প্রিয় মুসলিম ভাইয়েরা! আল্লাহ তা’আলাকে ভয় করুন, জেনে রাখুন, শাহাদাত ও শহীদ শব্দগুলো ইসলামী পরিভাষা। ইসলামে শাহাদাত ও শহীদের রয়েছে অপরিসীম গুরুত্ব ও মর্যাদা। আল্লাহর একত্ববাদে বিশ্বাসী কুরআন সুন্নাহর অনুসারী আল্লাহর পথে নিহত মুমিন মুসলিমরাই এ মর্যাদার অধিকারী। পরকালে রয়েছে তাদের জন্য মহা পুরস্কার ও উত্তম প্রতিদান।
শহীদের আভিধানিক ও পারিভাষিক অর্থ: শহীদ শব্দটি আরবি, শাহাদাতুন শব্দ থেকে শহীদ শব্দটি নির্গত। পবিত্র কুরআনে শহীদ শব্দটি বিভিন্ন অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। শহীদ আল্লাহর অন্যতম উৎকৃষ্ঠ গুণবাচক নামক। এর এক অর্থ “সাক্ষী” পবিত্র কুরআনে এরশাদ হয়েছে “এবং আল্লাহ তোমাদের কৃতকর্মের সাক্ষ্য।” (সূরা: ৫.১১৭)। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কিয়ামতের দিন আপন উম্মতের সাক্ষী হবেন। পবিত্র কুরআনে এরশাদ হয়েছে, “আর রাসূল তোমাদের সাক্ষী হবেন।” (সূরা: বাকারা, আয়াত: ১৪৩)।
শহীদের শরয়ী অর্থ: ফিকহ শাস্ত্রের পরিভাষায় শহীদ বলা হয় প্রত্যেক বিবেকবান প্রাপ্ত বয়স্ক মুসলমানকে যাকে অন্যায়ভাবে কোন আঘাতকারী যন্ত্র বা অস্ত্র দ্বারা হত্যা করা হয়েছে তাঁকে শহীদ বলে। অথবা আল্লাহর পথে নিহত ব্যক্তিকে শহীদ বলে। আল্লামা ইবনে আবেদীন শামী (র.)’র বর্ণনা মতে মুসলমানদের মধ্যে যে ব্যক্তি কাফিরদের সঙ্গে যুদ্ধের কারণে নিহত হন তাঁকে শহীদ বলা হয়। কোনো ব্যক্তি নিজের জীবন সম্পদ বা কোনো মুসলমানকে রক্ষা করতে যুদ্ধ করল এবং নিহত হল তাকে শহীদ বলা হবে। লোহার আঘাত পাথর অথবা কাঠ যে কোন জিনিস দ্বারা নিহত হোক না কেন? (আলমগীরি, বাহারে শরীয়ত, ৪র্থ খন্ড, পৃ: ২৩০)
পবিত্র কুরআনের আলোকে শহীদের মর্যাদা: ইসলামে রয়েছে একজন শহীদের অনন্য মর্যাদা। আল্লাহর পথে দ্বীনের ঝান্ডাকে সমুন্নত রাখার জন্য তারা নিজের মূল্যবান জীবন উৎসর্গ করেছেন। ক্ষণ স্থায়ী জীবনের মায়া ত্যাগ করে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের লক্ষ্যে নিজেদের মূল্যবান প্রাণ উৎসর্গ করার কারণে তাঁরা স্থায়ী জীবন লাভে ধন্য হয়েছেন। তাঁদের মর্যাদা প্রসঙ্গে আল্লাহ তা’আলা এরশাদ করেছেন, “আর যারা আল্লাহর পথে নিহত হয়, তাদেরকে মৃত বলোনা প্রকৃত পক্ষে তারা জীবিত, কিন্তু তাদের জীবন সম্পর্কে তোমরা অনুভব করতে পারনা। (২ সূরা: বাক্বারা, আয়াত: ১৫৪)
শহীদদের শাহাদাতের নাযরানার বদৌলতে আল্লাহ তা’আলা তাঁদেরকে অনন্য অসাধারণ পুরস্কারে ভূষিত করবেন। তাঁরা পার্থিব জীবনের সুখ শান্তি প্রশান্তি ও প্রতিষ্ঠার কথা ভূলে গিয়ে দ্বীনের আলোকে প্রজ্বলিত রাখার জন্য নিজের জীবনের আলোকে নির্বাপিত করে প্রকৃত পক্ষে তারা এক পবিত্র জীবন লাভে ধন্য হয়ে অমরত্ব লাভ করেছেন। মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে তাদের জন্য সুখ শান্তি আনন্দ ও কল্যাণের সুসংবাদ রয়েছে। আল্লাহ তা’আলা এরশাদ করেছেন, “আর যারা আল্লাহর পথে নিহত হয়েছে তাদেরকে মৃত বলে ধারণাও করোনা, বরং তারা জীবিত এবং আল্লাহর পক্ষ থেকে রিযক প্রাপ্ত। (৩. সূরা: আলে ইমরান, আয়াত: ১৬৯)
