চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ৬ মেয়র এবং ৭৫ জন সাধারণ ও সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী জামানত হারিয়েছেন। গত ২৭ জানুয়ারি চসিক নির্বাচনের বহুল কাঙ্ক্ষিত ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে মোট প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন ৭ মেয়র এবং ২২৫ জন কাউন্সিলর প্রার্থী।
চট্টগ্রাম সিটির মোট ১৯ লাখ ৩৮ হাজার ৭০৬ ভোটের মধ্যে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন ৪ লাখ ৩৬ হাজার ৫৪৩ জন। এরমধ্যে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে নির্বাচিত মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী ছাড়া অন্য ৬ মেয়র প্রার্থীই জামানত হারিয়েছেন। রেজাউল পেয়েছেন ৩ লাখ ৬৯ হাজার ২৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন (ধানের শীষ) পেয়েছেন ৫২ হাজার ৪৮৯ জন। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. জান্নাতুল ইসলাম (হাতপাখা) পেয়েছেন ৪ হাজার ৯৮ ভোট, এনপিপির আবুল মনজুর (আম) পেয়েছেন ৪ হাজার ৬৫ ভোট, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের এম এ মতিন (মোমবাতি) পেয়েছেন ২ হাজার ১২৬ ভোট, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের মুহাম্মদ ওয়াহেদ মুরাদ (চেয়ার) পেয়েছেন ১ হাজার ১০৯ ভোট ও স্বতন্ত্র প্রার্থী খোকন চৌধুরী (হাতি) পেয়েছেন ৮৮৫ ভোট।
চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন অফিস থেকে জানা গেছে, নির্বাচনে যত ভোট পড়ে তার ৮ ভাগের একভাগ বা ১২ দশমিক ৫০ শতাংশের কম ভোট পেলে প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত করা হয়। এবার চসিক নির্বাচনে মেয়র পদে ভোট পড়েছে ২২ দশমিক ৫২ শতাংশ। জামানত ফেরত পেতে মেয়র পদপ্রার্থীকে ন্যূনতম ৫৪ হাজার ৪৩৬ ভোট পেতে হতো। প্রকাশিত ফলাফলে রেজাউল করিম চৌধুরী ছাড়া অন্য ৬ মেয়র প্রার্থীর ফলাফলে দেখা গেছে তারা কেউ ৫৪ হাজার ভোট পাননি।
অপরদিকে সংরক্ষিত ৬ নম্বর ওয়ার্ডে ৮৬ ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছেন মাহমুদা সুলতানা। জামানত হারানো সালেহা বেগম পেয়েছেন ১০৫ ভোট, শামীমা নাসরিন পেয়েছেন ১৪২ ভোট। সাধারণ ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে জামানত হারিয়েছেন মো. সোয়েব খালেদ, তিনি পেয়েছেন ১২৫ ভোট এবং একেএম আরিফুল ইসলাম পেয়েছেন ৩৩৪ ভোট। ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে জামানত হারিয়েছেন আজিজুর রহমান (প্রাপ্ত ভোট ২২), ইয়াছিন চৌধুরী আছু (প্রাপ্ত ভোট ৩৬), এস এম দিদারুল আলম (প্রাপ্ত ভোট ৫) এবং আবদুল মান্নান (প্রাপ্ত ভোট ৬৬)। সংরক্ষিত ২ নম্বর ওয়ার্ডে জামানত হারানো শামসুন নাহার পেয়েছেন ৯৬২ ভোট, সিরাজুর নুর বেগম পেয়েছেন ৮৫৩ ভোট। অনুরূপভাবে সংরক্ষিত ৪ নম্বর ওয়ার্ডে আয়শা আক্তার পেয়েছেন ২৩১ ভোট, সংরক্ষিত ৫ নম্বর ওয়ার্ডে নুবুয়াত আরা সিদ্দিকা পেয়েছেন ২৬৪ ভোট, রেজিয়া বেগম পেয়েছেন ২৯৬ ভোট, পম্পি দাশ পেয়েছেন ১৩০ ভোট। চসিক নির্বাচনে সংরক্ষিত এবং সাধারণ ওয়ার্ড মিলে সর্বোচ্চ ভোট পেয়েছেন সংরক্ষিত ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের শাহানুর বেগম। তিনি পেয়েছেন ৯১ হাজার ২০২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাহিদা বেগম ১০ হাজার ১৯০ ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছেন।
