জুম্’আর খুতবা

অধ্যক্ষ মাওলানা মুহাম্মদ বদিউল আলম রিজভি | শুক্রবার , ২০ নভেম্বর, ২০২০ at ৮:১২ পূর্বাহ্ণ

ইসলামে তরীক্বত চর্চা
প্রিয় মুসলিম ভাইয়েরা! আল্লাহ তা’আলাকে ভয় করুন এবং সত্যবাদীদের সঙ্গ অবলম্বন করুন। (আল কুরআন, ৯:১১৯)
জেনে রাখুন, আল্লাহর প্রিয় বান্দাদের জীবন চরিত, বিশ্বমানব জাতির জন্য অনুসরণীয় ও অনুকরণীয়। ইহকালীন শান্তি ও পরকালীন মুক্তির জন্য আল্লাহর প্রিয় বান্দাদের পদাঙ্ক অনুসরণের কথা পবিত্র কুরআনের বহু স্থানে বিঘোষিত হয়েছে। এরশাদ হয়েছে, “যে ব্যক্তি আমার দিকে রুজু হয়েছে তার পথকে অনুসরণ করো।” (আল কুরআন, ৩১:১৫)
তরীক্বত অর্থ: তরীক্বত শব্দটি ত্বরুকুন থেকে গৃহীত। এর আভিধানিক অর্থ: পথ চলার নিয়ম কানুন, বিধি-বিধান, আইন-কানুন, নিয়মাবলী, পদ্ধতি, প্রণালী, নির্দেশনা, নির্দেশিকা, দিশা দেওয়া ইত্যাদি। ইলমে তাসউফের একটি পরিভাষা তরীক্বত। মারিফাতের পরিভাষায় চারটি মূলনীতির আলোকে খোদা প্রাপ্তির সাধনা করতে হয়।
১. শরীয়ত, ২. তরীক্বত, ৩. হাক্বীকত, ৪. মা’রিফাত। খোলাফায়ে রাশেদীনের পরবর্তী যুগে সূফীবাদের বিস্তার ঘটলে আউলিয়ায়ে কেরাম ও সূফী সাধকগণের মাধ্যমে ইসলামের প্রচার-প্রসারে বিভিন্ন তরীক্বার উদ্ভব ঘটে। হানাফী, শাফেঈ, মালেকী ও হাম্বলী মাযহাবগুলো যেমনি ইলমে শরীয়তকে পরিপূর্ণতা দান করেছে। তরীক্বতগুলোও তেমনি ইলমে মারিফাতকে পূর্ণাঙ্গতা দান করেছে। (ফক্বীর আবদুর রশীদ, সূফীতত্ব: ই.ফা,বা. পৃ: ২২১)
কুরআন মজীদে ত্বরীকতের নির্দেশনা : আল্লাহর নির্দেশিত প্রিয় নবীর প্রদর্শিত এবং সাহাবায়ে কেরামের অনুসৃত পথের যথার্থ অনুসরণের নাম তরীক্বত। যুগে যুগে আল্লাহর প্রিয় বান্দারা কুরআন সুন্নাহর আলোকে সৎপথের নির্দেশ দিয়ে মুক্তিকামী মানুষের পরিত্রাণের ব্যবস্থা করেছেন। তাঁরা অন্ধকার থেকে আলোর পথে পৌছার যে নিয়ম পদ্ধতি ও দিক নির্দেশনা দিয়ে গেছেন সেটাই তরীক্বত বা ত্বরীক্বাহ। তরীক্বতের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য। তরীক্বত অবলম্বনের অপরিহার্যতা প্রমাণে কুরআন সুন্নাহর নির্দেশনাই মূলভিত্তি। এ প্রসঙ্গে কয়েকটি কুরআনিক দলিল পেশ করা হলো। তরীক্বতের মূলনীতি প্রসঙ্গে সূরা ফাতিহায় এরশাদ হয়েছে, “(হে আল্লাহ) আমাদের কে সরল সঠিক পথে পরিচালিত করো, তাদেরই পথে যাদেরকে তুমি অনুগ্রহ করেছো।” (আল কোরআন, ১:৫)
উপর্যুক্ত আয়াতের তাফসীর বা বিশদ বর্ণনায় অন্য আয়াতে চার শ্রেণির নি’মাত প্রাপ্ত বান্দাদের পদাঙ্ক অনুসরণ করার শিক্ষা দিয়েছেন এরশাদ হয়েছে, “যারা আল্লাহ ও রাসূলের আনুগত্য করে তারা ও ওইসব লোকের সাথে থাকবে যাদের উপর আল্লাহ অনুগ্রহ করেছেন, নবীগণ, সত্যনিষ্ঠাগণ, শহীদগণ এবং সৎ কর্ম পরায়ন ব্যক্তিগণ।” ( আল কুরআন, ৪:৬৯)