হাদীস শরীফের আলোকে শহীদের মর্যাদা: পরকালে শহীদের জন্য রয়েছে বিশেষ মর্যাদা। যারা আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য শাহাদাতের সুধা পান করেছে সত্যকে প্রতিষ্ঠার দৃঢ় প্রত্যয়ে প্রাণ বিসর্জন দিয়েছে পরকালে তাদের জন্য রয়েছে অনন্য সম্মান। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন, “হযরত মিকদাম ইবন মা’দীকারিব রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন, আল্লাহর নিকট শহীদের ছয়টি মর্যাদা রয়েছে, ১. তাঁর প্রথম রক্তবিন্দু (জমীনে) পড়ার সাথে সাথে তাঁকে ক্ষমা করা হয়। ২. তাঁকে জান্নাতের বাসস্থান দেখানো হয়। ৩. কবরের শাস্তি থেকে তাঁকে পরিত্রাণ দেয়া হয়। ৪. কিয়ামতের কঠিন ভায়াবহতা থেকে সে নিরাপদ থাকবে। ও তাঁর মাথায় মর্মর পাথর খচিত মর্যাদার টুপি পরিধান করানো হবে। এর এক একটি পাথর দুনিয়া ও তার মধ্যকার সবকিছু হতে উত্তম। ৫. তাঁর সাথে দৃষ্টি নন্দন বাহাত্তর জন জান্নাতী হুরকে বিয়ে দেয়া হবে। ৬. তাঁর সত্তরজন নিকটাত্নীয়ের জন্য তাঁর সুপারিশ কবুল করা হবে। [তিরমিযী, হাদীস:১৬৬৩, সুনান ইব্ন মাযাহ, হাদীস: ২৭৯৯, সহীহুল বিহারী, খন্ড:০৭, পৃ: ৫০৬ সংকলন: আল্লামা শাহ মুহাম্মদ যুফরুদ্দীন বিহারী (র.)]
শহীদের রক্তমাখা কাপড়সহ দাফন করতে হবে: শহীদের রক্তমাখা কাপড় সহ তাঁকে দাফন করতে হবে। শহীদের জন্য শরয়ী বিধান হলো তাঁকে গোসল দিবেনা। তাঁর শরীর থেকে রক্ত মুছে ফেলা যাবেনা। রক্তসহ তাঁর জানাযা পড়িয়ে দাফন করা হবে। শহীদের দেহে যদি কাফনের উপযোগী কাপড় না থাকে যেমন চামড়া জাতীয় কাপড় হলে তা খুলে নিতে হবে। এ ছাড়াও টুপি, জুতা, অন্ত্র সস্ত্র ইত্যাদি জিহাদের সরঞ্জাম খুলে ফেলতে হবে।
জান্নাতে প্রবেশের পর শহীদদের দুনিয়াতে ফিরে আসা কামনা: আল্লাহর অনুগ্রহ ভাজন প্রিয় বান্দারা চিরস্থায়ী সুখময় জান্নাতের প্রবেশের পর কেউ দুনিয়াতে ফিরে আসার আকাঙ্ক্ষা করবেনা। একমাত্র শহীদগণ এর ব্যাতিক্রম শাহাদাতের অমৃত সুধা এমন তৃপ্তি দায়ক শাহাদাতের সুধাপানে তারা বারবার পৃথিবীতে আসার আকাঙ্ক্ষা ও আগ্রহ প্রকাশ করবে। হাদীস শরীফে এরশাদ হয়েছে, “হযরত আনাস ইবনে মালেক রাদ্বিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু থেকে বর্ণিত, নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন, জান্নাতে প্রবেশের পর একমাত্র শহীদ ছাড়া আর কেউ দুনিয়াতে ফিরে আসতে চাইবেনা। অথচ তার জন্য দুনিয়ার সবকিছুই (জান্নাতে) থাকবে। সে ফিরে এসে দশবার শহীদ হবার আকাঙ্ক্ষা করবে। কেননা বাস্তবে সে শহীদের মর্যাদা সেখানে জান্নাতে দেখতে পাবে। (সহীহ বুখারী, হাদীস: ২৮১৭)
