প্রিয় মুসলিম ভাইয়েরা,
আল্লাহ তা’আলাকে ভয় করুন, পৃথিবীতে সুবিচার প্রতিষ্ঠায় আল্লাহর নির্দেশিত বিধান ও রাসূলূল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম’র অনুসরনীয় আদর্শ মেনে চলুন, ইসলামী বিচার ব্যবস্থার বিধি–বিধান ও কর্মপন্থা ব্যক্তি সমাজ ও রাষ্ট্রীয় জীবনে বাস্তবায়ন করুন।
আল কুরআনের আলোকে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার গুরুত্ব: ইসলামি বিচার ব্যবস্থা সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় সুষ্ঠু স্বাধীন নিরপেক্ষ বিচার ব্যবস্থা ইসলামই বিশ্ববাসীকে উপহার দিয়েছে। কুরআন, হাদীস, ইজমা কিয়াস ও ইজতিহাদ ইসলামী বিচার ব্যবস্থার মূলভিত্তি। রাসূলূল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামা’র জীবদ্দশায় ও খোলাফায়ে রাশেদীনের শাসনামলে প্রতিষ্ঠিত ও বাস্তবায়িত ইসলামের বিচার ব্যবস্থা ও আইনের শাসন পৃথিবীর মুক্তিকামী ও শান্তিকামী মানুষের জন্য অনুসরনীয় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।
ইসলামের দৃষ্টিতে বিচার ব্যবস্থার সকল কার্যক্রম কুরআন হাদীসের আলোকে পরিচালিত ও নিয়ন্ত্রিত হবে। আল্লাহ তা’আলা পবিত্র কুরআনে এরশাদ করেছেন, ‘হে মু’মিনগণ, তোমরা ন্যায় বিচারে দৃঢ় প্রতিষ্ঠিত থাকবে, আল্লাহর সাক্ষীস্বরুপ যদিও বা তোমাদের নিজেদের অথবা পিতামাতা এবং আত্মীয় স্বজনের বিরুদ্ধে হয় সে বিত্তবান হোক বা বিত্তহীন হোক আল্লাহ উভয়েরই ঘনিষ্ঠতর। সুতরাং তোমরা ন্যায় বিচার করতে প্রবৃত্তির অনুগামী হয়োনা। যদি তোমরা প্যাঁচানো কথা বলো কিংবা পাশকেটে যাও, তবে তোমরা যা কর আল্লাহ সে বিষয়ে সম্যক অবহিত। (সূরা: নিসা: ৪ : ১৩৫), আল্লাহ তা’আলা আরো এরশাদ করেছেন, ‘তোমরা যখন মানুষের মাঝে বিচার কার্য মীমাংসা করবে তখন ন্যায় সঙ্গতভাবে করবে। (সূরা: নিসা: ৫৮)
বিচার কার্য পরিচালনায় আল্লাহর বিধানকে সমুন্নত রাখতে হবে। সত্য গ্রহণ, সত্য প্রতিষ্ঠা , সত্যের বিজয়ের জন্য ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তা’আলা এরশাদ করেছেন, ‘আল্লাহ কর্তৃক অবতীর্ণ বিধান মোতাবেক জনগণের বিষয়ের ফায়সালা কর এবং যে সত্য তোমাদের কাছে এসেছে সে সৎপথ ছেড়ে মানুষের কামনা–বাসনার আনুগত্য করো না। (সূরা মায়েদা–৪৮)
ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা ছাড়া দুষ্টের দমন ও শিষ্টের পালন সম্ভব নয়: সুবিচার প্রতিষ্ঠা ছাড়া ব্যাক্তি সমাজ ও রাষ্ট্রের সর্বস্তরে মানুষের কল্যাণ নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। ইবনুল কাইয়্যিম রঃ বলেন, যেখানে সুবিচার নেই অবিচার আছে , দয়া মমতা নেই, কঠোরতা আছে , কল্যাণ নেই অকল্যাণ আছে , প্রজ্ঞা নেই নির্বুদ্ধিতা বা বোকামি আছে, তার সাথে শরীয়ার কোন সম্পর্ক নেই। (ইবনুল কাইয়্যিম, ইলামুল মুত্তয়াক্কিঈন খন্ড.৩ পৃ. ৫)