এদিকে সাধারণ ১ নম্বর ওয়ার্ডে জামানত হারিয়েছেন কাজল নাথ- তিনি পেয়েছেন ১৫৩ ভোট, মো. ইলিয়াছ পেয়েছেন ২০ ভোট, মো. সিরাজুল ইসলাম পেয়েছেন ৩৪০ ভোট। সাধারণ ২ নম্বর ওয়ার্ডে জামানত হারিয়েছেন মো. গিয়াস উদ্দিন ভূঁইয়া- তিনি পেয়েছেন ৩৭৭ ভোট। সাধারণ ৩ নম্বর ওয়ার্ডে জামানত হারিয়েছেন ইলিয়াছ আহমত লেদু- তিনি পেয়েছেন ৫৫ ভোট, জামানত হারানো মো. মোরশেদ হোসেন পেয়েছেন ৩৫১ ভোট, মো. আবুল কালাম পেয়েছেন ৮০ ভোট, মো. আমির হোসেন পেয়েছেন ৫৯ ভোট এবং মো. সেলিম উদ্দিন পেয়েছেন ১৫৯ ভোট। ৪ নম্বর সাধারণ ওয়ার্ডে জামানত হারানো জাহেদ গিয়াস উদ্দিন আহমদ পেয়েছেন ৪৮৭ ভোট, নাছির উদ্দিন পেয়েছেন ২৪৫ ভোট, মো. ইউসুফ পেয়েছেন ৭১ ভোট এবং মো. সাইফুদ্দিন খালেদ পেয়েছেন ৭১ ভোট। ৫ নম্বর সাধারণ ওয়ার্ডে জামানত হারিয়েছেন মুহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম-তিনি পেয়েছেন ২২৪ ভোট, মো. আইয়ুব আলী চৌধুরী পেয়েছেন ৯৪ ভোট, মো. আজম পেয়েছেন ২৮৩ ভোট এবং মো. ইব্রাহিম হোসেন পেয়েছেন ২২ ভোট। সাধারণ ৬ নম্বর ওয়ার্ডে জামানত হারিয়েছেন মুহাম্মদ হাসান লিটন-তিনি পেয়েছেন ৭৩ ভোট। সাধারণ ৭ নম্বর ওয়ার্ডে জামানত হারিয়েছেন মো. শামীম-তিনি পেয়েছেন ১৬৪ ভোট। সাধারণ ৮ নম্বর ওয়ার্ডে জামানত হারিয়েছেন মো. মহসীন-তিনি পেয়েছেন ৩৬৪ ভোট, জামানত হারানো মো. আবুল হাসান সুমন পেয়েছেন ১৮৬ ভোট এবং হাসান আলী পেয়েছেন ২৪৭ ভোট। সাধারণ ৯ নম্বর ওয়ার্ডে জামানত হারানো মো. ফজলে আজিম দুলাল পেয়েছেন ১৪৭ ভোট। সাধারণ ১১ নম্বর ওয়ার্ডে জামানত হারানো মো. নুরুল ইসলাম পেয়েছেন ১৫৫ ভোট এবং মো. সোহরাক হোসেন চৌধুরী পেয়েছেন ১৭৯ ভোট। সাধারণ ১২ নম্বর ওয়ার্ডে জামানত হারানো মো. আসলাম হোসেন পেয়েছেন ১০০ ভোট, মো. সাইফুল আলম পেয়েছেন ১২২ ভোট। সাধারণ ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে জামানত হারানো কাজী অতনু জামান পেয়েছেন ১০৭ ভোট। সাধারণ ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে জামানত হারানো আবুল ফজল কবির আহমদ পেয়েছেন ২৩৫ ভোট এবং আবদুল হালিম পেয়েছেন ৩১২ ভোট। সাধারণ ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে জামানত হারানো চৌধুরী সাইফুদ্দিন রাশেদ সিদ্দিকী পেয়েছেন ৫৯ ভোট। সাধারণ ২১ নম্বর ওয়ার্ডে জামানত হারানো আবু মো. মহসীন চৌধুরী পেয়েছেন ২৪৫ ভোট। সাধারণ ২২ নম্বর ওয়ার্ডে জামানত হারানো সাব্বির চৌধুরী পেয়েছেন ৩৬ ভোট। সাধারণ ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে জামানত হারানো মো. রকিব উল আমীন পেয়েছেন ৩৬ ভোট। সাধারণ ২৫ নম্বর ওয়ার্ডে জামানত হারানো এস এম এরশাদ উল্লাহ পেয়েছেন ৭৯ ভোট। সাধারণ ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে জামানত হারানো মো. আজিজুর রহমান বাবুল পেয়েছেন ৯০ ভোট, মো. ইমতিয়াজ সবুজ পেয়েছেন ৯০ ভোট, মো. নাঈম উদ্দিন পেয়েছেন ৫০ ভোট এবং মো. মহসীন আলী চৌধুরী পেয়েছেন ১২১ ভোট। সাধারণ ২৭ নম্বর ওয়ার্ডে জামানত হারানো মো. ইসকান্দর মির্জা পেয়েছেন ২৯০ ভোট। সাধারণ ২৮ নম্বর ওয়ার্ডে জামানত হারানো এবিএম মোস্তফা কামাল পেয়েছেন ১৪৪ ভোট, এস এম জামাল উদ্দিন জসিম পেয়েছেন ২৭০ ভোট এবং মো. মনির উল্লাহ পেয়েছেন ৬৩ ভোট। একইভাবে সাধারণ ২৯ নম্বর ওয়ার্ডে মো. আজিজ উর রশিদ পেয়েছেন ১৩৮ ভোট। সাধারণ ৩০ নম্বর ওয়ার্ডে হাবিবুর রহমান পেয়েছেন ৩১১ ভোট। সাধারণ ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডে অ্যাড. তারিক আহমদ পেয়েছেন ১৭ ভোট। সাধারণ ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডে জামানত হারানো মো. সাইফুল আলম চৌধুরী পেয়েছেন ৮৪ ভোট এবং মো. সাবিক পেয়েছেন ৬০ ভোট। সাধারণ ৩৭ নম্বর ওয়ার্ডে জামানত হারানো মো. এনামুল হক পেয়েছেন ২৩ ভোট, মো. ইবনে মবিন ফারুক পেয়েছেন ৪৫ ভোট এবং মো. ওসমান পেয়েছেন ৯৩ ভোট। সাধারণ ৪০ নম্বর ওয়ার্ডে জামানত হারানো মো. নাছির আহমেদ পেয়েছেন ২৫৩ ভোট, মোহাম্মদ হারুন পেয়েছেন ২৩৫ ভোট এবং মো. ফরিদুল আলম পেয়েছেন ৬২ ভোট। সাধারণ ৪১ নম্বর ওয়ার্ডে জামানত হারানো মুহাম্মদ আবদুর রহীম পেয়েছেন ১০৭ ভোট, মো. ফজল করিম পেয়েছেন ৩৬৮ ভোট এবং মো. রফিক পেয়েছেন ৪৬ ভোট।