ইসলামে জীবনের মূল্য অনেক বেশি
সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর তা’আলার জন্য, যিনি পবিত্র ও মহিমান্বিত জীবনের অধিকারী মানব জাতিকে আশরাফুল মাখলুকাত তথা সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জাতি হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। মানব জীবনকে নিরাপদ রাখার জন্য কুরআন সুন্নাহর সুস্পষ্ট নির্দেশনা দিয়েছেন। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি, আল্লাহ ছাড়া কোনো মাবুদ নেই, তিনি একক ও অদ্বিতীয়, তাঁর কোনো অংশীদার নেই। আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আমাদের অভিভাবক মহান নবী, বিশ্ব মানবতার কান্ডারী, মুক্তির দিশারী, বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠার অগ্রদূত কল্যাণের মূর্ত প্রতীক সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ আদর্শ হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর প্রিয় বান্দা ও প্রিয় রাসূল। তাঁর উপর দরুদ সালাম বর্ষিত হোক। তাঁর পদাঙ্ক অনুসারী পবিত্র বংশধরগন, সম্মানিত সাহাবাগন ও সত্যান্বেষী মু’মিন নরনারীদের প্রতি অসংখ্য করুণাধারা বর্ষিত হোক।
সম্মানিত মুসলিম ভাইয়েরা!
আল্লাহ তা’আলাকে ভয় করুন। তাঁর প্রিয় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম’র জীবন দর্শন পবিত্র ইসলামকে মনে প্রাণে গ্রহণ করুন। জেনে রাখুন, ইসলাম মানবতার ধর্ম শান্তির ধর্ম সম্প্রীতির ধর্ম। ইসলামী জীবন বিধানে মানুষের জীবনের মূল্য অনেক বেশি। জীবনের সংরক্ষণ রক্ষণাবেক্ষণ ও নিরাপত্তা রক্ষায় পবিত্র কুরআন ও সুন্নাহ সুস্পষ্ট নির্দেশনা দিয়েছে। জীবনের জন্য ক্ষতিকর সবকিছু থেকে জীবনকে রক্ষা করা মানুষের দায়িত্ব। জীবন রক্ষার প্রথম দাবী হলো মানুষকে হত্যা না করা। মানুষের জীবনধারা সর্বপ্রকার ভয়ভীতি ক্ষয়ক্ষতি অরাজকতা নাশকতা নৈরাজ্য ও বিশৃঙ্খলা থেকে নিরাপদ হলে শান্তিপূর্ণ জীবন আশা করা যায়। এর ব্যত্যয় ঘটলে জীবনের সার্বিক নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয়।
পবিত্র কুরআনের আলোকে জীবনের মূল্য: ইসলামের দৃষ্টিতে জীবন মহান আল্লাহর এক বিস্ময়কর সৃষ্টি। দেহ ও আত্না দুটির সমন্বয়ে মানব জীবন। মানব জাতির কল্যাণের জন্যই মানুষের সৃষ্টি। মানুষের যতগুলো অধিকার রয়েছে তন্মধ্যে প্রথম অধিকার হলো বেঁচে থাকার অধিকার। এ কারনেই পৃথিবীর সব ধর্মেই মানুষের জীবনকে সবার উপরে স্থান দেয়া হয়েছে। ইসলামে মানব জীবনকে নিরাপদ রাখার জন্য মানব হত্যাকে নিষিদ্ধ ও জঘন্য অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। আল্লাহ তা’আলা এরশাদ করেছেন, যে কেউ প্রাণের বিনিময়ে প্রাণ অথবা পৃথিবীতে বিপর্যয় সৃষ্টি করা ছাড়া কাউকে হত্যা করে সে যেন পৃথিবীর সব মানুষকেই হত্যা করল। এবং যে কারো জীবন রক্ষা করে সে যেন সবার জীবন রক্ষা করল। (সূরা: আল মায়িদা: ৩২)
