বুকের ভিতর জলন্ত মশাল ছিল।
আমি মোমবাতির মতো গলে গলে
তোমাদের পায়ের কাছে পড়েছি বারবার।
তোমারা কেবল আনন্দ–
উল্লাসে নেচে নেচে কতবার
যোজন যোজন পদতলে মাড়িয়ে গেছো,
আমার চিরন্তন অস্তিত্বকে।
আমি আর্তচিৎকারে চন্দ্রনাথ কাঁপিয়েছি,
হিমালয় উত্তপ্ত করেছি।
রক্তাক্ত হয়েছি, ছিন্ন– ভিন্ন হয়েছি,
পূত– পূঁযে নিজেই মরেছি কতবার।
কতদিন, কতকাল তোমাদের আহারের
উচ্ছিষ্টের জন্য
লেজ গুটে প্রতীক্ষার পর প্রতীক্ষা করেছি।
কিন্ত হায়, জীবন এতোই শোকাহত হয়েছে,
তোমরা কেবল আমার নিঃশ্বাসকে
মাড়িয়ে গেছো নিদারুণ অনাদরে।