তাফসীরে রুহুল বায়ানে উল্লেখ করা হয়েছে, “ওসীলা ব্যতীত আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করা যায় না। ওসীলা হচ্ছে হক্কানী ওলামায়ে কেরাম ও তরীকতপন্থী মাশায়েখ বা কামিল পীর মুর্শিদগণ। সত্যিকার তরীক্বত পন্থি দ্বীনের অনুসারী মুত্তাকী, পরহেজগার, বান্দারা হচ্ছেন হিদায়াত প্রাপ্ত। তরীক্বতের আদর্শ ও শিক্ষাচ্যূত বান্দা গোমরাহ বা পথভ্রষ্টতায় নিমজ্জিত। আল্লাহ তা’আলা এরশাদ করেন, “আল্লাহ পাক যাকে হিদায়াত করেন সে হিদায়ত পায় এবং যাকে পথভ্রষ্ট করেন তার জন্য কোন ওলী (কামিল) মুর্শিদ পাবেনা।
কামিল মুর্শীদের শরণাপন্ন হওয়া আবশ্যক : ঈমান আক্বিদার হিফাজতের জন্য মুজতাহিদ ইমামগণ কামিল পীর মুর্শিদের পদাঙ্ক অনুসরণকে অপরিহার্য মনে করেছেন। হুযুর গাউসুল আযম শায়খ আবদুল কাদির জিলানী রাহমাতুল্লাহি আলাইহি প্রণীত “সিররুল আসরার” কিতাবে উল্লেখ হয়েছে, “অন্তরাত্মাকে জিন্দা করার জন্য আহলে তালক্বীন তথা কামিল মুর্শীদের শরণাপন্ন হওয়া আবশ্যক। ইমাম আযম আবু হানিফা রাহমাতুল্লাহি আলাইহ বলেন, “আমি (আবু হানিফা) যদি আমার পীর মুর্শীদ ইমাম জাফর সাদিক্ব রাহমাতুল্লাহি আলাইহি এর নিকট বায়আত গ্রহণ পূর্বক তাঁর সান্নিধ্যে দু’বছর না থাকতাম, তবে আমি ধ্বংস হয়ে যেতাম।
তরীক্বত চর্চায় ইসলামী মনীষীদের অভিমত : হযরত ইমাম মালিক রাহমাতুল্লাহি আলাইহি প্রণীত মু’আত্তায় তরীক্বত অনুশীলন প্রসঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ অভিমত ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেন, “যে ব্যক্তি ইলমে ফিক্বহ তথা শরঈ জ্ঞান অর্জন করলো এবং তাসাওফ তথা তরীক্বতের জ্ঞান অর্জন করলোনা, সে ফাসিক হলো। যে ব্যক্তি ইলমে তাসউফ অর্জন করলো অথচ ইলমে ফিকহ অর্জন করলোনা সে যিন্দীক বা নাস্তিক হলো। আর যে ব্যক্তি উভয় প্রকার ইলম অর্জন করল সে প্রকৃত সত্যের সন্ধান লাভ করলো। (মোল্লা আলী ক্বারী, মিরকাতুল মাফাতীহ ১ম খন্ড, পৃ: ২৫৬)
হুজ্জাতুল ইসলাম ইমাম গাযযালী রাহমাতুল্লাহি আলাইহি প্রণীত “কীমীয়া-ই-সা আদাত” কিতাবে হযরত মুজাদ্দিদে আলফেসানী (র.) প্রণীত “মাকতুবাত শরীফে” সৈয়দুল আউলিয়া হযরত ইমাম আহমদ কবীর রেফাঈ (র.) প্রণীত “আল বুনিয়ানুল মুশাঈয়্যাদ” গ্রন্থে আ’লা হযরত ইমাম আহমদ রেযা বেরলভী (র.) প্রণীত “নাক্বাউস সুলাফাহ ফী আহকামিল বায়আত ওয়াল খিলাফাহ” (১৩১৯ হি:) গ্রন্থে ইলমে তরীত্বত অর্জন তথা হক্কানী পীর মুর্শীদের বায়আত গ্রহণ করাকে অপরিহার্য বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন। বিখ্যাত সূফী সাধক আল্লামা জালালুদ্দীন রুমী (র.) ও তাঁর পীর মুর্শিদ হযরত শামসুদ্দীন তাবরিযীর ঘটনা প্রণিধানযোগ্য “আমি মাওলানা রুম মাওলানা রুমী হতে পারতাম না, যদি না আমার পীর মুর্শিদ শামসে তাবরীযের সান্নিধ্যে না পেতাম। (মসনবী শরীফ) এ কারণে যত বড় জ্ঞানী হোক না কেন, শরঈ জ্ঞানের পাশাপাশি তরীক্বতের জ্ঞান না থাকলে পথভ্রষ্ট হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে।
