপীড়ন ও অশুভ আচরণ চরিতার্থ করে। আদর্শ জীবন গঠন ও মানবিকতা চর্চায় নিকৃষ্ট আচরণ ও স্বভাব পরিহার করার জন্য হাদীস শরীফে বিশেষভাবে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন, “হযরত আবু হুরায়রা রাদ্বিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন, সাবধান! তোমরা ধারণা করা থেকে বিরত থাকবে। কেননা ধারণা করা সবচেয়ে বড় মিথ্যাচার। তোমরা একে অপরের ছিদ্রান্বেষণ করো না, পরস্পরের দোষ ক্রটি অনুসন্ধান করোনা, কারো গোপনীয় বিষয় তালাশ করোনা, একে অন্যকে ধোঁকা দিবেনা। পরস্পর হিংসা করোনা, একে অন্যের প্রতি বিদ্বেষভাব পোষণ করোনা, একে অপরের পিছনে লেগে থেকোনা। বরং সবাই আল্লাহর বান্দা ভ্রাতৃত্ব বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে যাও।” (সহীহ বুখারী শরীফ, হাদীস নং: ৬০৬৬)
হিংসা মানুষের আমল বিনষ্ট করে: ইসলামী শরীয়তে হিংসাকে ঘৃণিত ও নিকৃষ্ট হারাম কাজ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। হিংসুক ব্যক্তি যত পুণ্যময় আমল করুক, নামায, রোজা, হজ্ব, যাকাত, সাদকাত, জনসেবা, সমাজসেবা, দ্বীনের খিদমত ইত্যাদি নেক আমল সমূহ তার কোন কাজে আসবে না। হাদীস শরীফে এরশাদ হয়েছে, “হযরত আবু হুরায়রা রাদ্বিয়া আল্লাহু তা’আলা আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন, তোমরা হিংসা থেকে বেঁচে থাকো। কেননা, হিংসা বিদ্বেষ আমলকে খেয়ে ফেলে যেমনিভাবে আগুন লাকড়িকে জ্বালিয়ে নিঃশেষ করে দেয়। (আবু দাউদ শরীফ, হাদীস নং: ৪৯০৩)
হাদীস শরীফে আরো এরশাদ হয়েছে, নিশ্চয়ই হিংসা নেক আমলসমূহের নূর বা আলোকে নিভিয়ে দেয়। (আবু দাউদ শরীফ, হাদীস নং: ৪৯০৬)
হিংসা বিদ্বেষ মু’মীনের চরিত্র হতে পারে না: ঈমান ও হিংসা কোন মুমীন বান্দার কলবে, একত্রিত হতে পারে না। (সূনানে নাসাঈ শরীফ, হাদীস: ৩১০৯)
পূর্ববর্তী উম্মতদের ব্যাধি: নবী করিম রউফুর রহীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন, অচিরেই আমার উম্মতের মধ্যে পূর্ববর্তী উম্মতদের ব্যাধি সংক্রমিত হবে। সাহাবায়ে কেরাম আরজ করলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! পূর্ববর্তী উম্মতদের ব্যাধি কি? প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন, ১. অহংকার, ২. অধিক ধন সম্পদের লোভ করা, ৩. পারস্পরিক দূরত্ব, ৪. হিংসা করা। (আল মুস্তাদরেক, ৪র্থ খন্ড, পৃ: ১৬৮)