সুবিচারের আরবি প্রতিশব্দ ‘আদল’ এর অর্থ ন্যায় বিচার করা বা সমান করা, অর্থাৎ কোন বস্তুর সামান্য পরিমানও কম বেশি না করে যার যতটুকু প্রাপ্য তা যথাযথ আদায়ের সুব্যবস্থার নাম আদল বা ন্যায় পরায়নতা। দু’জনের মাঝে সমতা ও ভারসাম্য বজায় রাখা। কোন প্রকার বৈষম্য সৃষ্টি না করা, কাউকে তার ন্যায্য পাওনা হতে বঞ্চিত না করা, পারিবারিক, সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে মানবতা বিরোধী বৈষম্যমূলক আচরণ না করা। কোন প্রকার সীমালঙ্ঘন না করার নাম হলো আদল। ইসলামে ন্যায় বিচারের আবেদন সর্বজনীন এর পরিধি ব্যাপক ও বিস্তৃত।
শাসক হিসেবে, প্রজা হিসেবে, নাগরিক হিসেবে, প্রশাসনিক কর্মকর্তা হিসেবে পরিবারের কর্তাব্যক্তি হিসেবে, স্বামী হিসেবে, স্ত্রী হিসেবে, শিক্ষক হিসেবে, জন প্রতিনিধি হিসেবে জীবনের সকল দিক ও বিভাগে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য।
ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় বিচারকের ভূমিকা: বিচারকের দায়িত্ব হলো জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে কারো পক্ষপাতিত্ব না করা, দূর্বল সবল বিবেচনা না করা, স্বজনপ্রীতি না করা, কোনো অপশক্তির প্রভাবে প্রভাবিত না হওয়া, রাসূলূল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বিচার ব্যবস্থায় পক্ষপাতহীন নিরপেক্ষ বিচার ব্যবস্থার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত খুজে পাওয়া যায়। হাদীস শরীফে এরশাদ হয়েছে, ‘হযরত আয়িশা সিদ্দিকা রাদিআল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত আছে একদা কুরাইশরা মাখজুমী গোত্রের এক মহিলার জন্য চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়লো, মহিলা চুরি করেছিল, গোত্রের লোকেরা বলল, মহিলাটির ক্ষমার জন্য আল্লাহর রাসূলের কাছে কে সুপারিশ করবে? তারা একে অপরকে বলল রাসূলের প্রিয় পাত্র উসামা বিন যায়েদ ছাড়া আর কেউ সাহস করতে পারে না। এবার উসামা (রা.) রাসূলুল্লাহর নিকট মহিলাকে ক্ষমা করার জন্য সুপারিশ করল, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আল্লাহর বিধানের ব্যাপারে সুপারিশ করছ? অত:পর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম দাঁড়ালেন এবং সকলের উদ্দ্যেশে বললেন, তোমাদের পূর্ববর্তী লোকেরা এ কারনেই ধ্বংস হয়ে গেছে। যখন তাদের কোন সম্ভ্রান্ত লোক চুরি করত, তখন তারা তাকে রেহাই দিয়ে দিত, আর যখন কোন দূর্বল লোক চুরি করত, তখন তারা তার উপর শাস্তি প্রয়োগ করত, আল্লাহর শপথ: যদি মুহাম্মদের কন্যা ফাতিমাও চুরি করে বসত অবশ্যই আমি তার হাত কেটে দিতাম (বুখারী, হাদীস. ৩৪৭৫)
বিচারক তিন প্রকার
ইসলামী বিধানে বিচারকের জন্য রয়েছে সুস্পষ্ট নীতিমালা, তাঁকে হতে হবে অনেক গুণাবলীর অধিকারী। তাঁর জন্য অনেক শর্তাবলী বিদ্যমান থাকা অপরিহার্য। তাঁকে হতে হবে বিশ্বস্ত, ন্যায়বান, আমানতদার, বিচক্ষন, দূরদর্শী, সাহসী, নির্লোভ, বাদী–বিবাদীর মূল বক্তব্য তাঁকে গভীর মনোনিবেশ সহকারে শ্রবণ করতে হবে। হাদীস শরীফে বিচারক প্রসঙ্গে এরশাদ হয়েছে– হযরত বুরায়দা রাদিআল্লাহু তা’আলা আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন বিচারক তিন শ্রেণির, এক শ্রেণির বিচারক জান্নাতী, আর দুই শ্রেণির বিচারক জাহান্নামী। সেই বিচারক জান্নাতী হবে যিনি প্রকৃত সত্যকে জানতে পেরেছে অত:পর তদানুযায়ী বিচার ফায়সালা করেছে। আর যে ব্যক্তি প্রকৃত সত্যকে জানতে পেরেও ফায়সালা করার ব্যাপারে অবিচার ও জুলুম করেছে সে জাহান্নামী হবে।আর যে ব্যক্তি না জেনে অজ্ঞতা সত্ত্বেও জনগণের বিচার ফায়সালা করে সেও জাহান্নামী। (আবু দাউদ, হাদীস–৩৫৭৩)