কাদেরীয়া তরীক্বাহ : ক্বাদেরীয়া, চিশতীয়া, নক্বশবন্দিয়া ও মুজাদ্দেদীয়া এ প্রসিদ্ধ চার তরীক্বার মধ্যে কাদেরীয়াহ তরীক্বাহ হচ্ছে সবচেয়ে প্রাচীন তরীক্বাহ। হযরত শায়খ সৈয়্যদ আবদুল কাদের জিলানী (র.) এ তরীক্বার প্রতিষ্ঠাতা। তাঁর নামানুসারে এ তরীক্বাহ বিশ্বব্যাপী প্রসিদ্ধি লাভ করেছে। তিনি ৪৭০ মতান্তরে ৪৭১ হিজরির ১লা রমজান (২৯ শাবান দিবাগতরাত) মোতাবেক ১০৭৮ খ্রিস্টাব্দে শতসহস্র ওলীর স্মৃতি বিজড়িত পূণ্যভ্থমি জীলান শহরে জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি ৫৬১ হিজরি সনে ১১ রবিউস সানী সোমবার ৯১ বছর বয়সে পূণ্যভূমি বাগদাদে ইন্তিকাল করেন। (আল্লামা ইবনে কাসীর, আল বিদায়াহ ওয়ান নিহায়াহ, দ্বাদশ খন্ড, পৃ:১৪৯)
চিশতিয়া তরীক্বাহ : হযরত খাজা মুঈনুদ্দিন চিশতী (র.) হলেন চিশতিয়া তরীক্বার অন্যতম প্রধান প্রতিষ্ঠাতা। তিনি ৫৩৭ হিজরিতে ১১৪২ খ্রিস্টাব্দে সীস্তানে জন্মগ্রহণ করেন, ১১৯৩ খ্রিস্টাব্দে তিনি পাক-ভারতে আসেন। ৬৩৩ হিজরি মোতাবেক ১২৩৬ খ্রিস্টাব্দে আজমীরে ইন্তিকাল করেন। চিশতিয়া তরীকাহ ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, আফগানিস্তান, চীন, আরব ও মধ্য প্রাচ্যের কতিপয় দেশে বিস্তার লাভ করে এবং নানা শাখা প্রশাখায় বিভক্ত হয়ে বিশ্বের বহু দেশে প্রচলিত আছে। খাজা-এ খাজেগান আতা-এ রাসূল খাজা গরীবে নওয়াজ মঈনুদ্দিন চিশতি (র.) পৃথ্বিরাজের সকল চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে ভারত বর্ষে কলেমার আওয়াজ বুলন্দ করেন। মূলত: হযরত গরীবে নওয়াজের বরকতময় হাতেই ভারতবর্ষে ইসলামী আদর্শ প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে। চিশতিয়া তরীক্বার অনুসারীদের মতে প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম’র পবিত্র শিক্ষা ও আদর্শ হযরত মওলা আলী রাদ্বিয়াল্লাহু তা’আলা আনহুর মাধ্যমে হযরত হাসান বসরী (রা.) লাভ করেন। এ তালীম রুহানীভাবে হযরত খাজা ওসমান হারওয়ানী (র.) পর্যন্ত চলে আসে। খাজা গরীবে নওয়াজ তাঁর খলীফা হিসেবে এ তরীক্বার নিয়ম পদ্ধতি সুবিন্যস্তরূপে বিধিবদ্ধ ও সুনিয়ন্ত্রিত করেন। এ ক্ষেত্রে তাঁর খলিফাগণও তাঁরই পদাঙ্ক অনুসরণ করে অসাধারণ অবদান রাখেন।
নক্বশবন্দিয়াতরীক্বা:
নক্বশবন্দিয়া তরীক্বার প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন হযরত শায়খ খাজা বাহাউদ্দিন ইবনে মাহমুদ বোখারী। তিনি ৭১৮ হিজরী সনে মধ্য এশিয়ার বোখারায় জন্ম গ্রহণ করেন। ১৮ বছর বয়সেই তিনি তরীক্বতে দীক্ষা লাভ করেন। জনশ্রুতি আছে যে তিনি যখন কামালিয়াতের উচ্চ মার্গে অবস্থান করেন তখন তিনি যে দিকে থাকাতেন সেদিকেই শুধু “আল্লাহ” নামের চিত্ররূপ দেখতে পেতেন। অথবা তিনি যেদিকেই দৃষ্টি নিক্ষেপ করতেন সেদিকেই আল্লাহ নামের নকশা অঙ্কিত হয়ে যেত। সে কারণেই তিনি ইতিহাসে বাহাউদ্দিন নকশবন্দি হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন। তিনি ৭৯১ হিজরিতে ইন্তিকাল করেন। নকশবন্দিয়া তরীক্বার অনুসারী ও সূফীগণ ইসলামী শরীয়তের নির্দেশা বলীর প্রতি একাগ্রতা নিষ্ঠা ও মনোযোগ সহকারে অধিকতর মনোনিবেশ করে থাকেন। তরীক্বতের বিভিন্ন ওযীফা মোরাকাবা ও যিকরের মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন ও আত্মার উৎকর্ষ সাধনে সচেষ্ট থাকেন। এ তরীক্বার শীষ্যরা “আল্লাহ” নামের বরকতময় ইসমটির নকশা বা চিত্র হৃদয়ে ধারণ করেন বলেই এ তরীক্বার নাম নকশবন্দীয়া তরীক্বা হিসেবে খ্যাতি লাভ করেছে।
মুজাদ্দেদিয়া তরীক্বা : হযরত মুজাদ্দেদ আলফেসানী ওরফে হযরত শায়খ আহমদ ফারুকী সেরহিন্দি রাহমাতুল্লাহি আলাইহি মুজাদ্দেদীয়া তরীক্বার প্রতিষ্ঠাতা। তিনি ৯৭১ হিজরিতে ভারত বর্ষে সেরহিন্দ নামক শহরে জন্ম গ্রহণ করেন। ভারতীয় উপমহাদেশে যখন খোদাদ্রোহী নবীদ্রোহী, তাগুতি ও কুফরি শক্তির প্রভাবে সর্বত্র কুফর শির্ক, বিদআত, অত্যাচার, অবিচার, জুলুম নির্যাতন শোষণ, নিপীড়ন, কুসংস্কার ইসলাম বিরোধী নানা ধরনের কর্মকাণ্ড সর্বত্র ছেয়ে গিয়েছিল, ইসলামের এমনি এক ক্রান্তিকালে সর্বত্র ইসলামের সুমহান বানী ও আদর্শ পৌঁছে দেয়ার প্রয়াসে তাঁর নিরবচ্ছিন্ন কর্ম প্রচেষ্টা ইসলামে নতুন প্রাণের সঞ্চার করেছে সম্রাট আকবর কর্তৃক প্রবর্তিত তথাকথিত দ্বীনে এলাহীর মূলমন্ত্র “লাইলাহা ইল্লাল্লাহু আকবর খলীফাতুল্লাহ” ইসলামের বিরুদ্ধে এক সুগভীর ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখা দেয়। এর কালো মেঘে যখন ভারত বর্ষ আচ্ছাদিত হচ্ছিল তখনই ইমামে রব্বানী মুজাদ্দেদী আলফেসানী (র.) খোদা প্রদত্ত পূর্ণ বেলায়তী শক্তি দিয়ে আকবরের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান। ইসলামের নামে বিকৃতি ও সকল প্রকার চক্রান্তের বিষদাত ভেঙে দেন। পবিত্র কলেমার সুমহান বাণী “লাইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ” এর দাবী ও আবেদন শ্রেষ্ঠত্ব ও মহানত্ব পূর্ণমাত্রায় প্রতিষ্ঠিত করেন। ইসলামের আধ্যাত্মিক জেহাদের এই কঠিন সংগ্রামে তিনি সকল প্রকার বাতিল শক্তিকে পরাভূত করেন। ইসলামী ঝান্ডাকে সমুন্নত করেন। সেই ধারাবাহিকতায় এ তরীক্বার শায়খগণ আজও বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে মানব জাতির চরিত্র গঠন ও আত্মার সংশোধনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন।
হে আল্লাহ আমাদেরকে তোমার মাকবুল বান্দাদের ্পদাঙ্ক অনুসরণ করার তাওফিক দান করো। কুরআনের আয়াত ও প্রজ্ঞাপূর্ণ উপদেশ দ্বারা আমাদের নাজাত দান করো। নিশ্চয়ই তুমি মহান দানশীল সৃষ্টি জগতের মালিক, পুণ্যময়, অনুগ্রহশীল ও দয়ালু। আমীন।
লেখক : অধ্যক্ষ, মাদরাসা-এ তৈয়্যবিয়া ইসলামিয়া সুন্নিয়া ফাযিল (ডিগ্রী); খতীব, কদম মোবারক শাহী জামে মসজিদ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধএকজন মুসলমানের জীবন দর্শন : একটি বিশ্লেষণ
পরবর্তী নিবন্ধদূরের দুরবিনে