রাতে দিনে পাহাড় কাটা চলছে নগরীর জালালাবাদে। পাহাড়ি অঞ্চল হিসেবে পরিচিত জালালাবাদের অসংখ্য পাহাড় ইতোমধ্যে সাবাড় করা হয়েছে। যা কয়েকটি টিকে আছে সেগুলোও সাবাড়ের প্রক্রিয়া চলছে। ছায়ানীল আবাসিক এলাকা এবং সী বিচ হাউজিং নাম দিয়ে গত কিছুদিন ধরে পাহাড় কাটা চলছিল।
সূত্র জানিয়েছে, নগরীর খুলশী থানাধীন জালালাবাদ এলাকার প্রায় পুরোটা জুড়ে ছিল পাহাড় টিলা। উক্ত এলাকার পাহাড়গুলো সাবাড় করে অসংখ্য ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। নানা নামের আবাসিক এলাকা গড়ে তোলা হয়েছে। ভূমির দাম বেড়ে যাওয়া এবং রাস্তার সুবিধাসহ নানা সুবিধা থাকায় জালালাবাদের উপর ভূমিদস্যুদের চোখ পড়ে। তারা রাতে দিনে পাহাড় কেটে বাড়িঘর নির্মাণের প্রক্রিয়া চালাচ্ছে। বর্তমানে ছায়ানীল আবাসিক এলাকা, সী–বিচ হাউজিং সহ আশেপাশের এলাকাগুলোতে পাহাড় কাটার মহোৎসব চলছে। পাহাড় কাটার বন্ধের ব্যাপারে কার্যকরী পদক্ষেপের অভাবে প্রকাশ্যে পাহাড় কাটা এবং মাটি বিক্রির কার্যক্রম চলে আসছে বলেও সূত্র জানায়। পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিদর্শক মনির হোসেন এবং ওমর ফারুকের নেতৃত্বে পৃথক দুইটি টিম পাহাড় কাটা বন্ধে অভিযান পরিচালনা করে। পরিবেশ অধিদপ্তরের উপস্থিতি টের পেয়ে সংশ্লিষ্টরা গা ঢাকা দেয়। পরিবেশ অধিদপ্তরে মোহাম্মদ আজিম চৌধুরী, মোহাম্মদ মনির হোসেন, মমতাজুর রহমান, মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর, মিলা, হেলাল নামের ৬ জনকে তলব করা হয়েছে।