কখনো কখনো অশ্রু আটকে রাখতে নেই, রাখঢাকবিহীন বৃষ্টির ন্যায় দমকা হাওয়ার সাথে তা ঝরতে দিতে হয়। কোনো অপরাধ বিহীন জীবনেও অশ্রুসিক্ত উন্মুক্ত ছলছল চোখের ক্ষীণদৃষ্টি বুঝিয়ে দিতে সক্ষম মনের করুণ অবস্থার ধরন। মানুষের হরেক রূপ থাকে তা কখনো প্রকাশ পায়, হয়তো–বা অপ্রকাশিত থেকেই যায়। মানুষ মাত্রই ভুল আর এই ভুলের মাশুল সারাজীবন দিয়ে যেতে হয় ঝর্ণাধারার ন্যায় অশ্রুপাত দিয়ে; যা ফুরোবার নয়। কণ্টকময় জীবনের বিভীষিকাময় সময় তখনই আসে যখন কেউই আশপাশে থাকে না নিজের অস্তিত্ব খুঁজে ফিরে কিংবা মনে হতে পারে বিলীন হয়ে গেছে চারপাশে থাকা জীবনের প্রাণোচ্ছলতা। জীবনের সামান্যতম ভুলই আমাদের জীবনের কাঁটা যা ভেদ করে এগিয়ে যাওয়া দুষ্কর তো বটেই পরিত্রাণের উপায় খুঁজে পাওয়াটাই দুষ্কর। এ–সময় মানুষের ব্যবহার ঠিক অচেনা হয়ে যায়। স্বার্থপরতা আর শুধু নিজের ব্যবহারের জন্য অন্যের অশ্রু ঝরানোতেও পিছ–পা হয় না। এরূপ আচরণকারী মানুষের থেকে দূরে থাকাই শ্রেয় কিন্তু তাও বুঝতে অনেক সময় প্রয়োজন হয়; ততদিনে অশ্রুবিমোচন করার সুযোগটাও যে হাতছাড়া হয়ে যায়। জীবনের প্রতিটিক্ষেত্রে সুবিধাবাদী মানুষের অভয়ারণ্যের কৌটা দাঁড়িয়েছে, যেখানে সাধাসিধে মানুষের স্থান নিম্ন থেকেও নিম্নগামী। তাঁরা শাসক ও শোষক; অদ্ভুদতুড়ে দেখতে আমজনতার অশ্রু যায় বিফলে হয় নিপীড়িত। অশ্রু নিয়ে এগিয়ে যায় সারাটা জীবন অবহেলায় দুর্ভিক্ষ ও দুর্দশায়।