নগরীর জালালাবাদে পাহাড় কেটে স্থাপনা নির্মাণের দায়ে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর। সংস্থাটির চট্টগ্রাম মহানগর কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল মতিন বাদী হয়ে বায়েজিদ থানায় এবং আকবর শাহ থানায় গতকাল বুধবার মামলা দুটি দায়ের করেন। প্রতিটি মামলায় একজনকে আসামি করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করে পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম মহানগর কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মিয়া মাহমুদুল হক দৈনিক আজাদীকে বলেন, বায়েজিদের জালালাবাদ ওয়ার্ডে জান্নার (জানুর) বাপের খামার এলাকায় অনুমোদনহীনভাবে পাহাড় কাটা হয়। গত ২ আগস্ট একটি টিম ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করে দেখতে পায়, সেখানে ইমারত নির্মাণের জন্য পিলার বা কলাম করে রাখা হয়েছে। ইটসহ নির্মাণ কাজের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র রাখা আছে। পিলার বা কলামগুলো তৈরির জন্য দুই হাজার ঘনফুট পাহাড় কেটেছে। এ বিষয়ে শুনানি শেষে মো. আব্দুর রাজ্জাককে (৪৭) আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়। তিনি আন্দরকিল্লা নজীর আহমেদ চৌধুরী রোডের মো. আবদুল বারেকের ছেলে।
এদিকে একই এলাকায় ২ আগস্ট পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিদর্শন টিম দেখতে পায়, কয়েকটি সেমিপাকা ঘর একসাথে করে একটি বড় আকারের ঘর তৈরি করা হয়েছে। ঘরগুলোর পূর্ব দিকে আনুমানিক চার ফুট দূরত্বে পাহাড় ধস হয়ে পাহাড়ের মাটি ঘরের দেয়ালে এসে পড়ে। ঘরগুলো তৈরির সময় আনুমানিক দুই হাজার ঘনফুট পাহাড় কাটা হয়েছে। এ বিষয়ে শুনানি শেষে মামলা করার সিদ্ধান্ত দেন পরিবেশ অধিদপ্তরের নগর কার্যালয়ের পরিচালক। এর প্রেক্ষিতে পাহাড় কাটায় জড়িত মোহাম্মদ ইউছুপকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়। ইউছুপ চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ থানার বলাখাল গ্রামের মোহাম্মদ শামছুল হকের ছেলে।