কোন মুসলিম মু’মিন অপর কোন মুসলিমকে হত্যা করতে পারেনা। পৃথিবীতে বসবাসকারী মানুষের পরস্পর কর্তব্য হলো কারো ক্ষতি না করা, নিজেও ক্ষতির সম্মুখীন না হওয়া, নিজেও বেঁচে থাকা অন্যকেও বাঁচতে দেয়া। প্রতিহিংসা পরায়ন হয়ে ঈর্ষান্বিত হয়ে মানব জীবনকে দুর্বিষহ করে তোলা মানুষকে তাঁর অধিকার থেকে বঞ্চিত করে মানবতার প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ করা অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সোচ্চার হলে তাঁর প্রতি বিমাতা সুলভ আচরণ করা। মানুষের জীবন জীবিকার সাথে সম্পর্কিত ন্যায্য অধিকারের কথা বললে নির্বিচারে মানুষকে হত্যা করা পবিত্র কুরআনে এর ভয়াবহ মারাত্মক পরিণতির কথা বিঘোষিত হয়েছে। আল্লাহ তা’আলা এরশাদ করেছেন, আর যে ইচ্ছাকৃত কোনো মুমিনকে হত্যা করবে তাঁর প্রতিদান হচ্ছে জাহান্নাম। সেখানে সে স্থায়ী হবে। আর আল্লাহ তার উপর ক্ষুব্ধ হবেন, তাকে লানত করবেন এবং তার জন্য মহা শাস্তি প্রস্তুত করে রাখবেন। (সূরা: নিসা, ৪:৯৩)
জীবন রক্ষার জন্য ইসলামে আত্মহত্যাকেও নিষিদ্ধ করা হয়েছে: ইচ্ছাকৃতভাবে হত্যার অপরাধীকে তার অপরাধের শাস্তি হিসেবে হত্যা করা যাকে ইসলামী আইনে কিসাস বলা হয়ে থাকে যা কার্যকর করার দায়িত্ব ইসলামী রাষ্ট্রের যথাযথ কর্তৃপক্ষ ছাড়া ঢালাওভাবে এ শাস্তি কার্যকর করার অনুমতি কাউকে দেয়া হয়নি। মানুষের জীবন রক্ষাকে ইসলাম এতো অধিক গুরুত্বারোপ করেছে অন্যায়ভাবে কাউকে হত্যা করা শুধু নিষিদ্ধ করা হয়নি বরং ইসলাম নিজের জীবন ধ্বংশ করার ও আত্নহত্যা করার অধিকার কাউকে দেয়নি। আত্নহত্যাকে ইসলাম কবীরাহ গুনাহর অন্তর্ভুক্ত জগন্যতম অপরাধ হিসেবে ঘোষণা করেছে। আল্লাহ তা’আলা এরশাদ করেছেন, তোমরা নিজেদের কে হত্যা করোনা। (সূরা: নিসা:৪:২৯)
ধ্বংশাত্নক কার্যকলাপের দিকে অগ্রসর না হওয়ার জন্য আল্লাহ তা’আলা কঠোরভাবে নিষেধ করেছেন। এরশাদ করেছে, নিজ হাতে নিজেদেরকে ধ্বংসে নিক্ষেপ করো না, আর সুকর্ম কর। নিশ্চয় আল্লাহ সুকর্মশীলদের ভালোবাসেন। (সূরা: বাক্বারা, ২: ১৯৫)
পৃথিবীর কোথাও আজ মুসলমানদের জীবন নিরাপদ নয়: পৃথিবীর দেশে দেশে মুসলমানরা আজ নির্যাতিত নিস্পেষিত, বিশ্বের প্রতিটি জনপদে মুসলমানদের জীবন আজ দূবিসহ অরক্ষিত। ইসলামের নবী মুহাম্মদ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জীবন দর্শনকে গ্রহণ করে যে জাতি গোটা বিশ্ব শাসন করেছে শুধু তাই নয় যে রাসূলের প্রতিষ্ঠিত মদীনা কেন্দ্রিক ইসলামী রাষ্ট্র তাঁর জীবদ্দশাতেই ৩০ লক্ষ বর্গ কিলোমিটারে সম্প্রসারিত হয়েছিল সেই নবীজির আদর্শ থেকে বিচ্যূতির কারণেই তারা আজ ইয়াহুদী খৃষ্টান কাফির মুশরিকদের আক্রমন আগ্রাসনের শিকার হয়ে সর্বত্র লাঞ্ছিত বঞ্চিত ও অবমাননাকর জীবন যাপন করছে। মুসলমানদের প্রথম কিবলা বায়তুল মুকাদ্দাসের পুণ্যভূমি হাজারো নবী রাসূল আলাহিমুস সালাম’র স্মৃতি বিজড়িত ফিলিস্তিন মুসলমানদের রক্তে রঞ্চিত। অভিশপ্ত ইসরাঈলীদের বর্বরোচিত হামলায় মুসলিম নারী শিশু ও পূরুষদের লাশের মিছিল দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে। বিশ্ব বিবেক নিরব নির্বিকার, জাতি সংঘের বিবৃতি সর্বস্ব প্রতিবাদ। আন্তর্জাতিক সংস্থা জাতিসংঘ মুসলমানদের স্বার্থরক্ষায় বিশ্বের মজলুম মুসলমানদের জীবন রক্ষায় যার কোনো কার্যকর ভূমিকা ও জোরালো পদক্ষেপ অদ্যাবধি মুসলমানদের নজরে পড়েনি। শুধু তা নয় ইরাক, আফগানিস্তান, চেচনিয়া, বসনিয়া, সিরিয়া, লেবানন, গুজরাট, কাশ্মীর, এমনকি আমাদের প্রাণপ্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশের কোথাও আজ শান্তি নেই, মানুষের জীবনের মূল্য নেই, নিরাপত্তা নেই, স্বাভাবিক মৃত্যুর কোনো গ্যারান্টি নেই। মানব জীবনের সুখ শান্তি স্বস্তি আজ সুদুর পরাহত।
