কলোরবে বাড়ছে ডেঙ্গু। হাসপাতালগুলোতে রোগীর আহাজারী, বলা চলে ডেঙ্গু ঝুঁকিতে পুরো দেশ। ধরা দিচ্ছে বিভিন্ন অনুসঙ্গে। এডিস মশার উপদ্রব্য ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে পুরো শহর নগর গ্রাম ও মহল্লায়। দিনের উপদ্রব্য রক্ষা হলেও রাতে কালো আধারে এক বিষধর সাম্রাজ্যে নিপতিত হয় স্বদেশ, কী করা যায়? মাত্রা অতিক্রমে স্বাস্থ্য বিভাগ বিভিন্ন পরিকল্পনা করেও আয়ত্বে আনতে পারছে না। ফলে অসহায় পড়ছে জনগণ। নালা নর্দমা বনের অগোছালো অরণ্যে মশার ঔষধ ছিটিয়েও সুফল পাচেনা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। মশার কামড়ে অতিষ্ঠ জনতা বাসার ছোট্ট শিশুটিকে আগলিয়ে রেখেও দেখছে চোখে অশান্তির দিশা। দেশের বর্তমান অরাজক অবস্থায় মানুষ যে কী অসহায় তা আর নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। সঙ্কট কমাতে কর্তৃপক্ষ ডেঙ্গু নির্মলে আরো বাস্তব মুখী পদক্ষেপ নেওয়া খুবই জরুরি। স্থানীয় প্রশাসনের অবহেলা ডেঙ্গু মৃত্যুরূপ আরো ভয়াবহ হয়ে উঠবে। এলাকা ও গ্রাম বস্তি পরিবেশের চিত্র সে কথাটি স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে। জানি না আগামী দিনগুলিতে ডেঙ্গু প্রতিরোধে কর্তৃপক্ষ কী ভুমিকা রাখতে পারে! বিত্তবান, অর্থশালীরা চিন্তা মুক্ত। মধ্যত্তি, নিম্ন মধ্যবিত্ত অসহায় দিন মজুরের অবস্থার কথা ভেবে চোখে শর্ষেফুল দেখি।
ঔষধ ছিটানো কার্যক্রম নেই বললে চলে। নাম মাত্র ঔষধ ছিটানো নামে কোন কোন অঞ্চলে কালো কেরোসিন ছিটানোর প্রবণতা লোকে মুখে শুনা যায়। বুঝতে হবে বর্তমান বাস্তিবকতা। শরীর মন সুস্থ না থাকলে উৎসাহ বোধ ও লোপ পায়।
তাই এ মুহূর্তে ভাবতে হবে জনতা কী চায়– জীবিকা না জীবন? জীবিকার অদম্যতা রুখে বেছে নিতে হবে সর্বাগ্রে জীবন। জীবন না থাকলে জীবিকা কাকে নিয়ে সম্পন্ন করবো? মানুষ বাঁচার কাজ জরুরি। তাই জোর গলায় বলতে হয়, জীবিকা নয়, চাই জীবন। ডেঙ্গু প্রতিরোধ নিশ্চিত করতে হবে।