হিংসা মুক্ত ব্যক্তি আল্লাহর আরশের ছায়াতলে আশ্রয় পাবে: হুজ্জাতুল ইসলাম ইমাম গাজ্জালী (র.) বর্ণনা করেন, হযরত মুসা আলাইহিস সালাম এক ব্যক্তিকে আরশের ছায়ায় দেখতে পেলেন, আল্লাহর নিকট এ মর্যাদা প্রাপ্তির কারণ জানতে চাইলে আল্লাহ তা’আলা বলেন, তিন টি নেক আমল দিয়ে আল্লাহ ঐ ব্যক্তিকে মর্যাদা মণ্ডিত করেন। ১. আল্লাহ যখন কাউকে বিশেষ মর্যাদা দেন, তখন তিনি কাউকে হিংসা করেন না। ২. তিনি পিতা-মাতার অবাধ্য অকৃতজ্ঞ হবে না। ৩. তিনি কখনো কারো গীবত চোগলখুরী করেন না। (এয়াহিয়াউল উলুম, খন্ড:৩য়, পৃ: ৪২২)
হিংসুক ব্যক্তি আল্লাহর বণ্টনে অসন্তুষ্ট: হযরত ইমাম গাজ্জালী (র.) বর্ণনা করেন, হযরত জাকারিয়া আলাইহিস সালাম বলেন, আল্লাহতা’আলা এরশাদ করেন, হিংসুক ব্যক্তি আমার নি’আমতের শত্রু। আমার বণ্টনে অসন্তুষ্ট। আমি আমার বান্দার মাঝে নিয়ামত বণ্টন করেছি হিংসুক সে বণ্টনে সন্তুষ্ট নয়। (ইয়াহিয়া উল উলুম, খন্ড: ৩য়, পৃ: ৪২২)
ইবলীস সর্বপ্রথম হাসদ করেছে: ইমাম গাজ্জালী (র.) বর্ণনা করেন, সর্বপ্রথম গুনাহ হচ্ছে হিংসা। অভিশপ্ত ইবলীস হযরত আদম আলাইহিস সালাম’র সম্মান ও মর্যাদায় হিংসা পরায়ন হয়ে সর্বপ্রথম তাঁকে হিংসা করেছে, সিজদা করতে অস্বীকার করেছে। (আনোয়ারুল বায়ান, খন্ড: ১ম, পৃ: ৬২৪)
হিংসুকের শক্রতা সমাপ্ত হয় না: হযরত আমিরে মুয়াবিয়া রাদ্বিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু বলেন, আমি প্রত্যেক মানুষকে সন্তুষ্ট করতে সক্ষম। কিন্তু নিয়ামতের হিংসুক নিয়ামত বিদূরীত হলে তখন খুশী হয়। “প্রত্যেক শক্রর শক্রতা সমান্তির আশা করা যায়। কিন্তু যিনি তোমাকে হিংসার কারণে শক্রতা করছে, তার শক্রতা সমাপ্ত হয় না। (আনোয়ারুল বয়ান, ১ম খন্ড, পৃ: ৬২৪)
হাবিল-কাবিলের শক্রতা: হযরত ইমাম মুহাম্মদ গাজ্জালি (র.) বলেন, হযরত আদম আলাইহিস সালাম’র পুত্র কাবিল নিজ ভাই হাবিলকে হিংসার কারণে হত্যা করেছে। (এয়াহিয়াউল উলুম, খন্ড:৩য়, পৃ: ৫২৫)
পবিত্র কুরআন মজীদের সূরা ইউসূফে বর্ণিত এতদসংক্রান্ত বর্ণনার সারসংক্ষেপ হলো, হযরত ইউসূফ আলাইহিস সালাম এর ভ্রাতাগণ তাঁর প্রতি হিংসা করেছে। হিংসার কারণ হলো, সম্মানিত পিতা হযরত ইয়াকুব আলাইসি সালাম হযরত ইউসূফ আলাইহিস সালামকে অধিক ভালবাসতেন অন্যভাইদের তা সহ্য হলোনা, পিতার দৃষ্টির অন্তরালে তাঁকে কুপে নিক্ষেপ করেছিল ভাইয়েরা হিংসাপরায়ণ হয়ে হযরত ইউসূফ আলাইসি সালামকে হত্যা করতে চেয়েছিল। (এয়াহিয়াউল উলুম, খন্ড:৩য়, পৃ: ৫২৭)
পার্থিব স্বার্থে একে অপরকে হিংসা করে : একই সম্প্রদায়ের লোক পরস্পরকে হিংসা করে। একজন আলেম অন্যজন আলেমকে হিংসা করে, একজন ব্যবসায়ী অন্য ব্যবসায়ীকে হিংসা করে, এক ভাই অন্য ভাইকে এক আত্মীয় অন্য আত্মীয়কে হিংসা করে। ইমাম মুহাম্মদ গাজ্জালী (র.) বলেন, এ সব হিংসার মূল ভিত্তি হলো পর্থিব জীবনের স্বার্থ। তিনি আরো বলেন, যখন আলেমগণ ইলম দ্বারা সম্পদ ও মর্যাদা অর্জন করতে চায় তখন এক আলেম অন্য আলেমের প্রতি হিংসা বিদ্বেষ চরিতার্থ করে। (আনোয়ারুল বায়ান, ১ম খন্ড, পৃ: ৬২৬)