হাদীস শরীফের আলোকে জীবন রক্ষার গুরুত্ব: সভ্যতার বিনির্মাণে সৃষ্টির কল্যাণে দেশ জাতি ও সমাজের বিকাশ ও উন্নয়নে মানব জীবনের অস্তিত্বের প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য। ইসলামের দৃষ্টিতে মানুষের জীবনই শ্রেষ্ট সম্পদ হিসেবে স্বীকৃত। পৃথিবীর সকল সম্পদের চেয়ে মানব সম্পদই শ্রেষ্ট সম্পদ। মানব জীবন সংরক্ষণ, তত্ত্বাবধান এর নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিতকরণ ইসলামের দাবী। কিয়ামত দিবসে মানুষের প্রতিটি কর্মের জবাবদিহি করতে হবে। মহান আল্লাহর আদালতে প্রতিটি কর্মের বিচার হবে। চুরি ডাকাতি অন্যায় অপরাধ পাপাচার ব্যাভীচার মিথ্যাচার, সুদ, ঘুষ, মদ, জুয়া, দূর্নীতি স্বজনপ্রীতি রাষ্ট্রীয় সম্পদ আত্নসাৎ শোষণ লুন্ঠন ইত্যাদি অপকর্ম ও অপরাধের বিচার হবে। এবং কঠিন শান্তি ভোগ করতে হবে। তবে সর্বাগ্রে মানব হত্যার বিচার সংগঠিত হবে। এবং ভয়াবহ পরিণতি জাহান্নামের কঠিন শাস্তি তাকে ভোগ করতে হবে। হাদীস শরীফে এরশাদ হয়েছে, হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মসউদ রাদ্বিয়াল্লাহু মানহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন, কিয়ামত দিবসে সর্বপ্রথম মানুষের হত্যার বিচার করা হবে। (সহীহ বুখারী, হাদীস: ৬৪৭১)
ন্যায় বিচার প্রাপ্তি নাগরিকের মৌলিক অধিকার: সমাজ ও রাষ্ট্রে শান্তি ও স্থিতিশীল পরিবেশ বজায় রাখতে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা অপরিহার্য। রাষ্ট্রের নাগরিক জনগন রাষ্ট্রীয় সুযোগ সুবিধার ক্ষেত্রে বৈষম্যের শিকার হলে সমাজ ও রাষ্ট্রে শান্তি শৃংখলা বিপন্ন ও বিনষ্ট হয়। মানুষের মাঝে মানবীয় মূল্যবোধের বিলুপ্তি ঘটে। দানবীয় আচরণের বহিঃপ্রকাশ ঘটে। এমতাবস্থায় জীবন ও সম্পদ কোনটাই নিরাপদ থাকেনা। এ কারণেই ইসলাম জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে রাষ্ট্রের সকল নাগরিকের প্রতি ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার উপর গুরুত্বারোপ করেছে। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তা’আলা এরশাদ করেছেন, আর যখন তোমরা মানুষদের মধ্যে বিচারকার্য ফায়সালা করবে তখন তোমরা ন্যায়পরায়ণতার সাথে ফায়সালা করবে। (সূরা: নিসা: ৫৮)
একটি জীবন হত্যা করা পৃথিবী ধ্বংস হওয়ার চেয়ে গুরুত্বর অপরাধ: মানুষের জীবন সংহার করা, তাকে হত্যা করা এবং জীবন ধ্বংশ করার চেয়ে বড় কোনো অপরাধ হতে পারেনা। ইসলাম মানব হত্যাকে অপূরণীয় ক্ষতি হিসেবে গণ্য করেছে। সম্পদের ক্ষয় ক্ষতি পূরণ করা সম্ভব। জীবন চলে গেলে তা ফিরে আনা কারো পক্ষে সম্ভব নয়। দেশ প্রেমিক প্রতিটি মানুষ দেশের সম্পদ। আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে দেশ প্রেমে উদ্ভুদ্ধ হয়ে রাষ্ট্রের কল্যাণধর্মী কর্মকান্ড সমর্থন করা নাগরিকের দায়িত্ব, পক্ষান্তরে জনগণের মত প্রকাশের স্বাধীনতা, দেশের সকল নাগরিকের শিক্ষা চিকিৎসা খাদ্য বাসস্থান ও মানুষের জীবন যাত্রার সকল মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করা, জনগণের জান মালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। অধিকার বঞ্চিত মানুষের কন্ঠরোধ করা, দমন পীড়ন চালানো জুলুম নির্যাতনের শামিল। যা ইসলাম কঠোর ভাবে নিষেধ করেছে। ইসলামের দৃষ্টিতে দেশের শাসক হবেন জনগণের সেবক। ব্যক্তি জীবন থেকে রাষ্ট্রীয় জীবন পর্যন্ত সকলে দায়িত্বশীল। এ দায়িত্ব পালনে জনগণের মতামত সুধীজন বুদ্ধিজীবি জ্ঞানীগুনী প্রাজ্ঞজনদের সুপরামর্শ মূল্যায়ন করা হলে দেশ উপকৃত ও উন্নত হয়। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লল্লাম এরশাদ করেছেন, মনে রেখ, তোমরা সবাই দায়িত্বশীল ও তত্ত্বাবধায়ক, তোমরা সকলেই নিজ দায়িত্ব সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে। যিনি জনসাধারনের আমীর (রাষ্ট্র প্রধান, প্রশাসক, ব্যবস্থাপক) নিযুক্ত হয়েছেন তিনি একজন দায়িত্বশীল তিনি তার অধীনস্ত সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবেন। (সহীহ বুখারী, হাদীস: ৮৯৩)
মানুষের জীবন রক্ষায় রাষ্ট্রের ভূমিকা অতীব গুরুত্বপূর্ণ: ইসলাম একজন মানুষকে হত্যা করা সমগ্র পৃথিবী ধ্বংস করে দেয়ার চেয়ে জঘন্যতর অপরাধ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে। হাদীস শরীফে এসেছে, হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর রাদ্বিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু থেকে বর্ণিত, নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন, আল্লাহ তা’আলার নিকট কোন মুসলিম ব্যক্তি হত্যা হওয়ার চেয়ে গোটা দুনিয়া ধ্বংস হয়ে যাওয়া তুচ্ছতর। (তিরমিযী, হাদীস: ১৩৯৫)
ইসলাম যুদ্ধ ক্ষেত্রেও নারী শিশু ও বৃদ্ধদের হত্যা করা নিষেধ করেছে: ইসলামের শিক্ষা হলো যুদ্ধের ময়দানেও নির্দোষ ব্যক্তিদের অন্যায়ভাবে কোনো কারণ ছাড়া হত্যা করা যাবেনা। রাসূলুল্লাহু সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন, “অতিশয় দূর্বল বৃদ্ধ, শিশু কিশোর ও মহিলাকে হত্যা করবেনা এবং বাড়াবাড়ি করবেনা। (ফাতাহুলবারী, খন্ড:৮, পৃ: ১৮)
ইসলাম কেবল মুসলমানদের জীবন রক্ষার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেনি অমুসলিম পাদ্রীর জীবন রক্ষার প্রতিও বিশেষ গুরুত্বারোপ করেছে আমিরুল মু’মিনীন হযরত আবু বকর সিদ্দিক রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু খোতবা প্রদান কালে বলেন, সাবধান গীর্জার কোন পাদ্রীকে হত্যা করা যাবেনা। (ইবনে আবী শায়বা, আল মুসান্নাফ ৬/৪৮৩)
হাদীস শরীফে আরো এরশাদ হয়েছে কোন অসুস্থ ও কোন পাদ্রীকে হত্যা করবেনা। (কানযুল উম্মাল, হাদীস: ১১৪০৯)
আল্লাহ তা’আলা আমাদেরকে ইসলামী জীবন বিধান মেনে চলার তাওফিক দান করুন। আমীন।
লেখক : অধ্যক্ষ, মাদরাসা–এ তৈয়্যবিয়া ইসলামিয়া সুন্নিয়া ফাযিল (ডিগ্রি), বন্দর, চট্টগ্রাম; খতীব, কদম মোবারক শাহী জামে মসজিদ।