মেয়েটি পরীক্ষার্থী। যেন তেন নয় এসএসসি পরীক্ষার্থী। পরীক্ষা চলছে। কিন্তু মেয়েটি ভীষণ অসুস্থ। রোগটি ছোটোখাট নয়। বড়ো একটি রোগ, নাম তার কর্কট মানে ক্যানসার। তবুও সে জীবন যুদ্ধে হারমানার নয়। তাইতো সে নিয়মিত পরীক্ষা দিয়েই চলছে। জীবন থেমে থাকে না। জীবনের নিয়মেই চলতে থাকে। বাঁচার আকুতি, আশা সবার মধ্যেই বিদ্যমান। মেয়েটিও ভাবছে আমি একদিন রোগমুক্ত হবো এবং জীবন যুদ্ধে লড়াইয়ে নামবো। বাংলাদেশ বলেই নাকি মেয়েটি অদম্য? কোনটা মূখ্য ভূমিকা রাখছে তা জানা হয়নি। কারণ এমন রোগ নিয়েও তাকে পরীক্ষার মত এমন কঠিন সময় পার হতে হচ্ছে। বিদেশে অর্থাৎ উন্নত রাষ্ট্রে তাকে হয়ত পরামর্শ দিত তোমার জন্য পরীক্ষা নয়, স্বাস্থ্য এবং মন আগে। তুমি আগে বেঁচে থাকো। আমরা তোমার পরবর্তী জীবন সহজ করে দিবো। বাংলাদেশ হয়ত তাকে এ ভরসা দিতে ব্যর্থ। অপরদিকে ভিন্নটাও হতে পারে। মেয়েটি ভাবছে কেন আমি পিছিয়ে যাবো? আমিতো সুস্থ হয়েই যাবো। আমি আবার স্বাভাবিক হবো। সামান্য পরীক্ষাইতো। সে কয়েকদিন পর শেষ হয়েই যাবে। সাবাশ, মেয়ে তুমি অদম্য, অসাধারণ, দুরন্ত, ফুটন্ত। ফুটে থাকো সারাজীবন। অন্যকেও ফোটাতে থাকো। তুমি ইতিহাস, তুমিই উদাহরণ, তুমি নারী অমৃত।
একসময় নারীরা অনেক পিছিয়ে পড়া ছিলো। তারা এখন ভাবছে, ভাবতে শিখেছে। ইন্টারনেট যুগের হাওয়া তাদের গায়েও লেগেছে। নারী অবলা, অবহেলিত, বঞ্চিত, লাঞ্চিত সে খেতাব পাওয়া মেয়েরাই এখন সাহসী, খেলুড়ে, অদম্য, অধিকার সচেতন। মন্দ নয়, চলুকনা! চলতেই হবে। লাভতো সবারই হবে। একটি দাঁড়িপাল্লার দুটির একটি যদি অসমান হয় তবে মাপ কিন্তু সঠিক হয় না। তাই সমান হতেই হয়। তেমনি নারী পুরুষ, পুরুষ নারী এইতো হওয়া উচিত। তাই হতে চলেছে। আমদের সেই ক্যান্সার রোগী মেয়েটি আমাদের তা কীভাবে করতে হবে তাই শিখিয়ে দিচ্ছে। কর্কট রোগ ভালো হয়, আবার নাও হতে পারে। পরীক্ষা দিচ্ছি থেমে যেতে হতেও পারে। তবুও যতদিন বাঁচবো বুক ফুলিয়ে বাচঁবো। মাথা উঁচু করে বাঁচবো। এবং হার না মেনেই বাচঁতে হবে। জিতবো, জিততে হবে, এটাই শেষ চাওয়া নয়। জীবনযুদ্ধে হার না মানাই হলো জীবন। জীবন উপভোগ্য, জীবন আপন আলোয় উদ্ভাসিত।