সমুদ্রগামী জাহাজ হতে পলাতক নাবিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া শুরু করেছে সরকার। পলাতক নাবিকদের পাশাপাশি তাদের গ্যারান্টারদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে। প্রথম দফায় ১৯ নাবিকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
সূত্র জানিয়েছে, সরকারের কাছ থেকে সিডিসি নিয়ে বিভিন্ন সমুদ্রগামী জাহাজে নাবিক হিসেবে কাজে যাওয়া অনেকেই উন্নত দেশের বন্দরে গিয়ে পালিয়ে যান। যা দেশের ইমেজের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। নাবিকদের পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা দেশের অন্যান্য নাবিকদের চাকরির বাজার সংকুচিত করছে। দীর্ঘদিন যাবৎ পলাতক নাবিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হচ্ছিল।
অবশেষে পলাতক নাবিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ শুরু হয়েছে। রুজু করা হয়েছে মামলা। এদের মধ্যে প্রথম দফায় ১৯ নাবিকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। তাদের গ্যারান্টারদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। গতকাল নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমডোর মাকসুদ আলম গতকাল এক বিজ্ঞপ্তিতে পলাতক নাবিকদের পরিচয় প্রকাশ এবং তাদের অবস্থান সম্পর্কে জানানোর জন্য সকলের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা পলাতক ১৯ নাবিক হলেন, মো. সোহানুর রহমান, পিতা– মো. জালাল উদ্দিন, গ্রাম: দেবালেরকান্দা, পো: মানিকখালী, থানা: কটিয়াদি, জেলা: কিশোরগঞ্জ। মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম, পিতা– মো. মাজেদুর রহমান, গ্রাম: চকতকিনগর, পো: তমালতলা, থানা: বাগাতিপাড়া, জেলা: নাটোর। আবু সুফিয়ান, পিতা– মোহাম্মদ মোস্তফা, গ্রাম: দক্ষিণ আলীপুর, পো: সমী ভূঁইয়ার হাট, থানা: দাগন ভূঁইয়া, জেলা: ফেনী। মোস্তফা কামাল, পিতা– শাহ আলম, গ্রাম: দক্ষিণ হালিশহর, পো: সেইলর‘স কলোনি, থানা: ইপিজেড, জেলা: চট্টগ্রাম। ইসকান্দর মিজি, পিতা– গোলাম সারোয়ার, গ্রাম: মুছাপুর, পো: মুছাপুর, থানা: কোম্পানীগঞ্জ, জেলা: নোয়াখালী। মো. সানা উল্লাহ, পিতা– হারুন রশিদ, গ্রাম: গাছুয়া, পো: গাছুয়া, থানা: সন্দ্বীপ, জেলা: চট্টগ্রাম। মোহাম্মদ আনোয়ারুজ্জামান, পিতা– এ.এম.এম. সদরুল উল্লাহ, গ্রাম: ঘাটলা, পো: ঘাটলা, থানা: বেগমগঞ্জ, জেলা: নোয়াখালী। মো. আব্দুল কুদ্দুস, পিতা– শফি উদ্দিন আহমেদ, গ্রাম: মির্জাপুর, পো: বরজাপুর, থানা: বিরল, জেলা: দিনাজপুর। আমিনুল ইসলাম, পিতা– আবুল কাশেম, গ্রাম: চরদুব্বা, পো: আহম্মেদপুর, থানা: সোনাগাজী, জেলা: ফেনী। ওপি হোসেন, পিতা– নুরুল ইসলাম, গ্রাম: উলচাপুর, পো: উলচাপুর, থানা: ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, জেলা: ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
মো. রফিকুল ইসলাম, পিতা– মো. হাফিজ মিয়া গ্রাম: মধ্য বাউশিয়া, পো: বাউশিয়া, থানা: গজারিয়া, জেলা: মুন্সিগঞ্জ। মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, পিতা– মোহাম্মদ আবদুল ওয়াশেক, গ্রাম: মগধরা, পো: মগধরা, থানা: সন্দ্বীপ, জেলা: চট্টগ্রাম। মোহাম্মদ শেখ আলম, পিতা– শেখ নজির আহমেদ, গ্রাম: পূর্ব চর হাজারী, পো: আবু মাঝির হাট, থানা: কোম্পানীগঞ্জ, জেলা: নোয়াখালী। মো. মেহেদী হাসান, পিতা– মো. মোর্শেদ আলম, গ্রাম: আমকি, পো: আমকি বাজার, থানা: সোনাইমুড়ি, জেলা: নোয়াখালী। মো. আল আমিন, পিতা– মো. বিল্লাল হোসেন, গ্রাম: লক্ষিরচর, পো: নান্দিনা, থানা: জামালপুর সদর, জেলা: জামালপুর।
মো. ইমাম হোসেন, পিতা– মো. আবুল খায়ের, গ্রাম: মির্জানগর, পো: গোপালপুর, থানা: বেগমগঞ্জ, জেলা: নোয়াখালী। মো. ইমরুল হোসেন, পিতা– মোহাম্মদ আলতাফ হোসেন, গ্রাম: বাসারাত নগর, ওয়ার্ড নম্বর–১, পো: সীতাকুণ্ড, থানা: সীতাকুণ্ড, জেলা: চট্টগ্রাম।
মোহাম্মদ ইব্রাহিম, পিতা– আবুশ কাশেম, গ্রাম: পশ্চিম অলিনগর, পো: অলিনগর, থানা: জোরারগঞ্জ, জেলা: চট্টগ্রাম। এনামুল হক, পিতা– আবুল হাসেম, গ্রাম: শালদিগা, পো: শালদিগা, থানা: খালিয়াজুরি, জেলা: নেত্রকোণা।
নৌপরিবহন অধিদপ্তরের কমডোর মোহাম্মদ মাকসুদ আলম বলেন, পলাতক নাবিকেরা দেশের ক্ষতি করেছেন। তাদেরকে অবশ্যই আইনের মুখোমুখি করা হবে।
