নগরীর ২১ নং জামাল খান ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন গতকাল বেলা ১১টায় লাভলেইনে সরকারি ন্যাশনাল প্রাইমারি স্কুলমাঠে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাশেম চৌধুরী বাবুলের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মিথুন বড়ুয়ার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলন উদ্বোধন করেন কোতোয়ালী থানা আওয়ামী লীগের সমন্বয়ক, সিডিএ চেয়ারম্যান ও মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি জহিরুল আলম দোভাষ। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দীন চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন ও শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।
এর আগে বাগমনিরাম ও আন্দরকিল্লা ওয়ার্ড সম্মেলন বর্জন করেছিল প্রয়াত এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর অনুসারীরা। এবার জামালখান ওয়ার্ডের সম্মেলনে দুই পক্ষের নেতারা অংশ নিলেন। দুই পক্ষের অংশগ্রহণে স্বতঃস্ফূর্তভাবে সম্মেলন সম্পন্ন হয়।
দুপুর ১টায় প্রথম অধিবেশনের পর দ্বিতীয় অধিবেশনে সভাপতি পদে আবুল হাসেম চৌধুরী বাবুল উপস্থিত কাউন্সিলরদের হাত তোলা ভোটে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আবার নির্বাচিত হন। তবে সাধারণ সম্পাদক পদে সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মিথুন বড়ুয়ার ও আবদুল হান্নানের মধ্যে ভোটাভুটি হয়। কাউন্সিলরদের গোপন ব্যালটের ভোটাভুটিতে মিথুন বড়ুয়া ১০২ ভোট পেয়ে তিন বছরের জন্য সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। আবদুল হান্নান পান ২০ ভোট।
সকালে সম্মেলনের প্রথম অধিবেশনে মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দীন চৌধুরী বলেন, আমাদের প্রতিপক্ষ একাত্তরের স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি। আমাদের দুর্ভাগ্য তাদেরকে আমরা নির্মূল করতে পারিনি। এই সত্যটুকু মেনে নিয়ে সামনের দিকে এগুতে হবে। এই এগুনোর পথে তৃণমূল নেতাকর্মীরাই আমাদের চালিকাশক্তি।
মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, আমরা যে স্বপ্ন দেখতে সাহস করি না নেত্রী শেখ হাসিনা সেই সকল বড় বড় স্বপ্ন নিজে দেখেন এবং বাস্তবায়ন করে দেখান। এজন্যই বাংলাদেশ আজ একটি গরিব দেশ থেকে স্বল্পোন্নত দেশে উত্তীর্ণ হয়ে উন্নত দেশের মর্যাদা প্রাপ্তি হতে চলেছে। এটা অনেকের সহ্য হয় না।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য যে সহজ সরল রাস্তাটি রয়েছে সেই পথে না গিয়ে বিএনপি–জামায়াত উল্টো পথে চলা শুরু করেছে। কেননা তারা জনগণের প্রতি আস্থা ও ভরসাহীন। এই দলটির জন্ম বন্দুকের নল দিয়ে ক্ষমতা দখল করার পর ক্যান্টনমেন্টে। তাই জনগণের ভাষা তারা বুঝে না। তারা চায় জনগণকে জিম্মি করে রাষ্ট্রীয় সম্পদ লুট করা। তাই জনগণের কল্যাণে তারা কখনো রাজনীতি করে না বা করেনি। তারা তিনবার ক্ষমতায় ছিল। তারা জনগণকে কী দিয়েছে তার একটি তালিকা আমরা দেখতে চাই। কিন্তু তাদের সেই সাহস নেই।
উদ্বোধকের বক্তব্যে সিডিএ চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষ বলেন, সত্যিকার অর্থে বলতে চাই আমরা ঐক্যবদ্ধ। এই ঐক্যের যাতে বিনাশ না ঘটে। আশা করি জামালখান ওয়ার্ড এই ঐক্যের শক্তিকে বিশ্বাস করে। এই ঐক্যের ভিত্তিতে যারা দায়িত্বপ্রাপ্ত হলেন তারা জনগণের মাঝে নৌকা প্রতীককে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী করবেন।
এতে বক্তব্য রাখেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, দপ্তর সম্পাদক সৈয়দ হাসান মাহমুদ শমসের, চন্দন ধর, হাজী মো. সাহাব উদ্দীন, ক ইউনিটের সভাপতি মৃদুল দাশ, খ ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল আহমেদ ইমু ও গ ইউনিটের সভাপতি জাহাঙ্গীর মোস্তফা।
উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি খোরশেদ আলম সুজন, আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ, শফিক আদনান, চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য শফিকুল ইসলাম ফারুক, অ্যাডভোকেট শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, মশিউর রহমান চৌধুরী, হাজী মো. হোসেন, জোবাইরা নার্গিস খান, আব্দুল আহাদ, মো. আবু তাহের, ডা. ফয়সল ইকবাল চৌধুরী, সাইফুদ্দীন খালেদ বাহার, বখতেয়ার উদ্দীন খান, ইঞ্জিনিয়ার বিজয় কৃষাণ চৌধুরী, আব্দুল লতিফ টিপু, ড. নেছার উদ্দীন আহমেদ মঞ্জু, হাজী বেলাল আহমেদ ও মোর্শেদ আক্তার চৌধুরী।