শহীদগণ মৃত্যু যন্ত্রণার কষ্ট থেকে নিরাপদ থাকবে: মৃত্যু বড়ো কষ্টের, বড় যন্ত্রনার, কিন্তু শাহাদাতের মৃত্যু ব্যাতীক্রম। শহীদী মৃত্যু সাধারণ মৃত্যুর ন্যায় কষ্টের নয়। এ প্রসঙ্গে হাদীস শরীফে এরশাদ হয়েছে, হযরত কাতাদা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন, শহীদ ব্যক্তি নিহত হওয়ার সময় কোন কষ্ট অনুভব করে না। কেবল এতটুকু যে তোমাদের কাউকে পিপড়ায় দংশন করলে যতটুকু ব্যথা অনুভব করে। (ইমাম তাবরানী, মু’জামুল আওসাত, হাদীস: ২৮০)
শাহাদাতের প্রকারভেদ: শহীদ দু’প্রকার ১. শহীদে হাকিকী, ২. শহীদে হুকমী। শহীদে হাকিকী ঐ শহীদ যিনি কাফিরদের সাথে যুদ্ধে অন্যায়ভাবে নিহত হয়েছেন। এমন ব্যক্তির উপর শহীদের বিধান কার্যকর হবে। এ প্রকার শহীদকে গোসল দিবেনা তাঁকে রক্তমাখা কাপড়সহ জানাযা দিবে এবং দাফন করবে। শহীদে হুকমী হলো, এমন শহীদ যিনি অত্যাচারিত হয়ে নিহত হননি। কিন্তু কিয়ামতের দিন আল্লাহ তা’আলা তাকে শহীদগণের সাথে উঠাবেন। যেমন হাদীস শরীফে এরশাদ হয়েছে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি প্লেগ রোগে মারা যায় সে শহীদ, যে ব্যক্তি উদরাময়ে মারা যায় সে শহীদ। (মুসলিম শরীফ, হাদীস: ১৫২১)। যে ব্যক্তি নদীতে ডুবে মরেছে সে শহীদ, যে স্ত্রীলোক সন্তান প্রসবের সময় মারা যায় সে শহীদ। (সুনান নাসাঈ, হাদীস: ৩১৬১)। কোন কিছু চাপা পড়ে মারা গেলে সে শহীদ। (বুখারী শরীফ, হাদীস: ৬৫৩)। এ ছাড়াও ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ুতী (র.) আরো কয়েক প্রকার শহীদের কথা উল্লেখ করেছেন। নিম্নে আংশিক উল্লেখ করা হলো:
১. অর্ধাংগ রোগে মৃত্যু হলে, ২.বাহনের উপর থেকে পড়ে নিহত হলে, ৩. জরাক্রান্ত হয়ে মারা গেলে, ৪. জান অথবা মাল অথবা সন্তান সন্তুতি, পরিবার বা কারো হক রক্ষা করতে গিয়ে নিহত হলে, ৫. চরিত্র নিষ্কলুষ অবস্থায় গভীর ভালোবাসার কারণে মৃত্যু বরণ করলে, ৬. কোন পশু পাখী বা প্রাণী ফেটে ছিড়ে ভক্ষণ করলে, ৭. অন্যায়ভাবে কোন শাসক কর্তৃক বন্দী অবস্থায় মারা গেলে বা মারা হলে, ৮. কোন হিংস্র প্রাণীর আঘাতের দরুণ মৃত্যু হলে, ৯. ইলমেদ্বীন শিক্ষারত অবস্থায় মারা গেলে, ১০. সওয়াবের উদ্দ্যেশে আজান প্রদানকারী মুয়াজ্জিন আজানরত অবস্থায় মৃত্যুবরণ করলে, ১১. ব্যবসায়ী পথিমধ্যে ডাকাত কর্তৃক আক্রান্ত হয়ে মারা গেলে, ১২. অজু সহকারে নিদ্রাগেলে এবং নিদ্রাবস্থায় মারা গেলে, ১৩. জুমার দিনে যে মৃত্যু বরণ করে, উপরোক্ত শহীদদের ক্ষেত্রে ফিকহী বিধানমতে তাদেরকে গোসল দিয়ে কাফন পরাতে হবে। তবে এরা শহীদের সওয়াব পাবে। (বাহারে শরীয়ত, ৪র্থ খন্ড, পৃ: ২২৬–২২৮)