বিচারক বাদী–বিবাদীকে সম্মুখে বসাবেন
বিচারক বাদী–বিবাদী কোন পক্ষের সাথে পক্ষপাত মূলক আচরণ করবেন না। বাদী–বিবাদীকে নিজের ডানে কিংবা বামে বসাবেন না। উভয়কে সম্মুখে বসাবেন। হাদীস শরীফে এরশাদ হয়েছে– হযরত আবদুল্লাহ ইবন যুবায়র রাদিআল্লাহ আনহু থেকে বর্ণিত ,তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নির্দেশ দিয়েছেন। বিচারের সময় বিবদমান উভয়পক্ষ বিচারকের সম্মুখেই বসবেন। (মুসনাদে আহমদ)
বিবাদীর উপস্থিতি বা তার নিয়োগকৃত প্রতিনিধির উপস্থিতি শতর্, যে বিষয়ে মামলা মোকদ্দমা দায়ের করা হয়েছে আইনের শাষন প্রতিষ্ঠা ও সুবিচার নিশ্চিত করার জন্য বিবাদীকে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অবহিত করা অপরিহার্য। বিবাদীকে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অবহিত করা অপরিহার্য। বিবাদীর উপস্থিতি বা তার নিয়োগকৃত প্রতিনিধির অনুপস্থিতিতে রায় প্রদান করা শরীয়ত সম্মত নয়। হাদীস শরীফে এরশাদ হয়েছে হযরত আলী রাদি আল্লাহ আনহু থেকে বর্ণিত, ‘‘এবং প্রতিপক্ষের বক্তব্য না শোনা পর্যন্ত প্রথম ব্যক্তির আরজীর ভিত্তিতে রায় প্রদান করো না। তবে বিবাদী আত্মগোপন করলে বা প্রশাসনের দায়িত্ববান ব্যক্তিদের সহায়তায় তাকে অনুসন্ধানের পরও খুঁজে বের করা সম্ভব না হলে মামলার বিবরণ ও সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে পলাতক বা আত্মগোপনকারী ব্যক্তি দোষী সাব্যস্ত হলে তার অনুপস্থিতিতে রায় প্রদান করা যাবে”।
ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য দায়িত্বশীলদের সক্রিয় ভূমিকা রাখতে হবে
একটি আদর্শ সুন্দর ও শোষণমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠা একার পক্ষে সম্ভব নয়। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় অপরাধমুক্ত শোষনমুক্ত দূনীর্তিমুক্ত সমাজ ও রাষ্ট্র ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা সম্ভব। ইসলামে এ পর্যায়ে অবহেলা উদাসীনতার জন্য দায়ী ব্যক্তির পক্ষে শাস্তি অপরিহার্য করেছে। হাদীস শরীফে এরশাদ হয়েছে, হযরত আকাল ইবনে ইয়াসার রাদিআল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি মুসলমানদের কোনো বিষয়ের দায়িত্বশীল হলো কিন্তু পরে তাদের কল্যান কামনা ও সেবার জন্য এতটুকু চেষ্টাও করলনা, যা সে নিজের জন্য করে থাকে আল্লাহ তাকে উপুড় করে জাহান্নামে নিক্ষেপ করবেন। (মু’জামুস সগীর, তাবরানী , হাদীস,১ ৪৬৫) ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার স্বার্থে জালিম শাসকের বিরুদ্ধে স্বৈরাচারী শাষক গোষ্ঠীর রাষ্ট্রযন্ত্র আইনের শাসন