জুম্ম নারীরা শাসকগোষ্ঠীর নিপীড়নের শিকার

রাঙামাটিতে সন্তু লারমা

রাঙামাটি প্রতিনিধি | শনিবার , ১১ অক্টোবর, ২০২৫ at ১১:০৮ পূর্বাহ্ণ

পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (পিসিজেএসএস) কেন্দ্রীয় সভাপতি জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা ওরফে সন্তু লারমা বলেছেন, পুরুষতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থা নারীদের অগ্রযাত্রাকে সীমিত করে রাখে। পার্বত্য চট্টগ্রামে জুম্ম নারীরা প্রায়ই শাসকগোষ্ঠীর নিপীড়ন নিষ্পেষনের শিকার হয়ে থাকে। বর্তমানে অধিকাংশ ছাত্রী উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হচ্ছেন, উচ্চতর প্রাতিষ্ঠানিক ডিগ্রি লাভ করছেন। কিন্তু সমাজে নারীদের অবস্থান সম্পর্কে তাদের যথাযথ অনুধাবন দেখা যায় না। বরং অনেকাংশকে আত্মমুখিতায় জর্জরিত চিন্তার প্রতিফলন দেখতে পায়। গতকাল শুক্রবার রাঙামাটি শহরের আশিকা কনভেনশন হলে পার্বত্য চট্টগ্রাম মহিলা সমিতির ১৩তম কেন্দ্রীয় সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এবারের সম্মেলনের স্লোগান ‘সকল ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে ইস্পাত দৃঢ় জুম্ম জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলি, জুম্ম জাতির অধিকারের সনদ পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নের বৃহত্তর আন্দোলন জোরদার করি’। সম্মেলনে পার্বত্য চট্টগ্রাম মহিলা সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির তথ্য ও প্রচার সম্পাদক শ্যামা চাকমার সভাপতিত্বে ও সদস্য আশিকা চাকমার সঞ্চালনায় এতে উদ্বোধক ছিলেন মহিলা সমিতির প্রাক্তন সভাপতি মাধবীলতা চাকমা। অতিথি ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সহসভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য ঊষাতন তালুকদার, জনসংহতি সমিতির রাঙামাটি জেলা কমিটির সভাপতি গঙ্গা মানিক চাকমা। এ সময় ঊষাতন তালুকদার বলেন, জুম্ম জনগণের অস্তিত্ব আজ বিপন্ন, নারীদের নিরাপত্তা বিপন্ন। নারীরা সমাজের অর্ধেক অংশ, এই অর্ধেক অংশকে পেছনে রেখে সমাজ এগিয়ে যেতে পারে না। জুম্ম জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে নারী সমাজের ভূমিকা রাখতে হবে, না হলে আন্দোলন সফল হবে না। সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে মনি চাকমাকে সভাপতি, আশিকা চাকমাকে সাধারণ সম্পাদক, সুবিনা চাকমাকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে ৩৩ সদস্য বিশিষ্ট পার্বত্য চট্টগ্রাম মহিলা সমিতির নির্বাচিত হয়। নবনির্বাচিত কেন্দ্রীয় কমিটিকে শপথ বাক্য পাঠ করান পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সহসভাপতি ঊষাতন তালুকদার।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচলে গেলেন সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম
পরবর্তী নিবন্ধযৌথ উদ্যোগই পারে সুস্থ জাতি গঠনে অবদান রাখতে