শরয়ী মাসয়ালা: নিদ্রার কারণে অযু ভঙ্গ হয়। মারা যাওয়ার পর গোসল দেয়া ফরজ। নিদ্রা হতে জাগ্রত হয়ে অযু ব্যাতিরেকে নামায পড়া জায়েজ নেই, মৃতু ব্যক্তিকেও গোসল ব্যাতীত দাফন করা জায়েজ নেই। কিন্তু নবী গণের বৈশিষ্ট্য হলো নবীদের নিদ্রায় অযু ভঙ্গ হয় না। এবং শহীদের মৃত্যু গোসল অপরিহার্য করে না। নবীগণ নিদ্রার পর অযু ব্যাতিরেকেই নামায আদায় করতে পারে। শহীদকেও গোসল এবং কাফন ব্যাতিরেকে রক্তমাখা কাপড়েই দাফন করতে হয়।
শহীদগণ রক্ত দিয়ে তাওহীদের সাক্ষী দেয়: মুসলমানগণ দুভাবে সাক্ষী দেয় প্রথম প্রকার “শাহাদাতে কাউলী” তথা কথার সাক্ষী যেমন কলেমা পাঠের মাধ্যমে তাওহীদের সাক্ষী দিয়ে থাকে। দ্বিতীয় প্রকার “শাহাদাতে ফেলী” কর্মের সাক্ষী যেমন মুসলমানগন নামায রোজা হজ্ব যাকাত ইত্যাদি কর্ম সম্পাদনের মাধ্যমে আল্লাহর একত্ববাদ তথা তাওহীদের সাক্ষীদেয়। আর শহীদগন নিজের শরীরের রক্ত দ্বারা তাওহীদের সাক্ষ্য দেয়, এ জন্যই তাঁদের সাক্ষ্য অন্যসব ধরনের সাক্ষী হতে উত্তম। এ কারনেই শহীদকে রক্তসহ দাফন করতে হয়। আল্লাহ তা’আলা আমাদেরকে শহীদদের মর্যাদা অনুধাবন করা ও তাঁদের আদর্শ অনুসরণ করার তাওফিক দান করুন। আমীন।
লেখক : অধ্যক্ষ, মাদরাসা–এ তৈয়্যবিয়া ইসলামিয়া সুন্নিয়া ফাযিল (ডিগ্রী), বন্দর, চট্টগ্রাম। খতীব, কদম মোবারক শাহী জামে মসজিদ।
মুহাম্মদ আনোয়ারুল ইসলাম
২নং গেইট, ষোলশহর, চট্টগ্রাম।
প্রশ্ন: আদম আলাইহিস সালাম সম্পর্কে সংক্ষেপে জানালে কৃতার্থ হব।
উত্তর: আল্লাহর নবী হযরত আদম (আ.) বিশ্বমানব জাতির আদি পিতা। আল্লাহ তাঁকে মাটি থেকে সৃষ্টি করেন। সর্বোত্তম আকৃতি দান করেন। আল্লাহ তা’আলা আদম (আ.)’র সামনে সিজদাবনত হওয়ার জন্য ফেরেস্তাদের নির্দেশ দেন, এটা ছিল অন্যান্য সৃষ্টির উপর মানব জাতির শ্রেষ্ঠত্বের নিদর্শন। আদম (আ.) জান্নাতে একাকী ছিলেন, তাঁর স্ত্রী হিসেবে হাওয়া (আ.) কে সৃষ্টি করেন, তিনি আমাদের আদি মাতা। আদম (আ.) কে আল্লাহ বললেন, “এবং আমি বললাম হে আদম! তুমিও তোমার সঙ্গিনী জান্নাতে বসবাস কর।” (সূরা: বাকারা, ২.৩৫)
আদম শব্দটি উদমাতুন থেকে নির্গত, আল্লামা জালালুদ্দীন সুয়ুতী বর্ণনা করেন, এর অর্থ বাদামী রং বিশিষ্ট। কারো মতে শব্দটি হিব্রু, অর্থ মানব জাতির পিতা, সাড়ে তিনশ বছর পর আদম (আ.) ও হাওয়া (আ.) এর মিলন হয় মক্কা কুমাররমার আরাফাতের ময়দানে। আদম (আ.)’র ওরশজাত সন্তানের সংখ্যা ২৩৯ জন, আদম (আ.)’র প্রথম পুত্রের নাম কাবিল, প্রথম কন্যার নাম আকলিমা, আদম (আ.)’র উচ্চতা ছিল ৬০ হাত প্রস্ত ৭ হাত, সপ্তাহের সর্বোত্তম জুমাবার দিনে আদম (আ.) কে সৃষ্টি করা হয়। এ দিনেই তিনি বেহেস্ত থেকে জমীনে আসেন। (তাফসীর ইবনে কাসীর ১ম খন্ড, পৃ: ১২৭)
তিনি নয়শত চল্লিশ বছর হায়াত লাভ করেন। (হায়াতুল হায়ওয়ান, পৃ: ৪২৬)
ওফাতের সময় তাঁর সন্তান সন্ততির সংখ্যা ছিল, চল্লিশ হাজার। (তাফসীরে ইবনে কাসীর, ১ম খন্ড, পৃ: ৯৬)