হিংসুক তার দুনিয়া আখিরাত ধ্বংস করে : হিংসা হিংসুকের ইহকাল পরকাল ক্ষতিগ্রস্ত করে। যাকে হিংসা করা হয় তার কোন ক্ষতি হয় না বরং উভয় জগতে সে লাভবান হয়। তার সম্মান মর্যাদা সুনাম ও সুখ্যাতি আরো বৃদ্ধি পায়। যাকে হিংসা করা হয় মূলত: তার ধন-সম্পদ, মান-সম্মান কিছুই হ্রাস পায় না। প্রকৃত পক্ষে একজন হিংসুক অশান্তি দু:খ যন্ত্রণার অনলে জ্বলতে জ্বলতে নিজের জীবনকে দুর্বিষহ করে তোলে।
শরয়ী ওযর ব্যাতীত তিনদিনের অধিক সম্পর্ক ছিন্ন রাখা হারাম : বর্তমান সমাজে পারস্পরিক হিংসা বিদ্বেষ এতো প্রকট ও ব্যাপকহারে বিস্তার ঘটেছে যে, ঘনিষ্ঠ আপনজন নিকটাত্মীয় হওয়ার পরও যোজন যোজন দূরত্ব। সম্পর্কের চরম অবনতি, সালাম-কালাম নেই, পারস্পরিক সম্প্রীতি, সহমর্মিতা, ভাতৃত্ববোধ ও মানবিক মূল্যবোধের অস্তিত্ব বিপন্ন। অথচ ইসলামে এহেন গর্হিত আচরণ সম্পূণরূপে হারাম ও নিষিদ্ধ। হাদীস শরীফে এরশাদ হয়েছে, “হযরত আবু আইয়ুব আনসারী রাদ্বিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন, কোনো ব্যক্তির জন্য হালাল নয় যে, সে তার ভাইয়ের সাথে তিনদিনের অধিক এমন ভাবে সম্পর্ক ছিন্ন রাখবে যে, পরস্পর সাক্ষাৎ হলেও একজন এদিকে অপরজন সেদিকে মুখ ফিরিয়ে নেবে। তাদের মধ্যে যে সর্বপ্রথম সালামের সূচনা করবে। সেই উত্তম ব্যক্তি। (বুখারী শরীফ, হাদীস নং: ৬০৭৭)
ইমাম হাফিজ ইবনে হাজর আসকালানী (র.) কোন এক বুজুর্গ থেকে বর্ণনা করেন, “যে ব্যক্তি অন্তরের হেফাজতের জন্য আল্লাহর দরবারে প্রার্থনা করবে না সে হিংসা থেকে মুক্তি পাবে না। (আল মুনাব্বিহাত)
হযরত আহনাফ ইবনে কায়স রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, হিংসুকদের কোন শান্তি নেই। মিথ্যাবাদীদের মধ্যে মানবিকতা নেই। কৃপণ লোকের পরিত্রাণের উপায় নেই। ক্ষমতাসীন রাজা বাদশাদের প্রতিশ্রুতি পালনের নিশ্চয়তা নেই। চরিত্রহীন লোকের নেতৃত্বের স্থায়ীত্ব নেই। তকদীরের পরিবর্তন নেই। (আল মুনাব্বিহাত)
হে আল্লাহ আমাদের অন্তরাত্মাকে আপনার নূর দ্বারা আলোকিত করুন। হিংসা বিদ্বেষ থেকে আমাদের আত্মাকে পবিত্র করুন। আমাদের আমলকে পরিশুদ্ধ করুন। কুরআনের আয়াত ও প্রজ্ঞাপূর্ণ উপদেশ দ্বারা আমাদের নাজাত দান করুন। নিশ্চয়ই তিনি মহান দানশীল সৃষ্টি জগতের অধিপতি পুন্যময় অনুগ্রহশীল, দয়ালু, আমীন।
লেখক : অধ্যক্ষ, মাদরাসা-এ তৈয়্যবিয়া ইসলামিয়া সুন্নিয়া ফাযিল (ডিগ্রী), বন্দর, চট্টগ্রাম, খতীব, কদম মোবারক শাহী জামে মসজিদ।