সুবিচার ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার অন্তরায়। অন্যায় জুলুম নির্যাতন, নিপীড়ন, রাষ্ট্রীয় সম্পদ, আত্মসাৎ, দুনীর্তি, স্বজনপ্রীতি, চুরি ডাকাতি অনৈতিক কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে দেশ প্রেমিক জনগণকে সোচ্চার ও সচেতন হতে হবে। সকল প্রকার অন্যায়ের প্রতিবাদে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে। হাদীস শরীফে এরশাদ হয়েছে, হযরত উম্মে সালমা রাদিআল্লাহু আনহা হতে বর্ণিত, নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন, এমন সময় আসবে যখন তোমাদের উপর এমন শাসক চাপানো হবে যারা ভালো কাজও করবে মন্দ কাজও করবে। সুতরাং যে মন্দ কাজের প্রতিবাদ করবে সে নিষ্কৃতি পাবে, আর যে মনে মনে তাকে খারাপ জানবে এবং অন্তরে তার প্রতিবাদ করবে সেও নিরাপদ হবে। কিন্তু যে যে ব্যক্তি উক্ত অন্যায় কাজকে পছন্দ করবে এবং তার অনুসরন করবে সে অন্যায় কাজের অংশীদার হবে। সাহাবায়ে কেরাম আরজ করলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ আমরা কি সে শাসকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করব না? রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন যখন পর্যন্ত তারা সালাত আদায় করতে থাকবে তখন পর্যন্ত তোমরা তা করবে না। আরো এরশাদ হয়েছে– হযরত আনাস রাদিআল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূললুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি মুসলমানদের কোনো বিষয়ের দায়িত্বশীল হলো, অতঃপর তাতে বিশ্বাসঘাতকতা করল সে জাহান্নামে যাবে। (তাবরানী, আল মু’জামুস সগীর, হাদীস: ৩৪৮১)
রাষ্ট্রে সুবিচার থাকলে জনগণ শান্তি পাবে
একটি আদর্শ কল্যাণ রাষ্ট্রে আইনের শাসন সুবিচার সুখ, শান্তি জীবনের নিরাপত্তা, অন্ন বস্ত্র খাদ্য চিকিৎসা জীবন উপকরণের গ্যারান্টিই জনগণের কাম্য। জনগণের শান্তিপূর্ণ জীবন ব্যবস্থা নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। জনগণ অধিকার বঞ্চিত না হলে রাষ্ট্রের দায়িত্বশীল ব্যক্তিবর্গ শান্তিতে থাকতে পারে, অন্যথায় শাসক বর্গকে তাদের কর্মের করুণ পরিণতি ভোগ করতে হয়। হাদীস শরীফে এরশাদ হয়েছে, হযরত আয়েশা (রা.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে শুনেছি তিনি গৃহে অবস্থান কালে বলতেন হে আল্লাহ, যে আমার উম্মতের রাষ্ট্রীয় কাজের দায়িত্বশীল হবে সে যদি লোকদেরকে ভয়ানক অশান্তি ও দুঃখ কষ্টে নিক্ষেপ করে তবে তুমি তার জীবনকে সংকীর্ণ ও কষ্টপূর্ণ করে দাও, আর যে ব্যক্তি আমার উম্মতের সামগ্রিক কাজ কর্মের দায়িত্বশীল হবে এবং সে যদি লোকদের প্রতি ভালোবাসা ও অনুগ্রহ প্রদর্শন করে তবে তুমিও তার প্রতি অনুগ্রহ কর। (সহীহ মুসলিম, হাদীস: ১৮২৮) হে আল্লাহ আমাদের সমাজে ও রাষ্ট্রে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার তাওফিক দান করুন। আমিন।
লেখক : অধ্যক্ষ, মাদরাসা–এ তৈয়্যবিয়া ইসলামিয়া সুন্নিয়া ফাযিল (ডিগ্রী), বন্দর, চট্টগ্রাম, খতীব, কদম মোবারক শাহী জামে মসজিদ।